somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিউ হাছান

২৪ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছোট্ট ছেলেটি একটা ব্যাগ হাতে নিয়ে বাজারে যাচ্ছে তাহার বাবার দোকানে.বাজারে গিয়ে দোকানে ডোকেই বল্লো.

আব্বা আমি আইয়ালাইছি তারাতারি চাউল কিন্নাদেন আম্মায় কইছে ঘড়ে চাউল নাই.

তাহার বাবা তাহার মুখের দিকে তাকিয়ে বল্লো
আইছত বাবা একটা কাম কর তুই আবার বাড়ি থেইক্যা একটা গোরান দিয়া আয়.
ছেলে বল্ল
কেরে আব্বা বাবা তখন কিছু না বলে
যাতো তুই" আমি মাগরিবের নামাজ পরে আইতাছি.

ছোট্ট ছেলেটি তখন গান গাইতে গাইতে বাড়ি হতে ফিরে এলো...এবং বল্লো

আব্বা চাউল কিন্নাদেন আম্মায় ভইয়া রইছে.

তার বাবা বল্লো ........
একটু ধৈর্য্যদর তর দাদায় আইবো তারপর.

কোন দাদা আব্বা.
সবুর করতে পারছিনা আইলেতো দেখবি.

তখন প্রায় অন্ধকার হয়ে এসেছে. ছেলেটি হেনরিকেন পাসে উপর হয়ে বসে আছে আর তার বাবা কোদাল দিয়ে দোকানের বিটিটা সমান করতেছে. ছেলে একটু পর পর বলে আব্বা দাদা আসেনা কেনো.আর বাবা ছেলেটিকে শান্তনা দিয়ে বলে এখনি এসে পরবে.এমন করতে করতে রাত প্রায় নয়টার মত বেজে গেলো কেউ আসেনা.

কিছুক্ষণ পর একজন বৃদ্ধ লোক আসলো এবং বল্লো.
কইরে তুই আমি আইছি একটু অপেক্ষা কর আমার ছেলেটা আইতেছে. হেতে লইয়া আইবো.

বাবা তখন তার ছেলেকে বল্লো কিরে বাবা পেটে খুদা লাকছে একটু অপেক্ষা কর এখনি বাড়িতে চলে যাবো...

কিছুক্ষণ পর একটা লোক একটা লুঙির মধ্যে পেচিয়ে তিন চার কেজির মত চাউল নিয়ে আসলো.

এরপর এই চাউলগুলি নিয়ে বাবা তার ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে গেলো.এবং রান্না করে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করলো তখন রাত প্রায় বারটা...

কথা হলো ছেলেটির বাবা ছিলো একজন টেইলার্স.তার পুজি বলতে শুধু একটা মেশিন .
ঐদিন তাহার কোন ইনকাম হয়নি যায় কারনে এক কেজি চাউল ক্রয় করার পয়সা তাহার পকেটে ছিলো না.
সেই জন্য আগে থেকেই তাহার পরিচিত ও ভাল সম্পর্কের একজন দফেদার ছিলো যাকে চাচা বলে ডাকতো. অনেক সমস্যার কথা তাহার সাথে বলতো..টাকা পকেটে না থাকার ব্যপারটা ও আগে বলেছিলো. তখন দফেদারের নিকট টাকা না থাকার কারনে নিজের বাড়ি হতে চাউল এনে দিয়েছিলো.
বর্তমানে এই রকম মানুষ পাওয়া বড়ই দূশকর.
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ


১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×