somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টাকাই কি তাহলে সবকিছু?

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



রাস্তার পাশের বড় দোকানটায় আমি প্রতিদিন রাত ১২ টার দিকে একজন মানুষকে দেখি। সাদা শার্ট পরা মানুষটা খুব ক্লান্ত- শ্রান্ত ভঙ্গিতে দোকানে ঢুকেন। জগতের সব ক্লান্তি তার চোখেমুখে লেপ্টে থাকে। ঘোর বর্ষার রাতেও বৃষ্টিতে জুবুথবু হয়ে কাক ভেঁজা মানুষটাকে দেখেছি। তিনি প্রতিদিনই দোকানে ঢুকেন ১০ টাকার একটা নোট হাতে নিয়ে; সেটা দোকানির হাতে দিতে দিতে ডিসপ্লেতে রাখা বক্স থেকে ২ টা পাঁচ টাকা দামের কেক হাতে নেন। কিংবা কখনোও শুধু ৫ টা এক টাকা দামের লজেন্স৷ এবং জিনিসটা প্রতি রাতেই ঘটে। বুঝি; কেক কিংবা লজেন্সগুলোর সাথে জড়িয়ে আছে তার ছেলেমেয়ের ভালোবাসা। সারাদিনের হাড়ভাঙ্গা খাটুনি শেষে আপন নীড়ে যখন মানুষটা ফিরেন; ছেলেমেয়েরা বাবার হাসিমুখের সাথেসাথে হয়তো চেয়ে থাকে ১ টাকা দামের লজেন্সগুলোর জন্য! বাবা হিসেবে এই মানুষটা স্বার্থক। ৫ টাকার কেক কিংবা ১ টাকার লজেন্স দিয়ে হলেও তিনি ছেলেমেয়েদের ভালোবাসা'টা জীবন্ত রাখার যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান। এই মানুষটার যদি অনেক টাকা পয়সা হতো- তাহলে কিন্তু চিত্র'টা পালটে যেত পুরোপুরি। রাস্তার পাশে গাড়ি দাড় করিয়ে ছেলেমেয়েদের জন্য দামি সব জিনিস কিনতে পারতেন। নিম্নবিত্ত এবং উচ্চবিত্তের এই পার্থক্য হলে, জানতে চাই- টাকাই তাহলে সবকিছু?

স্বল্প আয়ের এই মানুষটার বিপরীতে ঠিক একই দোকানে আমি আমার পাশের বাসার মানুষটাকে কল্পনা করি। নাবিহা ও নাফিসা নামে যে মানুষটার দুটো ফুটফুটে মেয়ে আছে। বাসার সাথে মেয়েরা দোকানে যায়; বাবা বলেন- মা, কি কি কিনবা বলো? ২ টা আইসক্রিমে হবে? তুমি সিউর? ৪ টা নাও? কিটকাট নিবা? আর কি কি লাগবে?' দেখা যায়, দুটো মেয়েই প্রতিদিন ভ্যানেটি ব্যাগ রাখার স্টাইলে পলিথিনের দুটা ব্যাগ হাতে নিয়ে হাসিমুখে বের হয়। তাদের বাবা ওই নিম্নবিত্ত বাবার মতো না; তাদের বাবার প্রচুর টাকা। মেয়েদের পিছনে হাজার হাজার টাকা খরচ করলেও গায়ে লাগবেনা। নিম্নবিত্ত ওই বাবা হয়তো দিনশেষে ৫-১০ টাকার হিসেবও করেন। মাস শেষে ছেলেমেয়েকে স্কুলের টাকা দিতে হবে; সংসার চালানো লাগবে। ঘরভাড়া, গ্যাস বিল কত্তকি! ইচ্ছে করলেই এই বাবা ছেলেমেয়র জন্য দুই হাজার টাকা দামের মালেশিয়ান চকোলেট কিনে আনতে পারেন না। কিংবা ইচ্ছে ঠিকই হয়; বরং সাধ্য কুলোয় না। অর্থ অনর্থের মূল হলেও; অর্থ ছাড়া কিচ্ছু হয়না।

