somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্মানুভূতির গুষ্টি কিলাই, ইসলামকে ধ্বংস হতেই হবে যেকোন মূল্যে

২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পৃথিবীর দেড়শ কোটি মুসলিমকে কিভাবে বুঝাই কোরআন আল্লার বাণী নয় ? ধর্ষক মুহাম্মদ নিজের স্বার্থে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আয়াত নিয়ে আসছে আল্লাহর নাম ভাঙিয়ে। এ ব্যপারটা বিবি আয়েশা ধরতে পেরে বলেন, "আমি দেখছি যে, আপনি যা ইচ্ছা করেন, আপনার রব তা-ই শীঘ্র পূর্ণ করে দেন।" ( বুখারী হাদিস, হাদীস নং 311 )
মাঝে মধ্যেই মুহাম্মদ এমন কিছু আয়াত পয়দা করে ফেলতেন, যা অতীতে নাযিলকৃত আয়াতের বিরোধী। এরুপ পরস্পরবিরোধী আয়াত আনয়ন করে ফেললে খুবই বিপদে পড়তে হতো মুহাম্মদকে। এমনকি, অনেকেই মুহাম্মদকে বলেছে যে, মুহাম্মদ নিজের মনগড়া কথাবার্তা নিয়ে আসে ও সৃষ্টিকর্তার নামে চালিয়ে দেয়। হুম… এমন হলে তো বড়ই বিপদ! কি করা যায়… কি করা যায়… সমস্যা নেই, মুহাম্মদের বিপদে আল্লাহ তো আছেই। মুহাম্মদ আল্লাহকে ফোন করে দিলো আর অমনি এর সমাধান দিয়ে কিছু আয়াত নাযিল হয়ে গেলো!
Quran 2:106
আমি কোন আয়াত রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান?


.......................


কোরানে নবী মুহাম্মদকে নারী সম্ভোগের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে। কোন মুমিন নারী নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করলেই সে নারী নবীর জন্যে হালাল! নবীর মন চাইলেই তাদের বিয়ে করতে পারবে। আর এই সুবিধা শুধুমাত্র নবী মুহাম্মদের, অন্য কোন মুমিনের জন্যে এই নিয়ম নয়, অন্য মুমিনরা ৪ টার অধিক বিয়ে করতে পারবে না। সুবহানাল্লাহ! আর, দাসীদের সাথে সেক্স করাকে বৈধতা দেয়া হয়েছে। চলুন, আয়াতটি দেখে আসি।

Quran 33:50
হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য–অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।



.......................


জয়নব ছিল মুহাম্মদের ফুফাতো বোন। মুহাম্মদ তার ফুফাতো বোনকে নিজ পালক পুত্রের সাথে বিয়ে দেন জোরপূর্বক। জয়নব ও তার ভাই এই বিয়েতে রাজি ছিলো না। কিন্তু মুহাম্মদ কোরানে নিম্নোক্ত আয়াত ডাউনলোড করে ভয় দেখিয়ে জয়নব ও তার ভাইকে রাজি করায় বিয়েতে। আপনারা বিস্তারিত জানতে আয়াতটির তাফসীর ঘেটে দেখে নিতে পারেন।

Quran 33:36
আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট তায় পতিত হয়।

এভাবেই ফুফাতো বোন হয়ে গেলো তার পুত্রবধু! এর অনেক দিন পর… একসময় মুহাম্মদের নজর পড়ে জয়নবের উপর। জয়নব ব্যাপারটা বুঝতে পেরে তার স্বামী জায়েদকে জানায়। জায়েদ ভালো করেই জানতো যে, মুহাম্মদ যা চায় তা আদায় করেই ছাড়ে। তাই ঝামেলা এড়ানোর জন্য সে জয়নবকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু লোকে তো কথা বলবে। সুতরাং মুহাম্মদ বুদ্ধি করে একটা আয়াত পয়দা করে দিলেন কুরানে, এই বলে যে, পালিত পুত্র কোন পুত্রই নয়।

Quran 33:4
…তোমাদের পোষ্যপুত্রদেরকে তোমাদের পুত্র করেননি। এগুলো তোমাদের মুখের কথা মাত্র।…



.....................



হুনাইনের যুদ্ধ চলছিলো। নবী মুহাম্মদ সে সময় যুদ্ধে অংশ নিতে আওতাস নামক স্থানে তার সৈন্যদল প্রেরন করলেন। সৈন্যরা গিয়ে যুদ্ধে অংশ নিলো, পারদর্শিতা প্রদর্শন করে যুদ্ধে অমুসলিমদের বিরুদ্ধে জয়ী হলো। আলহামদুলিল্লাহ। তারপর শুরু হলো আসল কার্যক্রম। বন্দী করা হলো সকল অমুসলিম নারীদের। এদেরকে বলা হয় যুদ্ধবন্দীনি বা দক্ষিন হস্তের অধিকারভুক্ত নারী। যাদের স্বামী মারা গেছে তাদের সাথে সেক্স করতে কোন সমস্যা নাই। সমস্যা হল যেসব মেয়েদের স্বামী বেঁচে আছে তাদের নিয়ে।

মুহাম্মদ ভাবল, "আল্লাহকে দিয়ে সধবা যুদ্ধবন্দীনিদের ধর্ষনটা হালাল করে নিলে কেমন হয়? যেই চিন্তা সেই কাজ। তাৎক্ষনাৎ কুরানে পয়দা হয়ে হয়ে গেলো আয়াত। চলুন, আয়াতটি দেখে নিই।
Quran 4:24
...... নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়–এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম…

উক্ত আয়াতটি সুরা নিসার ২৪ নম্বর আয়াত। এইটার আগের আয়াতে অর্থাৎ ২৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ কিছু নারীর একটা লিস্ট ঘোষনা করেছিলেন যাদেরকে বিয়ে করা যাবে না। অর্থাৎ ওসব নারী বিয়ের জন্যে নিষিদ্ধ। তো, এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ নাম্বার আয়াতে এসে বললেন যে, সকল সধবা নারী বিয়ের জন্যে নিষিদ্ধ। তবে… তবে, দক্ষিন হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায় তাদের ছাড়া। যুদ্ধবন্দীনি নারীরা সধবা হলেও অর্থাৎ যুদ্ধবন্দীনিদের স্বামী বেঁচে থাকলেও তাদের সাথে যৌনমিলন করা যাবে আরামসে। ব্যাস! আর কি চাই।


মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কাছে বাংলার নারীদের ধর্ষণ করা অন্যায় মনে হয়নি। কারণ মহাম্মদের কাছ থেকেই ওরা শিখছে। মুক্তিযুদ্ধের বীজ 1400 বছর আগে মক্কা মদীনার মাটিতেই রোপন হয়ে গেছিল।
Don't trust me. Research about it. আল্লা মুহাম্মদের ফেক আইডি। পৃথিবীতে যত বাজে আইডিয়া আছে যেমন মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, ফ্যাসীবাদ, হিটলারের নাৎসীবাদ। সকল বাজে আইডিয়ার জননী হল ইসলাম। কমেন্টে অনেকেই বলবে, "আমরা কি আমার ধর্ম কিছু বলি ?" ... গাধারা বুঝেই না যে এক ধার্মিক কখনো অন্য ধর্মের সমালোচনা করতে পারে না। ধর্মের সমালোচনা একমাত্র নাস্তিকরাই করে। আর ধর্মানুভূতির কোন মূল্য নাই।



সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:২৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×