somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

।। সানডে নাইট , ব্লগারস আড্ডা - সাথে আছেন ব্লগার হাসান মাহবুব ।।

১৬ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





সানডে নাইট ব্লগারস আড্ডার এবারের আয়োজনের আমাদের সঙ্গী হয়েছে সামহ্যোয়ার ইন ব্লগের সবচেয়ে জনপ্রিয় , আমাদের সবার প্রিয় গল্পকার ব্লগার হাসান মাহবুব উরফে হামা ভাই । ভোর অবধি চলা আমাদের এই আড্ডার দিকে চোখ বুলিয়ে নিন দ্রত ।





সানডে নাইট - হাসান ভাই , সামহ্যোয়ার ইন ব্লগ দুনিয়ায় আপনার আগমন কিভাবে ?


হাসান মাহবুব - আমার কাজিন নস্টালজিক ওরফে রানা ভাই এর সাথে ফেসবুকে চ্যাট করতে গিয়ে দেখি, একদিন সে বাংলা লিখছে। অভ্র দিয়ে। নতুন বাংলা লেখা শিখে সে খুবই উচ্ছসিত। সচলায়তনে অতিথি ব্লগার হিসেবে লিখছে। সেই আমাকে প্রথম বাংলা ব্লগে লিখতে উদ্বুদ্ধ করে। আমি কয়েকটা ব্লগ দেখে সামুতেই রেজি করে ফেলি। পরে ফেসবুক নোট থেকে একটা কবিতা দিয়ে দিই ঝটপট। এভাবেই শুরু। মজার ব্যাপার হল, সেই রানা ভাইয়া ব্লগে এখন আমার জুনিয়র। পরে তাকেই অনেক ঠেলাঠেলি করে সামুতে আনতে হয়েছে। হাহাহা!



সানডে নাইট - আপনার প্রথম পোস্ট তাহলে কবিতা ?
ভুল না বললে কবিতাটির নাম 'টু লাভবার্ডস'

কি ভেবে কবিতাটি লেখা ?


হাসান মাহবুব - হ্যাঁ, ওটাই আমার প্রথম পোস্ট। ঐ কবিতার দুই পক্ষী হৈলো আমগো গুলাবী ম্যাঠাম আর হাচিনা বিবি। সেই সময়ে তারা বিশ সেকেন্ডের জন্যে একবার পরস্পরের মুখোমুখি হৈসিলো। সেইটা নিয়ে পত্রিকাগুলার কি মাতামাতি! তো, আমার মনে হল যে লাভবার্ডের বাকুমবাকুম দেখসো, এরা কখন শকুন হয়া যায় সেই কথা তো ভাবোনাই! এই ভাবনা থেকেই কবিতাটি লেখা।



সানডে নাইট - ব্লগে আপনার শুরুটা কবিতা দিয়ে হলেও আপনি এক সময় কবিতা ছেড়ে গল্পে মনোনিবেশ করলেন ,
এটা কি এমনি এমনি নাকি অন্য কোন কারণ আছে ।


হাসান মাহবুব - বলা যায় হঠাৎ করেই এই পরিবর্তনটা এসেছে। আমার লেখালেখির শুরু ছড়া/লিরিক দিয়ে। পরবর্তীতে কবিতা-গল্পও লিখেছি অনেক। তবে ছন্দ মেলানো কাব্য লিখতে অধিকতর সাচ্ছন্দ্য বোধ করতাম। কিন্তু সাহিত্যের যে শাখাটি আমাকে সবচেয়ে বেশি আন্দোলিত করে তা হল ছোটগল্প। মনের গভীরে সুপ্ত বাসনা ছিলো বেশি করে গল্প লেখার। সেটাই ধীরে ধীরে প্রস্ফুটিত হল। লেখালেখি আসলে চর্চার ব্যাপার। এখন যেমন ছোটগল্প লিখতেই ভালো লাগে। লিরিক লেখা হয়ে ওঠে না আর।
আরো যেটা ব্যাপার, তা হল আমি আমার ছোটগল্পের মাধ্যমেই নিজের অনুভূতি, বিবমিষা সব অনেক পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ করতে পারি। অনেক ডিটেইলভাবে। কবিতা বা লিরিকে সেটা হয়না আমার। তাই মনের টানেই লেখা হয়ে যায় ছোটগল্প।


সানডে নাইট - ছোট গল্প লেখার ক্ষেত্রে কাউকে অনুসরন করেন কি ?
মানে এ ক্ষেত্রে আপনার আদর্শ কে ?



