somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অন্যরকম ভালোবাসা (শুভ পুস্পিতার প্রেম অধ্যায়)

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

- দুঃখিত,এই মুহূর্তে সংযোগ দেয়া...

ধুর, মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল পুস্পিতার... একে তো রাত বাজে ১২ টা, এখনও আসছে না, তার উপর গাধাটা ফোন বন্ধ করে রেখেছে। আসুক, আজকে শুভ'র একদিন কি আমার একদিন... বারান্দায় বসে শুভকে শিক্ষা দেয়ার প্ল্যান করছে পুস্পিতা । বাসায় আর কেউ নেই । কাজের মেয়েটা গতমাসে বাড়িতে গেছে, এখনও আসে নাই, আর মনে হয় আসবে না। ওরা দুইজনই চাকরি করে, তার উপর পুস্পিতা রান্না বান্না তেমন একটা পারে না । তারপরেও কোনমতে কাজ চালাচ্ছে, শুভ অনেক হেল্প করে কাজে। আজ ওর অফিস ছিল না, তাই ভাবল আজ শুভ'র জন্য ভাল কিছু রান্না করবে। মাকে ফোন দিয়ে রেসিপি নিয়ে শুভ'র পছন্দের অনেক কিছুই রান্না করেছে... আর আজই ওনার আসার কোন খবর নাই,কি এমন কাজ পড়ে গেল... ফোনটাও বন্ধ। মেজাজটাই খারাপ লাগছে... কলিংবেল বাজল... শুভ ঘরে ঢুকতেই পুস্পিতা ঝাড়তে শুরু করল,

-এত দেরি কেন আজ? আর ফোনই বা বন্ধ কেন শুনি?

- ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গিয়েছিল,সরি...

-একবার জানাতে তো পারতে, কতক্ষন ধরে অপেক্ষা করছি।

বিরক্ত স্বরে শুভ বলল,
-আরে বাবা বললাম তো চার্জ শেষ হয়ে গিয়েছিল,তাই জানাতে পারি নাই... এত প্যাঁচাও কেন তুমি? ক্ষুধা লেগেছে, খাবার দাও।

আহত চোখে শুভ'র দিকে তাকাল পুস্পিতা । বলল,
' টেবিলে খাবার দিচ্ছি, ফ্রেশ হয়ে এসো।'

খেতে এসে চুপচাপ খাওয়া শুরু করল শুভ। একটা কথাও বলল না, একবারও বলল না যে এতকিছু তুমি কিভাবে রান্না করেছ? পুস্পিতার কান্না পাচ্ছে। শুভ কি একবারও বলতে পারত না যে ' তুমি খেয়েছ'? ওর হয়ত পুস্পিতার কথা মাথাতেই নেই। শুভটা এরকমই... পুস্পিতা খুব ভাল করেই শুভকে চেনে, তারপরেও প্রতিবার কষ্ট পায়। পুস্পিতা আর না পেরে বলেই ফেলল,

-তুমি এমন কেন? আমি কত কষ্ট করে তোমার জন্য এত কিছু রান্না করলাম, একসাথে খাব বলে কতক্ষন ধরে অপেক্ষা করছি, আর তুমি আমাকে একবারও বললে না খেতে।

শুনে থতমত খেয়ে গেল শুভ...
-সরি সরি... প্রচণ্ড ক্ষুধা পেয়েছিল তো... আমি যে কি না? কেন যে বার বার এরকম করি... i m sorry...প্লিজ কষ্ট পেও না,প্লিজ।

শুভটা এরকমই। পুস্পিতা ঠিক শুভকে বুঝতে পারে না... ও যে ইচ্ছা করে পুস্পিতাকে কে কষ্ট দেয় তা না... ও ব্যপারগুলা বোঝেই না, পুস্পিতা জানে। ওদের বিয়ে হয়েছে প্রায় ৩ বছর হল, এর আগে প্রায় ৪ বছর প্রেম করেছে ওরা। প্রেম বিষয়টা আসলে শুভ'র সাথে যায় না। পুরাই রোবট টাইপ একটা মানুষ, কেন যে ওর মত একটা ছেলের প্রেমে পড়ল পুস্পিতা ভেবেই পায় না। সবসময় পুস্পিতার একটাই অভিযোগ ছিল যে শুভ একটুও romantic না। ওর বান্ধবীর boyfriend রা ওদের জানপাখি প্রানপাখি কতকিছু ডাকতো ,কতকিছু করত, আর শুভ এসবের ধারকাছ দিয়েও যেত না। পুস্পিতা জানে শুভ ওকে ভালবাসে, কিন্তু ওর সবকিছুতে এত নির্বিকার ভাব ভাল লাগে না। বিয়ের আগে পুস্পিতা খুবই confused ছিল যে শুভ আসলেই ওকে ভালবাসে কি না। তারপরেও risk নিয়েছে এবং অনেক ঝড় ঝাপটা পেরিয়ে বিয়েটা করেই ফেলেছে। ভুল করে নি পুস্পিতা , এটা ও জানে। ও জানে শুভও ওকে ওর মতই ভালবাসে...ভালই আছে ওরা, তারপরেও এসব ছোটখাটো ব্যপার মাঝে মাঝেই ওকে কষ্ট দেয়।

