আজ ৭ই নভেম্বর মিশ্র ভাবেই পালন হচ্ছে,সংসদ এলাকায় দেখলাম অনেক লোক,ব্যানারে লেখা জাতীয় সমবায় দিবস।এর আগে দেখে এসেছি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস, পোস্টারে দেখেছি ট্যাং এর উপর সিপাহী আর জনতার উল্লাসমাখা মুখ,আহা কি সুন্দর এক কম্বিনেশন,এভাবে যদি সব সময় জনতা ট্যাংএর উপর বইসা থাকতো তাইলে কি ভালই না হইতো রে।
ছোট বেলা থেকেই মহান নেতা জিয়া আমার আদর্শ,ওনার চুলের স্ট্যাইল এখনও আমাকে মুগ্ধ করে,গ্যাঞ্জি পড়া শহীদ নেতার ছবিটা মানষ পটে চির অম্লান।ওনার খাল খনন কর্মসূচিটা যদি বাস্তব হত...আফসোস তাইলে কি ভালইনা হইতো।মহান নেতা ছিলেন বলাই বাহূল্য।শহীদ প্রেসিডেন্ট না বলে কি উপায় আছে,সেখানে শিবির নেতা মরলেই শহীদ আর বেঁচে খুন করলে গাজী,সেখানে মহান নেতা তো শহীদই।
আজ ৭ই নভেম্বর এক ঐতিহাসিক দিন।এই দিন সিপাহী আর জনতার প্রাণ প্রিয় নেতা জেল থেকে বের হয়ে আসেন।
পরবর্তিতে সেনা অনেক অফিসার খুন হয়,মদদ পায় জাতির পিতার হত্যাকারীরা,৭ই নভেম্বরকে সফল করার কারিগর,বীর উত্তম কর্ণেল তাহের যে কমলাপুর অপারেশনে পা হারান,সেখানে ইতিহাসে বিরল সংবিধান পরিপন্থি পুঙ্গ এক মুক্তিযোদ্ধাকে প্রহসনের বিচার দিয়ে তাহেরেরই প্রাণ প্রিয় জিয়া সরকার তাকে ফাঁসি দেয়।৭ই নভেম্বরের সফল পরিকল্পনাকারী কর্ণেল তাহের পায় তার যোগ্য প্রাপ্তি।
৯৬থেকেই আওয়ামীলীগ চাচ্ছে জাতির জনকের হত্যার বিচার,এখন আরো সোচ্চার ৪ নেতা হত্যার বিচার নিয়ে,শহীদ জননীর শুরু করা ঘাতক দালাল নির্মূল কর্মসূচিতো আছেই।আর এখন তার সাথে আর একটা যোগ করা উচিত কর্ণেল তাহের,খালেদ মোশাররফ সহ আর অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যার বিচার।
কি করে সম্ভব হয় এরকম একটা নেক্কার জনক অধ্যায়ের
এ সবই সম্ভব হয়েছে ৭ই নভেম্বরের এই দিনের জন্যই।জাতির জনককে হত্যার মধ্যে দিয়ে যে কাজ শুরু হয়েছে তা এখনও চলমান।
আজ মহান ৭ই নভেম্বর।এই দিন কারা মুক্তি ঘটে শহীদ জিয়ার, অনেক কিছুই ঘোয়াটে,তবুও এখনও কিছু লোক আছেন যারা আমাদের আলোর পথ দেখান
কি আর বলবো এক ভাগ্যাহত জাতি আমরা।
তবু এই জাতির এক পরম পাওয়া,এক মহান নেতা বীর উত্তম শহীদ জিয়া
আজ ৭ই নভেম্বর মহান নেতাকে সশ্রদ্ধ স্মরণ করি।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:১২