হাসান মাহবুব - কাউকে অনুসরন করি না। কাউকে আদর্শও মনে করি না। তবে যাদের লেখা পড়ে ছোটগল্প লিখতে অনপ্রাণিত হয়েছি তারা হলেন, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, মানিক বন্দোপাধ্যায়, সৈয়দ শামসুল হক, শাহাদুজ্জামান, আন্তন চেখভ এবং...

প্রভাব যদি সত্যি থেকে থাকে, তা কেবল একটি মাত্র ছোট্ট বইয়ের। হুমায়ুন আজাদের "জাদুকরের মৃত্যু"। তার প্রকাশিত একমাত্র গল্পগ্রন্থ। অনেকেই বইটির খবর জানেন না। যারা ছোটগল্প পড়তে পছন্দ করেন সবাইকে বইটি পড়ার আহবান জানাচ্ছি।


সানডে নাইট - আপনার সৃজনশীল লেখালেখির শুরু টা কখন ?


হাসান মাহবুব - লেখালেখির চেষ্টা ক্লাশ নাইন থেকে। কিন্তু তখন অনেক কিছু লিখেও কিছু হচ্ছিলো না কিছুতেই। ছন্দ মিলছিলো না, শব্দেরা ধরা দিচ্ছিলো না। কত যে লিখেছি আর ছিড়েছি! কলেজে ওঠার পরে হঠাৎ একদিন দেখি ঠিকঠাক মাত্রা মিলছে। ঐ সময় থেকে শুরু। আমার ব্লগের প্রথম দিকে দেয়া অধিকাংশ লিরিক/কবিতা ঐসময়ে লেখা।





সানডে নাইট - আপনার একদম প্রথম লেখা কোনটি মনে আছে ?


হাসান মাহবুব - ক্লাশ নাইনের লেখাগুলো তো সব হারিয়ে ফেলেছি। মনে নেই ওগুলো। এখন আফসোস জাগে। কেন ছিড়ে ফেললাম! অভিমানী, জেদী সেই কিশোরটাকে ডায়েরির পাতায় দেখতে ইচ্ছে করে খুব।

যাই হোক, যখন থেকে লেখালেখি সংরক্ষণ করা শুরু করি, তখনকার হিসেব ধরলে প্রথম লেখাটি একটি ছোট্ট লিরিক। আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে।



সানডে নাইট - ব্লগে আপনি মূলত পরিচিত একজন ছোট গল্প লেখক হিসেবে ।

আপনি আপনার কোন গল্পের আইডিয়া কিভাবে পান ?


হাসান মাহবুব - চারিপাশ থেকেই পাই। আমি যে কাজটা করি, তা হল অনুভূতির, ঘটনার বিবর্ধন বা সম্প্রসারন। রাস্তাঘাটে, বাসায়, অফিসে অনেক ছোট্ট ঘটনা মনের মধ্যে বড় প্রভাব ফেলে। সেসব নিয়ে ভাবি। ভাবনাটা যখন জেঁকে বসে, তখন গল্পে পরিণত না করে শান্তি পাই না।

কখনও কখনও কোন গান থেকে তাগাদা আসে। কখনও কথার সম্প্রসারন, কখনও সুরের অনুবাদ করি। সুরেরও অনুবাদ করা যায় নিজের মত করে। আমি মনে করি সৃষ্টিশীল বিষয়গুলো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। কয়েকটা গল্প আছে সিনেমা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা।

তবে কিছু কিছু গল্প আছে, স্রেফ কলমকে কিছুদূর চলতে দেয়া। কলমকে স্বাধীন করে দেয়া। যা ব্যাটা চরে খা! এরকম করতে দিলে কাজ হয়। মাথায় কোন প্লট নেই, কিন্তু লেখার তাগাদা অনুভব করছি, সেসবক্ষেত্রে কলমকে ছেড়ে দিলে সে কিছুক্ষন নিজের আনন্দে ঘোরাঘুরি করে। তারপর আমার জন্যে অনেক উপহার নিয়ে আসে। যেমন, প্লট, ফরম্যাট, এলিমেন্ট...