খেতে খেতে পুস্পিতা শুভকে বলল,
-আজ মা ফোন দিয়েছিল

-কি বলল আম্মু? আমাকে তো ফোন দেয় না, ছেলের চেয়ে বউএর দরদ বেশি দেখা যায়। আমার আম্মু টা তোমার মধ্যে কি যে পাইছে আল্লাহই জানেন।' বলেই মুচকি হাসল শুভ... এই ব্যপারটা ওর খুবই ভাল লাগে। মেয়েটার মধ্যে কি যেন আছে, সবাইকেই আপন করে নেয়।

-ফাইজলামি বাদ দাও, মা বলল নাতির মুখ দেখতে চায়... অনেকদিনই মা আকার ইঙ্গিতে বলেছে,আজ সরাসরিই বলল। আমারও এরকমই ইচ্ছা,তুমি কি বল?

-আজব!! তোমাকে বলেছি না এখনি না... কেন কয়দিন পর পর এই টপিক তোল?- রাগান্বিত স্বরে শুভ বলল।

-এখন না তো কখন? ৩ বছর তো হয়ে গেছে... আমাদের না প্ল্যান ছিল ২ বছর পরেই একটা বাবু হবে আমাদের?

-ওসব বিয়ের আগের কথা এখন কেন তুলতেছ?

-মানে কি? বিয়ের আগের কথা কি এমনি ছিল? কত না প্ল্যান ছিল আমাদের,বাবুর সবকাজ তুমি করবা,আমি শুধু বসে বসে দেখব। বাবুর নাম হবে আয়াত। এখন এরকম কেন কর তুমি?' চোখে পানি টলমল করছে পুস্পিতার

- আমাকে আরও কিছুদিন সময় দাও। আরেকটু গুছিয়ে নেই। আর আম্মুকে আমি বুঝিয়ে বলব। ব্যপারটা আপাতত বাদ দাও।

- আর কতদিন বাদ দিব? কিছু বললেই তুমি avoid করে যাও......আজকে তোমার প্রব্লেমটা ক্লিয়ার কর আমাকে।

-ধুর, এর জন্যই তোমার সাথে কথা বলতে চাই না। কথা তো কিছু বুঝবা না, অযথা তর্ক করবা...

- কোনটা অযথা তর্ক, শুনি? বিয়ের আগে একরকম কথা, বিয়ের পরে আরেকরকম কেন? আর অযথা অজুহাত দিবা না, আমাদের অবস্থা যথেষ্টই ভাল... আর গুছিয়ে নেয়ার কিছু নাই।

-তোমার সাথে কথা বলারই কোন মানে হয় না।- বলে বেডরুমে চলে গেল শুভ, ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দিল। পুস্পিতা বারান্দায় একা বসে আছে... এই একটা ব্যপার কোনভাবেই মিলাতে পারে না ও। আর সবকিছু ঠিক আছে, কিন্তু বাচ্চা নিতে চায় না শুভ। বললেই রাগারাগি করে, অথচ ওরই এই ব্যাপারে আগ্রহ বেশি ছিল। কাঁদছে পুস্পিতা ...
মাঝে মাঝে রাগও লাগছে। কেন এরকম করবে শুভ? অযথা কেন রাগারাগি করবে? আগে সবসময় শুভকে বলত পুস্পিতা ' এমন কি করেছ তুমি আমার জন্য যাতে আমার মনে হয় যে তুমি আমাকে ভালবাস?' আজ আবার এই কথাটা জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা করছে শুভকে ।

সকালে শুভ এসে পুস্পিতাকে বলল,
- আমি সরি পুস্পো, কাল একটু বেশি করে ফেলেছি... সরি,মন খারাপ করো না,প্লিজ।

পুস্পিতা কোন কথা বলল না। রাগে ওর গা কিটকিট করছে। নাস্তা করে অফিসে চলে গেল,ফোনটা বন্ধ করে দিল। পুস্পিতা অফিস থেকে ইচ্ছা করে দেরি করে ফিরল,এসে দেখে শুভ শুয়ে আছে। ও আর কোন কথা না বলে খেয়ে শুয়ে পড়ল। শুভ'র সাথে কোন কথাই বলল না।

পরদিন সকালে উঠে ফোন অন করতেই দেখে ওর।এক বড় আপু ম্যাসেজ পাঠিয়েছে। ওর cousine,ডাক্তার। তিথি কল ব্যাক করল। আপু ফোন ধরেই বলল,

-কি সমস্যা তোর? তুই এখনও শুভকে বলিস নাই যে ওইটা fun ছিল?

