মা হওয়া সব নারীরই আকাঙ্ক্ষা থাকে। গর্ভধারণ হলে এই সময় কিছু সতর্কতামূলক লক্ষণ দেখা দিতে পারে যা উপেক্ষা করা উচিত নয় এবং জরুরি চিকিৎসা সেবার প্রয়োজন হতে পারে। তাই যারা হবু মা তাঁদের এই সতর্কতামূলক লক্ষণগুলো জেনে রাখা ভালো।
১। ব্যথাসহ অথবা ব্যথা ছাড়া অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ যা মিসক্যারেজ অথবা একটপিক প্রেগন্যান্সির লক্ষণ হতে পারে। তবে সামান্য রক্তপাত খুব স্বাভাবিক। এতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই।
২। অতিরিক্ত বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া। এতে ওজন কমে যেতে পারে, হতে পারে পানিশূন্যতা। তবে বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া প্রথম ৩ মাসে খুব স্বাভাবিক। এতে গর্ভের বাচ্চার কোন ক্ষতি হয় না।
৩। জ্বর হলে এটা অনেক সময় জীবাণু সংক্রমণ নির্দেশ করে থাকে। জ্বর হতে পারে ১০১ ডিগ্রি অথবা তার বেশি।
৪। প্রসবের পথে স্রাব অথবা চুলকানি। এটা প্রেগন্যান্সির সময় হতে পারে তবে মাঝে মাঝে এটি জীবাণু সংক্রমণ নির্দেশ করে থাকে।
৫। প্রসাবে জ্বালাপোড়া অথবা ব্যথা।
৬। হঠাৎ করে মুখ, পা ও হাত ফুলে গেলে যা প্রিএক্লাম্পসিয়ার লক্ষণ। অথবা পায়ের কাফ মাসেলে ব্যথা অনুভব হওয়া।
৭। খিঁচুনি হলে অথবা চোখে ঝাপসা দেখলে।
৮। যাদের আগে থেকে ডায়বেটিস, উচ্চরক্তচাপ, অ্যাজমা, থাইরয়েডের সমস্যা অথবা লিউপাস আছে তাদের এই রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি নাহলে নিজের আর সন্তানের ক্ষতি হতে পারে।
৯। গর্ভস্থ শিশুর নড়াচড়া কমে যাওয়া। এটা কমে ২ ঘণ্টায় ১০টির কম হতে পারে।
১০। নির্ধারিত তারিখের পূর্বেই পানি ভেঙে গেলে যা জীবাণু সংক্রমণের হার বাড়িয়ে দিতে পারে।