সানডে নাইট - তাহলে বলা যায় যে আপনার গল্পে বাস্তবতা , কল্পনা , অনুভূতির সংমিশ্রণ থাকে ?

হাসান মাহবুব - আমি আমার অনুভূতি এবং ঘোর দ্বারা তাড়িত এবং আমার লেখালেখিও সেসব থেকে উৎসারিত। এখন এসবের মিশ্রণ কতটুকু থাকে বা কেমন থাকে এসব পাঠকেরাই ভালো বলতে পারবে!



সানডে নাইট - একজন ছোট গল্প লেখক হিসেবে ব্লগে আপনার দারুণ জনপ্রিয়তা । প্রতিটা ব্লগারের প্রিয় ব্লগারের তালিকায় আপনি আছেন ।

এই ছোট গল্প লেখক পরিচয় টা কি ব্লগেই সীমাবদ্ধ রাখবেন ?
বই লেখার ইচ্ছে আছে ?



হাসান মাহবুব - বই বের করার ইচ্ছে সবসময়ই ছিলো। এবং ব্লগে আবদ্ধ থাকতে চাইও না। এই চাওয়াটা এ বছর পূরণ হয়েছে। বইমেলাতে আমার সতেরটি গল্প নিয়ে বের হয়েছে প্রথম বই "প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত"। আরেকটা বই নিয়ে কথাবার্তা চলছে


সানডে নাইট - ''"প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত"'' তো ২০১০ সালে লেখা আপনার একটি গল্প

বইয়ের নাম এই গল্পের নাম অনুসারে করার পেছনে কোন কারণ আছে কি


হাসান মাহবুব - বিশেষ কোন কারণ নাই। আমার ইচ্ছে ছিলো বইয়ে যে গল্পগুলো থাকবে সেগুলোর একটা থেকেই নামকরণ করব। ঐ নামটা মানানসই মনে হয়েছিলো বইয়ের জন্যে। কেন তা আর ব্যাখ্যা করলাম না। হাহা! তবে গল্পটা আমার সেরা কাজগুলোর একটা মনে করি। নিজের প্রিয় কয়েকটা লেখার মধ্যে একটা। এজন্যে চেয়েছিলাম, ঐ গল্পটার ওপর ফোকাস পড়ুক।


সানডে নাইট - আপনার এই লেখালেখিতে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে কে ?


হাসান মাহবুব - ব্লগের পথচলায় আমার সমস্ত পাঠকের কাছে আমি ঋণী। তবে বিশেষভাবে নাম বলতে হয় কয়েকজনের, যাদের সাথে গল্প নিয়ে আলোচনা করতাম, গল্পের থিম মাথায় এলে তাদের সাথে শেয়ার করতাম, ব্লগে দেয়ার আগে তাদেরকে দেখাতাম। এরকম কজন হল (ব্লগ নাম না, আমি যে নামে ডাকি সেটাই বলছি) অমিত, ফাহাদ, নাহোল, মাশরুর, অদিতি, তিথি, নাজিয়া, মিরাজ , রানা ভাইয়া, সিমিলি, মুহিত, কামাল ভাই।


সানডে নাইট - ব্লগে আপনার লেখা দেড় শতাধিক গল্পের মধ্যে আপনার প্রিয় গল্প কোনটি ?


