পুরনো তোমাকে খত লিখি নূতন আমি
শান্ত সোম্য নিরিবিলি শাদা পাতায়।
ভাড়াটে হৃদয় আসে ভাড়া শুণ্যতার ভেলায়
গগণ উদাসী এলোকেশি হাওয়ায়!
নায়ের পাটাতনে সারারাত্রি জাগরণের
অদ্ভুত সন্যাসি নক্ষত্রের ম্রিয়মান রেখায়।
ধূপকাঠি যা জ্বলছিলো রসনার নৈম্যত্তিক
আঁধারে, সতীন চাঁদ এসেছিলো কৃষ্ণপক্ষের কালে!
ধূম্র আলো_আঁধারির খেলায় লিখেছিলাম
পুরনো তোমাকে থকথকে দুধশাদা পাতায়!
প্যাপিরাসের উথাল পাথাল খসখসে শরীরে
বলপয়েন্টের কালো এলোমেলো দাগ!
কখনো এঁকেছি বা এক ফালি মেঘ,
রোদ্দুর সমাচার, বায়ুর গতিবেগ, যত্রতত্র
লাগাম ছাড়া কতো কী, কতো আবেগ!
পুরনো তোমাকে, অমোচনীয় কালির দীর্ঘ চিঠি!
কালের পাতায় লেখা আছে কতো কী
পুরনো তোমাকে নূতন আমি!
তোমার হেঁটে যাওয়া খালিপায়ের পদচিহ্নে
কিছু শুষ্কঘাস, একটা শুকনো গোলাপ
পড়ে রয় নিরিবিলি, পাশ ফিরে বহমান
চলে যায় এঁকেবেকে, করে সমূদ্র প্রীতি।
কালের খেয়ায় কালের পুরাণ—
পুরনো তুমি, বদলে যাওয়া আমি!
অভিনয়ে পটিয়শি হৃদয়ের পুষ্পমাল্যে
সাজিয়েছি সবুজের আলোকলতা!
শাদা পাতায় ভাসিয়ে দিলাম শুণ্যতা!
ছবিসূত্র
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:০৯