আমার পরিচিত এক বড়ভাই৷ মাষ্টার্স পাস৷ হন্য হয়ে চাকরি খুজেন। বাবার সামনে পড়লেই মাথা নত করে সালাম দিয়ে বলেন, চাচাজি দোয়া রাখবেন। আপনাদের দোয়া ছাড়া কিছু হবেনা। বাবা হয়তো ভাইটিকে এটা সেটা বলে অনুপ্রেরণা দেন। বিদায় হলে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বলেন, দোয়ার সাথে সাথে অন্য জিনিসও লাগে বাবা। এই কথার মানে বুঝতাম না। এখন বুঝতে শিখেছি; আমার ঐ ভাইটি একটি সরকারি ব্যাঙ্কে চাকরির অফার পেয়েছেন। তবে, চাকরিতে ঢুকতে হলে প্রভাবশালী কিছু মানুষকে লাখ পাচেক টাকা খুশি হয়ে দিতে হবে। চমৎকার ব্যাপার। মেধা বিক্রি হবে ৫ লাখ টাকায়। এমন ঘটনাও আছে, মেডিকেল এক্সামে টপ গ্রেড মার্ক পেয়েও ভর্তি হতে পারেনি কিছু তরুন মেধাবী ছেলেমেয়ে। কারন, সিট প্রতি ৩ লাখ টাকা দিতে হবে সরকার দলীয় একজন প্রভাবশালী নেতাকে৷ উনার হুকুমেই সব চলে। টাকা যারা দিতে পারবে তারাই ভর্তি হবে; মেডিকেলে পড়বে। গরীবরা মেডিকেলে পড়বে কেন? ওদের জন্য সরকারি কলকারখানা আছে। কিংবা, টাকা থাকলে সব হবে। মেডিকেল এক্সামের প্রশ্নপত্র থেকে শুরু করে মেডিকেলে এডমিশন। স্কুল- কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়- সবখানেই টাকার খেলা। যার বাপের টাকা আছে, সেই ঠিকে থাকবে।

আমার ভাবতেও কষ্ট হয়, ভিকারুননিসায় এডমিশন টেস্টে পাস করেও ক্লাস ওয়ানে আমার কাজিন'কে ভর্তি করত আড়াই লাখ টাকা গুনেছেন তার বাবা মা! এবার গ্রামের হতদরিদ্র ঘরের প্রচন্ড প্রতিভাবান মেধাবী একটা তরুন টগবগ ছেলের কথা ভাবুন; প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তি থাকা স্বত্ত্বেও CSE কিংবা EEE এর মত বিষয় নিয়ে পড়তে পারেনা সে৷ মাস শেষে হাজার হাজার টাকা লাগবে; সেগুলো আসবে কোথেকে? দরিদ্র হয়ে জন্ম নেয়াটা যেন অপরা! জীবনে কোনো সাধ ই পূরন হয়না। আমার কলেজ বন্ধুদের বেশ বড় একটা সংখ্যা ই প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়ে। হয় তারা পাব্লিকে চান্স পায়নি; কিংবা তাদের প্রচুর টাকা পয়সা আছে। CSE, EEEর মতো রসকষহীন বিষয় নিয়েও দিব্যি পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। এক্সাম না দিলেও, কিংবা এক্সামে ফেইল করলেও সমস্যা নেই! টাকা ঢাললেই হবে। রিএক্সামের নামে অধীক সংখ্যক টাকা নিয়ে ব্যবসা করছে ভার্সিটি গুলো। ছাত্রছাত্রীরাও খুশি, বাবা মায়ের টাকা জলে যাক ব্যাপার না; পড়াশোনা ত করছে তারা। আমি এমন একটা কলেজের নাম জানি যেখানে নখ লম্বা রাখার অপরাধে শাস্তিস্বরূপ কয়েকশো টাকা জরিমানা দিতে হয়! তাহলে ব্যাপারটা কি দাড়ালো? টাকা থাকলে আপনি-ই কিং; মানি ইজ সেকেন্ড গড৷