হাসান মাহবুব - দেড় শতাধিক গল্প-তথ্যটা ভুল। আমার সব মিলিয়ে পোস্টই ১৪৭ টা। গল্প মেরেকেটে আশিটা হতে পারে। প্রিয় গল্প,
#সুইট হোম
#ডিসটোপিয়া
#লেবুপাতার ঘ্রাণ অথবা কর্কট জীবন
#৩
#আমারও ঘর আছে চিলেকোঠায়
#অসংবৃত অবমোচন
# একজন কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ
#লাল বল নর্দমা এবং সরিসৃপ জীবন
#খুনস্তাত্ত্বিক
#পোস্টার

আপাতত এ কয়েকটার নামই মনে আসলো।



সানডে নাইট - ব্লগে আপনার পথ চলা চার বছরের কাছাকাছি , এই বিশাল সময়ে আপনি নিশ্চয় অনেক ব্লগারের সাথে মিশেছেন , অনেকের সাথেই পরিচিত হয়েছেন ,
আপনার প্রিয় ব্লগার তালিকায় কে কে আছেন ?


হাসান মাহবুব - যারা এখন আর লেখেন না তাদের মাঝে মোস্তাফিজ রিপন, অমি রহমান পিয়াল, আরিফ জেবতিক, তনুজা, ছন্নছাড়ার পেন্সিল, শুন্য আরণ্যক, বিষাক্ত মানুষ, কাঁকন, ক-খ-গ, মনির হাসান, অক্ষর, আহমেদ মোস্তফা কামাল, নুশেরা আপা।

যারা মাঝে মাঝে উঁকিঝুকি মারেন তাদের মধ্যে আকাশচুরি, শান্তির দেবদূত, মানুষ,স্তব্ধতা, আউলা।

এখন/এখনও যারা এ্যাকটিভ আছেন তাদের মধ্যে, নাহোল, তানিম, নমি, শহিদুল, ফিফা, সবাক, রানা ভাইয়া, ইনকগনিটো, রেজোয়ানা আপা, শেরজা তপন, টুকিঝা, নাফিজ মুনতাসির, রাজি, ফেলুদার চারমিনার, কাউসার রুশো, দিপ, দারাশিকো, তন্ময়।



সানডে নাইট - সামুর ভার্চুয়াল দুনিয়াতে থেকে আপনি নিশ্চয় বাস্তব জীবনে অনেক বন্ধু পেয়েছেন ।
বন্ধু তালিকায় কারা কারা আছেন ?


হাসান মাহবুব - সোহান, বাঁধন, নাহোল, সিমিলি, অমিত, মিরাজ , ফাহাদ, মাশরুর, ভেবু, অর্ণব, (এই নামে দুজন আছে), নির্ঝর, মুহিত, তনুজা এবং...

আমার বর্তমান রুমমেট! খিক!








সানডে নাইট - সামু নিয়ে আলাপ তো অনেক হল ।
এবার আপনার ব্যক্তিজীবনে আসা যাক ।

ব্যাক্তিগত জীবনে আপনি কেমন



হাসান মাহবুব - কেমন? অনেকরকম। অন্য সবার মত।


সানডে নাইট - আপনি ব্লগ লেখার পাশাপাশি আপনি আর কি করেন ?


হাসান মাহবুব - চাকরি করি, মুভি দেখি, গান শুনি, ভীড় বাসে লাফ দিয়ে উঠি, ঝাঁপ দিয়ে নামি, ঘুমাই।



সানডে নাইট - ফেসবুক রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস অনুসারে আপনি বিবাহিত , ।
এই বৈবাহিক জীবন কতো বছরের !

হাসান মাহবুব - ছয় মাস।



সানডে নাইট - আপনি পড়াশুনা শেষ করেছেন কোথা থেকে , কোন বিষয়ে ?


