এটি একটি রম্য রচনা। এর চরিত্রগুলোর সাথে জীবিত বা মৃত কোন ব্যক্তির কোন মিল নেই। যাহারা পড়িবেন তাহারা সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বএ পড়িবেন।
মন এবং হুঁশ এই দুইটি জিনিস একজন মানুষের থাকা শুধু জরুরি নয়, অত্যাবশ্যকীয়ও বটে। অথচ এই দুইটি বস্তু একসাথে খোঁজ করা আর মঙ্গল নামক গ্রহে পানির সন্ধান করা একই জিনিস।
হয়ত বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে একদিন এটিও সম্ভব হতে পারে, কিন্তু পৃথিবী নামক এই স্থানে এই দুই বস্তুর কল্পনা এক সাথে করা অত্যাধুনিক সায়েন্স ফিকশনের কল্পনাকেও হার মানিয়ে দেয়।
হুঁশ বলিতে আসলে কি বোঝায়? খুব কঠিন একটা প্রশ্ন। ৭ বছরের এক শিশুর ছোঁড়া এই প্রশ্নে কামাল সাহেব মোটামুটিরকম হতভম্ব হলেন। তিনি মনে মনে কিছুদিন আগে দেখা একটি ছবির উদ্ভট প্রশ্নকর্তা নায়কের সাথে শিশুটির মিল খোঁজার চেষ্টা করলেন। বলাই বাহুল্য তিনি কস্মিনকালে এই প্রশ্ন শোনেননি।
মানুষ হলেই বুঝি হুঁশ থাকিতে হবে? কেন হুঁশ ছাড়া বুঝি মানুষ নেই? আছে তো। বরং এটা পাওয়া অতি সহজ। কয়েক পাতা পড়িয়াই যাহারা চিন্তা না করিয়া কথা বলিতে অথবা লিখিতে শুরু করিয়া দেন, তাঁহারাও এক প্রকার মানুষ তাহাতে কারো কোন রকম সন্দেহ থাকিতে পারেনা।
জ্ঞানীরা বলিয়াছেন এই হুঁশ নামক বস্তুটি নাকি খুঁজে
পাওয়া অত্যন্ত দুরুহ একটি বিষয়। সহজে পাওয়া যায় না। সোনার হরিণের মতই দুর্লভ।
কিন্তু কি আর করা যাবে? হুঁশের সন্ধানে ব্যরথ হয়ে দেখা যাক মনের সন্ধান লাভ করা যায় কি না।
এই বস্তু নাকি শুধু মাত্র ছায়াছবিতে দেখা যায়। বাস্তবে এর কোন অস্তিত্ব নাকি নাই। আজকাল এটি নাকি পত্রিকার বিজ্ঞাপনের পাতায়ও পাওয়া যায় এবং পরবর্তীতে কেজি দরে বিক্রয় হইয়া থাকে। তবে মাঝে মধ্যে যে এটিকে হ্যালির ধূমকেতুর মত দেখা যায়, তা এক পরম সৌভাগ্যের বিষয়।