দেশের আইনশৃঙ্খলা কখনোই এখনকার চেয়ে ভালো হবে না। ভালো না হলে ক্ষমতায় ঠিকে থাকা সম্ভব না।
8--সরকারের জনপ্রশাসন ও পুলিশ এর আশি থেকে নব্বই ভাগই আওয়ামীলীগ এর সমর্থক ।ফলে তারা বিএনপি সরকারের পক্ষে ভালো কাজ করবে বলে মনে হয় না।আর এই দুই সেক্টরে সরকারের শুভাকাঙ্খী বেশি না থাকলে ঠিকে থাকা প্রায় অসম্ভব ।
9--বিএনপি ক্ষমতায় আসলেও ভারতের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।কারণ দুইটি--এক-বিএনপি মানসিক ভাবে ভারত বিদ্বেষী। দুই-ভারত আওয়ামী লীগের চাইতে বিএনপির কাছে কখনোই বেশি পাবে না। অথচ যে যা ই বলুন , ভারত ছাড়া বাংলাদেশের অবস্থা অতো ভালো হবে না।কারণ আমাদের বাণিজ্যের বিরাট অংশ ভারতের সাথে।
10--এখন দেশে বিদ্যুতের প্রায় 50 ভাগই আসে কুইক রেন্টাল থেকে।বিএনপি বছর পার করতে না করতেই এসব কুইক রেন্টাল প্লান্ট গুলো প্রায় অচল হয়ে পড়বে।ফলে ব্যাপক হারে দেখা দেবে বিদ্যুত সংকট।আর এটা দেশের মানুষ মেনে নিতে আদৌ রাজি হবে বলে মনে হয় না।সাধারণ মানুষ কেনোর কোন উত্তর চাইবে না, চাইবে বিদ্যুত।
11--সেনা বাহিনীর চেইন অফ কমাণ্ডের উপরের পাঁচ-ছয় ধাপ পর্যন্ত আওয়ামী সমর্থক অফিসার আছেন।যদি এখানে বড় কোন রদবদল হয় তবে সেনাবাহিনীর ভেতরে বা সরকারের সাথে সেনা বাহিনীর অসন্তোষ দেখা দিতে পারে যা ক্ষমতায় ঠিকে থাকার ক্ষেত্রে বড় বাধা।
12--আওয়ামীলীগ প্দ্মাসেতু সহ কিছু ক্যাপিটাল বাজেটের কাজ শুরু করেছে দেশীয় উদ্যোগে যা একটা দুঃসাধ্য কাজ ।বিএনপি কাজগুলো কন্টিনিউ রাখতে গেলেই বিপদে পড়ে যাবে।অথচ কাজগুলো সমাপ্ত করতেই হবে নইলে জন অসন্তোষ অবশ্যম্ভাবী।
13--অতিরিক্ত ব্যয় মিটানোর জন্য সরকার বিভিন্ন খাতে ট্যাক্স বাড়ানোর কথা চিন্তা করতে পারে । কিন্তু প্রায় সব সেক্টরে ট্যাক্সের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে গত পাঁচ-ছয় বছরে।নতুন করে বাড়াতে গেলেই বিপদে পড়বে সরকার।
14--বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আবারো আস্তিক নাস্তিক এর বিষয়টা জটিল আকার ধারণ করবে।ফলে বিপদে পড়বে সরকার।
15--বিএনপি ক্ষমতায় আসলেই হেফাজত সহ কিছু ইসলামী সংগঠন আছে যারা দাবি জানাবে শরিয়া আইন বাস্তবায়নের।সব সম্ভব না হলে অন্তত পক্ষে ব্লাসফেমি সহ কিছু আইন করার করার দাবি তো উঠবেই।কিন্তু আন্তর্জাতিক মহল এটা মোটেও মেনে নেবে না।অলরেডি বিএনপির কিছু নেতা হেফাজতের আন্দোলনের সময় আশ্বাসও দিয়েছিলেন তারা ক্ষমতায় গেলে ব্লাসফেমি অইন সহ হেফাজতের কিছু দাবি মেনে নেবে।
16-মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অনেকেই বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।বিএনপি ক্ষমতায় আসলে এই শ্রম বাজার খুলবে যে তার নিশ্চয়তা নেই।অনেকেই বলেন বিএনপির প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সফটকর্ণার রয়েছে।যদি তাই হয় তবে বিএনপির দুঃসময়ে তারা কোন কথা বলেনি কেন?? ফলে রেমিট্যান্সে ঘাটতি দেখা দেবে
দখা দেবে।
17--বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জামায়াত টুডে অর টুমরো তাদের সঙ্গ ছেড়ে দেবে নিশ্চিত।ফলে মূলত তাদের শত্রুর তালিকাই বড় হবে, বন্ধু নয়।
18-পাকিস্তান, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাস্ট্র সহ প্রধান দেশগুলো বর্তমান সরকার বিরোধী।এরাই এখন বিএনপির ক্ষমতায় আসার কথা বলছে।অথচ এই দেশগুলো সব সময় বাংলাদেশ কে গিনিপিগ হিসেবে ব্যাবহার করে এবং সুবিধা নেয়।বিএনপির পক্ষে এদের কথা বলার অর্থ হচ্ছে বিএনপি এদেরকে আওয়ামী লীগের চাইতে বেশি সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
এখন যারা ভারতের কাছে দেশ বিক্রির হুযোগ তুলছেন বিএনপির আমলে এরা কি বলবেন??
নিশ্চয়ই বিএনপি আওয়ামী লীগের চাইতে বেশি ক্ষতি করবে দেশের।আর জনগন তো এটা হতেই দেবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২০