হাসান মাহবুব - কুয়েট থেকে। তড়িৎ প্রকৌশলে।





সানডে নাইট - প্রকৌশলী হাসান মাহবুব থেকে গল্পকার হাসান মাহবুব কতোটা আলাদা



হাসান মাহবুব - পুরাপুরি। আর আমি হলাম গিয়ে সনদসর্বস্ব প্রকৌশলী। ইহাকে বহু আগেই কৌশলে পরিত্যাগ করিয়াছি।


সানডে নাইট - এবার সামুতে ব্যাক করা যাক ।

সামু কিছুদিন আগে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। এই পরিবর্তন সম্পর্কে আপনার কি মত


হাসান মাহবুব - পরিবর্তনগুলো বেশ ভালো। শুধু দুইটা জিনিসে আপত্তি। কালারটা, আর কমেন্ট ১০০টার বেশি হৈলে আরেক পাতায় চলে যাওয়া। দুইটাই ডিসগাস্টিং। প্রথমটা বেশি। আর নতুন ফিচার যেগুলো এসেছে সেগুলোও বাগাক্রান্ত। আজকে ( ৯ জুলাই ) পোস্ট দিতে গিয়ে টের পেলাম। তবে আশা করি ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে। আর নতুন কিছু ফিচার যোগ হবে। যেমন কমেন্টে ভোটিং।

নির্বাচিত পাতাটা যেন সত্যিকারের একটা দ্রষ্টব্য সংকলন হয়ে ওঠে এই আশা রাখি। চিহ্নিত ছাগ/ছাগীদের পোস্টও দেখি শোভা পায়! কপি পেস্ট পোস্টও। এসবের ব্যাপারে মডুরা দৃষ্টি দেবেন আশা করি।





সানডে নাইট - নির্বাচিত পাতা নিয়ে অনেকের ই অভিযোগ আছে। অনেক অপ্রয়োজনীয় লেখা ও স্থান পাচ্ছে।
আমার দেখা একটা পোস্টের কথাই বলি।
শবে বরাতের রাতে এক ব্যাক্তি ফেসবুকের একটি স্ক্রিন শট দিয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন । দুইটি কমেন্ট । নিত্তান্ত মজা করে দেওয়া ।
এই পোস্ট টানা ১৩ ঘণ্টা নির্বাচিত পাতায় ছিল ।
এছাড়াও সামু পরিবর্তিত হওয়ার পর এর গুণগান করা লেখা তিন লাইনের পোস্ট ও ২ দিন নির্বাচিত পাতায় ছিল ।
এই ব্যাপারে কি বলবেন



হাসান মাহবুব - আমিও একটা বলি, একজন সেফ হওয়ার আনন্দে দু-তিন লাইন লিখে পোস্ট দিয়েছে, সেটাও স্থান পেয়েছে। কী আর বলার আছে! সবাই বিরক্ত এসব নিয়ে।


সানডে নাইট - সকল পোস্ট এবং নির্বাচিত পোস্ট

এই দুই ট্যাবের মাধ্যমে জেনারেল আর সেফ ব্লগারের মধ্যে পার্থক্যটা বলতে গেলে মুছে দেওয়া হয়েছে । সবার পোস্ট ই এক সাথে আসছে ।

জেনারেল আর সেফ ব্লগার তকমার আর দরকার আছে কি



হাসান মাহবুব - না নেই। এটা ভালো হয়নি। আমরা যা দেখি, তা হল কেউ একজন একটা গালি দিলে বা ব্যক্তি আক্রমনাত্মক/অশালীন পোস্ট দিলে সেসব মুছে স্ট্যাটাস নামিয়ে জেনারেল করে দেয়া হয়। এখন সেফ আর জেনারেলে যদি পার্থক্যই না থাকে তাহলে দুইটা রেখে লাভ কী? পরিবেশ আরো খারাপ হবে এতে। সেফ বা জেনারেলের যেকোন একটা বিলুপ্ত করে দেয়া উচিত।




সানডে নাইট - সামুর মডুদের নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই ।
একটি অভিযোগ প্রায় এ আসে তা হল সামু একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর সমর্থক ।
এই অভিযোগের ব্যাপারে আপনার কি বলার আছে