- মানে কি!!!!তুমি কিসের কথা বলছ?

-তোর প্রেগন্যান্সির কথাটা...

-কি বল তুমি? তুমি সেদিন শুভকে কি বলেছিলা??

-আমি ওকে বলেছিলাম যে তোর একটা প্রব্লেম আছে, তুই।কখনও প্রেগন্যান্ট হতে পারবিনা। হলেও তোর এবং তোর বাচ্চা দুইজনেরই মারা যাওয়ার possibility বেশি । আমি তো ভেবেছিলাম তুই ওকে তখনই বলে দিয়েছিস। কাল শুভ আমাকে ফোন দিয়ে বলে যে এর কি কোনই treatment নেই? যত টাকা লাগে খরচ করবে আমিতো অবাক...শুভকে কিছু বলি নাই,তারপর থেকেই তোকে ফোন দিচ্ছি।

ফোন রেখে পুস্পিতা স্তব্ধ হয়ে বসে আছে... বিয়ের.২ বছর আগের কথা। শুভ'র কোন কাজেই ওর মনে হত না যে শুভ ওকে ভালবাসে।শুভ ওকে আসলেই ভালবাসে কি না এটা টেস্ট করার জন্য পুস্পিতা ওর ডাক্তার cousine কে বলেছিল শুভকে এই কথাটা বলতে। তারপর সেদিনই শুভ'র সাথে ওর কি নিয়ে যেন ঝগড়া লাগে,এরপর ৩ দিন কথা বলে নাই।এর মাঝে পুস্পিতা ভুলে গেছে এই ব্যপারটা। আপুকেও জিজ্ঞেস করতে মনে ছিল না। ওর মাথায় কিছুই ছিল না, আর শুভ এটাকে সত্য ভেবে 5 টা বছর ধরে কষ্ট পাচ্ছে!! ও কোনদিন মা হতে পারবে না জেনেও শুভ ওকে বিয়ে করেছে, এতদিনে একবারের জন্যও ওকে বুঝতে দেয় নাই... আর সেই শুভকে ও ভুল বুঝেছে এতদিন!!! শুভ সবসময় বলত,'
-আমি হয়ত তোমাকে সুখি করতে পারি না, আর দশটা boyfriend বা husband এর মত romantic কথা বলতে পারি না, কিন্তু কোন একদিন তোমার জন্য এমন কিছু একটা করব যেটা সবাই করে না।' শুভ আজ সেটা করে দেখিয়েছে। মা হতে পারবে না জেনেও কয়টা ছেলে বিয়ে করে??এতটা ভালবাসে? পুস্পিতার চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে, এই ছেলেটাকে সে এত কষ্ট দিয়েছে... পুস্পিতা রুমে গিয়ে দেখল শুভ অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে... দৌড়ে ওর বুকে ঝাপিয়ে পড়ল পুস্পিতা ... সব খুলে বলল...

শুনে শুভ হাসতে হাসতে বলল,
-দিলা তো আমার শার্ট এর বারটা বাজিয়ে... এখন অফিসে যাব কিভাবে?? অফিসে আমার এত্তগুলা সুন্দর সুন্দর মেয়ে কলিগ... আমার একটা ইমেজ আছে না...
বলেই দিল দৌড়... এখন এই মেয়ের আসেপাশে থাকাটা নিরাপদ না। হাতের কাছে একটা বালিশ ছিল তাই নিয়ে পুস্পিতা ছুটল ওর পিছনে,

- আজ তোমার অফিসে যাওয়া আমি বের করতেছি... দাড়াও...
ভাবটা এমন যে বালিশ দিয়েই শুভ'র মাথাটা ফাটিয়ে দিবে আজ।
একজনের পিছনে আরেকজন সাড়া ঘর দৌড়াচ্ছে, দুইজনেরই চোখে পানি আর মুখে হাসি... প্রকৃতি খুবই অদ্ভুত!!!


__ আহমেদ শুভ৯৬৯
ahmed shuvo969
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৩
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×