আজ তাঁর মন বিশেষ রকমের খারাপ। তিনি আকাশের দিকে তাকালেন। অন্ধকারাচ্ছন্ন আকাশ। আজকের আবহাওয়াটা ভালো না। আকাশে মেঘ ডাকছে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে। তিনি একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। গানের আসর হলে মন্দ হতো না।
তিনি আস্তে আস্তে হাঁটতে লাগলেন। তাঁর সব কিছুই আছে। তবুও তিনি একটা শূন্যতা অনুভব করেন মাঝেমধ্যে। কোথাও জানি কি একটা নেই।
প্রতি সপ্তাহের মত আজও তিনি সেখানে যাবেন। একটু শান্তি কি তিনি পাবেন না? না প্রতিদিনের মত আজও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন। আশা দুরাশার দোলাচলে তিনি কক্ষে প্রবেশ করলেন।
তাঁর চারিপাশে বসে আছে পৃথিবী বিখ্যাত সব জ্ঞানী গুনিরা। তিনি তাঁদের দিকে প্রতিদিনের মতই খুব আশা করে তাঁকিয়ে আছেন। যদি কোন আলোর দেখা মিলে। যদি কোন পথের দেখা মিলে।
কিন্তু তিনি গভীর দু:খের সাথে লক্ষ্য করলেন যে, তাঁরা একে অপরের দিকে সন্দেহ আর অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন।
তাঁদের চেহারায় কোন ভালবাসা, শ্রদ্ধা, সৌহার্দের চিহ্ন মাত্র নেই। তার বদলে ভর করেছে অসুস্থ এক প্রতিযোগিতার ছাপ। যেই প্রতিযোগিতায় কেউই কখনো জয় লাভ করতে পারেনি।
তিনি আরেকটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। এই লেখাপড়ার অর্থ কি? যা মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করে। অসুস্থ প্রতিযোগিতা শেখায়। আমিত্ব আর অহংকারের কাঁটাতারের বেড়ায় আবদ্ধ হতে বলে।
তিনি জানেন মানুষের হৃদয় জয় করতে হলে ভালবাসা, একে অপরের প্রতি বিশ্বাস দরকার। তিনি কোন নোংরা শেয়াল নীতিতে বিশ্বাস করেন না। তাই বছরের পর বছর তাঁর এই প্রচেষ্টা।
কিন্তু যাদের জন্য তাঁর এই সিংহ হৃদয়ের প্রচেষ্টা, তারা যদি মারামারি, গালাগালি বাদ দিয়ে তাঁকে একটু বুঝতো।
(চলবে)