হাসান মাহবুব - সামুতে তো নানান রাজনৈতিক মতবাদের মানুষ আসে। বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাশির খাসীরা। সবারই আপত্তিকর পোস্ট মোছা হয় দেখসি। তবে জাশির ক্ষেত্রে বাই ডিফল্ট আপত্তি। এই ক্ষেত্রে যিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা উচিত। সামু কোন দলকে বিটিভির মত নির্লজ্জ সাপোর্ট করবে এই আশঙ্কা করি না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব হতেই পারে। মেনে নেয়া যায়। সবাই বায়াসড। তবে জামাত শিবিরের পক্ষে কোন পোস্ট আসামাত্রই মুছে ফেলতে হবে। জামাতীদের গাইলানোর ক্ষেত্রে শাস্তি লঘু হৈতে হবে। নির্বাচিত পোস্টে যখন দেখি যে সাঈদীর গুণগান গাওয়া লেখা স্থান পাইসে, তখন খুব খারাপ লাগে। আর যাকেই সূক্ষ্ণ বা স্থূলভাবে সাপোর্ট করুক, জামাতীদের যেন না করা হয় এইটাই আমার দাবী।


সানডে নাইট - '' সামুতে ১৮+ , অশ্লীল , অরুচিকর পোস্টের কারণে সুস্থ ব্লগিং চর্চা ব্যাহত হচ্ছে । ''

আপনিও কি তাই মনে করেন ?


হাসান মাহবুব - সুস্থ ব্লগিং চর্চা ব্যাহত হলেও সামু তো হিট পাচ্ছে, তাই না? আঠার প্লাস পোস্ট দেয়া যাইতেই পারে, কিন্তু তারও তো একটা উপস্থাপনার ব্যাপার আছে। সুস্থ ব্লগিং চাইলে ব্লগারদেরও কিছু করার আছে। এসব পোস্ট সম্মিলিতভাবে রিপোর্ট করতে হবে। আমি দৈনিকই করি বেশ কিছু পোস্ট রিপোর্ট। তবে ১৮+ মানেই যে অরুচিকর, তা মনে করি না। নির্ভর করে উপস্থাপনার ওপর।





সানডে নাইট - আপনি প্রথম যখন সামুতে আসেন তখনকার অবস্থা আর এখনকার অবস্থার মধ্যে কি মিল বা অমিল পান।



হাসান মাহবুব - তখন ব্লগার অনেক কম ছিলো। পিক টাইমে সর্বোচ্চ নব্বইজন থাকতো। ভোরের দিকে আট দশজন। আগে একটা পোস্ট ঘন্টা দুয়েক থাকতো। তাই মোটামুটি সবকিছু ফলো করা যেতো। ক্যাচাল, ১৮+, এইসব আগেও ছিলো এখনকার মত। তবে আমি যখন আসি তখন সামুর মডুরা অনেক নমনীয় ছিলো। ছাগুদের গালাগালি করা যাইতো মনের সুখে। এখন দেহি আইন সবার জন্যেই সমান! তখন কপি পেস্ট অনেক কম হত। এখন এটা রীতিমত উপদ্রব। তখন রিপোস্টও অনেক কম হত। এখন দেখি অনেক ভালো ব্লগাররাও রিপোস্ট করে। অবশ্য একটা পোস্ট কষ্ট করে লিখে যদি কপি পেস্টের স্রোতে দশ মিনিটে হারায় যায় তাহলে করবেই বা কী!



সানডে নাইট - এই সমস্যা গুলো দূর করার জন্য মডুদের কি করা উচিত বলে মনে করেন । কোন পরামর্শ আছে কি ?



হাসান মাহবুব - আমি সামুর পাশাপাশি চতুর্মাত্রিকেও ব্লগিং করি। সেখানকার মডারেশন এক কথায় অসাধারণ। একই ব্লগারের দুটো পোস্ট প্রথম পাতায় থাকলে সাথে সাথে সরায় দেয়, কপি পেস্ট হলে সরায় দেয়, ছাগলামী টাইপের পোস্ট হলে সরায় দেয়। আর জামাতী পোস্ট হলে সবাইরে একটু ঝাল মেটানোর সুযোগ করে দিয়ে ব্যান করে দেয়। ওখানে কোন পোস্টের শব্দসীমা সর্বনিম্ন পঁচিশ শব্দ। সামুর মত, "ভাত খাইছি" লেইখা পোস্ট দিলেই সেটা পাবলিশ হবেনা। এবং ওখানকার মডুরা এত কিছু যে করে, সেইটা ব্লগারের পোস্টে যেয়ে বলে আসে কী কারণে তার প্রতি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হল।