বাবুটা সাহেবী স্কুলে যাবার জিদে অনড়। মা তাই আরো বেশি খাঁটেন। কতো বেশি শূণ্য উদরে পার করলে ভর্তি ফিঃ'টা জমা করা যায় এই চিন্তাই মায়ের প্রধান কাজ। কিন্তু একজন কাজের লোকের বাচ্চা বলেই কর্তৃপক্ষ আগামীতে আসতে পারা সম্ভাব্য অর্থযোগান সংকটের ভয়কে সামনে রেখে অনায়াসে ভেঙে দেন দু'জুড়ো চোখের দেখা একটা স্বপ্নকে। তাহলে কী টাকাই সব? বাস্তবতায় ইমোশনের কোনো মূল্যে নেই শুনেছি; মানুষ এই টাকার জন্য হেসেখেলে মানুষ খুন করতেও পিছপা হয়না। টাকার জন্য নিজের বাবা-মায়ের মাথায় পিস্তল ঠেকাতেও ভয় পায়না মাদকাসক্তি ছেলে। আবার, টাকার জন্যই মেডিকেল থেকে রিলিজ না পাওয়ায় দাফন হয়না কতশত লাশের৷ টাকার জন্য কতশত প্রাণ অকালে ঝরে পড়ে একটুখানি চিকিৎসার অভাবে! দাদা, অর্থ অনর্থের মূল টাইপের ফিলোসফি ঝাড়ার আগে ভাবুন- টাকা ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ার পর কি হতে পারে? খালি পকেট আর খালি পেট মানুষকে যতটুকু শিক্ষা দেয় তা কোনো মহাবিদ্যালয়ও দেয়ার সামর্থ্য রাখেনা৷

মেয়েটিকে লোকে বেশ্যা বলে ডাকে ইদানিং। সে নিজেও নির্বিকার ভঙিতে ডেকে আনে ঘরে সেই পুরুষদের , যারা তার সঙ ভোগের বদলে দিতে পারবে তাকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। কিন্তু রাতের আধাঁরে তার কলঙ্কিত চোখের কোণে ও ভাসে অতি পবিত্র এক অতীত। সেই অতীত, যার পবিত্রতার সাধ্য ছিলনা তার অসুস্থ বাবার মুখে ঔষুধ তুলে দিবার। উদ্বাস্তু পৃথিবীতে তার পবিত্রতার যখন বিন্দুফোঁটা মূল্য পেলনা তখন সে আকাশে মুখ তুলে অদৃশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়তো..! তাহলে টাকাই কী সব?

লাখ টাকা হলে মানুষ ভাবে, আরোও পাচ লাখ টাকা যদি আমার হতো! কোটি টাকা থাকলেও মানুষ ভাবে তার যদি কোটি দশেক টাকা থাকতো! মিলিয়নিয়ার, বিলিয়নিয়ার, ট্রিলিয়নিয়ার; মানুষের চাহিদার শেষটা কোথায়? মরিস মাইনর গাড়ি থাকলে ভাবেন- কবে বিএমডব্লিঊ ফাইভ সিরিজের একটা গাড়ি হবে? আউদি গাড়ি কি কিনা যাবেনা? প্রাডো- ল্যান্ডক্রুজার, ল্যান্ড রোবার এগুলো তো সবাই চালায়; আমার যদি একটা শেভ্রোলেটের আলিশান গাড়ি থাকতো; মিলানে বাড়িঘর থাকতো- আহা কতই না ভালো হতো৷ খাবার খেতে ইচ্ছে করলেই পিৎজা হাট কিংবা কেএফসি'তে যাওয়া হয়, কিছুটা খেয়ে বাকিটা ফেলে দেয়া হয় ডাস্টবিনে! একবার ভাবুন সেই ছোট্টছোট্ট ছেলেমেয়েগুলোর কথা- যারা দু'দিন পেরিয়ে গেলেও ভাতের দানা চোখে দেখেনা৷ আমাদের কাছে দু'চারটা টাকা চাইতে আসলে লাথি দিয়ে তাড়িয়ে দেই; কিংবা মাফ চাই৷ আমাদের প্রচুর টাকা থাকলেও ২-৪ টাকা ওদের দেয়ার মানষিকতা থাকেনা।আবার, এই পথশিশুদের নিয়ে কেউ কাজ করলে- তাকে আমাদের সমাজ ফুটপাতের টিচার বলে! ওদের অস্তিত্ব আমরা কি চাইনা? তবে কেন? টাকা আমাদের চোখ দিয়ে স্বাভাবিক দেখার ব্যাপারটা অন্যভাবে দেখাচ্ছে কেন? টাকা থাকলে জগৎ একরকম; না থাকলে অন্যরকম! বিষয়টা অদ্ভূত নয় কি?