তাদের মধ্যে যে মোটিভেশন আছে, সামুর মডুদের মধ্যে কী তা আছে? মনে হয় নাই। সেইটা তো আর পূরণ করা যাবে না, তবে চতুর্মাত্রিকে এত কড়া নজরদারী করতে পারে মডুরা কারণ ওখানে ট্রাফিক অনেক কম। সামুর মডুরা চাইলেও তাদের মত এ্যাকটিভ হতে পারবে না। অতটা সামাল দেয়া সম্ভব না। এজন্যে মডুদের সংখ্যা বাড়ানো উচিত। সবসময় যেন কেউ না কেউ থাকে।



সানডে নাইট - সামুতে আসা নতুন ব্লগার এবং আমাদের পাঠকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন ?



হাসান মাহবুব - নতুন ব্লগার, যারা ব্লগে থাকতেই এসেছে তাদের উচিত পুরোনো ভালো পোস্টগুলো পড়া। পুরোনো ভালো পোস্ট খুঁজে পাবার মোক্ষম উপায় হচ্ছে অন্যদের প্রিয় লিস্ট ধরে এগুনো।

পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলি, আমার গল্প নিয়ে যেকোন ধরনের মন্তব্য নিঃসঙ্কোচে করবেন। যেকোন ধরনের সমালোচনা বা প্রশ্ন। লেখা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা চালিয়ে যেতে আমার কোন ক্লান্তি নেই। আর নতুন ভালো ব্লগারদের উৎসাহ দিন। তাদের অপেক্ষাকৃত দুর্বল লেখাকেও ভালো বলুন। তবে যারা পুরাতন হয়ে গেছে, এবং সম্পর্ক ভালো তাদের লেখা নিয়ে নিরপেক্ষ মন্তব্য করুন। পিঠ চাপড়াচাপড়ির প্রবণতা সৃজনশীলতার জন্যে ক্ষতিকারক।

এবং... ছাগুদের না বলুন।


সানডে নাইট - অনেক অনেক ধন্যবাদ হাসান ভাই ভোর অবধি আমাদের সময় দেওয়ার জন্য
ভালো থাকুন সব সময় । শুভ সকাল
শুভ কামনা রইল ।


হাসান মাহবুব - শুভ সকাল ।






--------------------------------------------------------------------

গত সপ্তাহে অনেকে অভিযোগ করেছিলেন পোস্ট বেশ ছোট হয়েছে । সেখানে আমি আমার শারীরিক অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়েছিলাম । আজকের পোস্টটাও তুলনামূলক ভাবে বেশ ছোট । এবার আর কোন অজুহাত দেওয়ার সুযোগ নেই । আমি আমার ব্যথতা স্বীকার করি । আসলে নানান ব্লগারদের কাছে ধরনা দিয়েও যখন তাদের আনতে পারি না, তখণ বেশ রাগ লাগে । প্রথম ৬টি পর্বে যেমন ডেডিকেশন দেখিয়েছিলান , এখন তেমন টা দেখাতে পারছি না । ব্লগার দূর্বা জাহানের মতে আমি অলস হয়ে গেছি । আমাকে ধরে পিটানো দরকার । অনেকাংশে সত্যি । আশা করি আবারো পুরোদমে এমন পোস্ট দিতে পারবো ।
আশা করি সবাই সাথে থাকবেন । সানডে নাইটের নিয়মিত পাঠকদের অনেক অনেক ধন্যবাদ ।







-------------------------------------------------------------------

সর্বশেষ দুটি আড্ডা পোস্ট

।। সানডে নাইট # ব্লগারস আড্ডা - সাথে আছেন নিশাচর ভবঘুরে ।।

।। সানডে নাইট , ব্লগারস আড্ডা - সাথে আছেন ব্লগার শায়মা ।।


৫৮টি মন্তব্য ৫৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×