ছেলেটি জীবনে কখনো হারতে শিখেনি। সবাই যেখানে অসম্ভব দেখেছে, সেখানে সে গেঁড়েছে তার বিজয় নিশানা। জীবনে কী নেই তার? টাকা? সম্মান? বংশমর্যাদা? সেই বিজয়বীর ও যখন তার জীবনের আসল স্বার্থকতা কোন এক নারীর অথৈ রূপগহ্বরে খুঁজে নিতে চাইলো স্বর্বস্বের বিনিময়ে, কী পেলো সে তখন? ধোঁকা? ভীষন নাটকীয় ছুঁতোয় রূপসী তার নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মূল্যে তাকে পথে নামিয়ে দিলো শুধু টাকার জন্যে? তাহলে কী টাকাই সব?

টাকা হাতে না থাকলে আমরা আফসোস করি; টাকা থাকলে এই করতাম সেই করতাম। আর টাকা হাতে পেলে আমরা ভুলেযাই আমাদের পরিচয় কি! টাকা থাকলে বাবা সমান বয়সী রিক্সাওয়ালাকে দু'পয়সা বেশি চাওয়ার অপরাধে গায়ে তুলতেও দ্বিধা করিনা আমরা; টাকা না থাকলে কেউ ফকিন্নির পুত বলে গালি দিলেও সেটা হাসিমুখে সাধরে গ্রহন করি! ব্যাচেলর ছেলেরা মিতব্যয়ী হয় বলে জানি; ইচ্ছে করলেও তারা প্রেমিকাকে সপ্তাহে দু'তিন দিন চাইনিজ রেস্টুরেন্টে নিয়ে খাওয়াতে পারেনা৷ তাদের প্রেম ভালোবাসার গল্পগুলোও তাই সাদামাটা হয়৷ পাঁচ টাকা দামের বাদামের ঠোঙ্গা হাতে নিয়ে তারা কাঠিয়ে দিতে পারে ঘন্টার পর ঘন্টা সময়। ভালোবাসতে টাকা লাগেনা; অথচ ভালোবাসা রক্ষা করতে উচ্চবিত্তদের টাকা-ই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা লাগে৷

ইদানীং রাস্তাঘাটে হাটতে গেলে বিশাল বিশাল বিলবোর্ড চোখে পড়ে। একটা বিলবোর্ড আমায় যথষ্ট আকৃষ্ট করেছে। একটা রড কোম্পানির বিজ্ঞাপন৷ বিশাল সাইনবোর্ডটার একপাশে লেখা-
'বিশ্ব বলেছিলো পদ্মা সেতু সম্ভব না৷ ১৬ কোটি বাঙ্গালী এবং একজন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন- কেন না?' এখানেও কি টাকার ব্যাপারটা মাহাত্ম্য পাচ্ছেনা? বিশ্বব্যাঙ্ক'কের চোখে আঙ্গুল দিয়ে এবং সমস্ত বিশ্বকে চোখ রাঙ্গানী দিয়ে আমরা নিজেদের অর্থায়নেই পদ্মাসেতু বানাচ্ছি! অসম্ভব কাজটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর একটা সিদ্ধান্তেই; আর পিছন থেকে কাড়ি নেড়েছে আমাদের রাষ্ট্রীয় টাকা। টাকাই সবকিছু দাদা,
টাকা থাকলে সব হয়।

আমি চাইনা কখনোই টাকার জন্য কোনো বাবা- মায়ের কূল খালি হোক; কখনোও কোনো মেধা নিঃশব্দে বিদায় নিক, কোনো মানুষ টাকার জন্য বিনা চিকিৎসায় না মরুক; কোনো বাবা টাকার ব্যবস্থা করতে না পেরে আত্মহত্যা করুক; কোনো লাশ টাকার জন্য তালাবদ্ধ আটকে থাকুক; কোনো ছাত্রছাত্রী টাকার জন্য পড়াশুনা বাদ দিক; আমি চাইনা এগুলা চাইনা। যতই চাওয়াচাইয়ি করিনা কেন- দিনশেষে টাকাই কিন্তু কথা বলবে! টাকা ই কি তাহলে সব?

© আহমদ আতিকুজ্জামান।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১
১১টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামহীন দুটি গল্প

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

গল্প ১।
এখন আর দুপুরে দামী হোটেলে খাই না, দাম এবং খাদ্যমানের জন্য। মোটামুটি এক/দেড়শ টাকা প্লাস বয়দের কিছু টিপস (এটা আমার জন্য ফিক্সড হয়েছে ১০টাকা, ঈদ চাদে বেশি হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×