somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নারীরাও এগিয়ে যাক সুস্থ সভ্যতার সুউচ্চ সোপানে

১৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমানে আমাদের সমাজে পুরুষের সাথে কর্মক্ষেত্রে পাল্লা দিয়ে নারীরাও সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে। জীবিকা নির্বাহের তাগিদে তারাও অফিসে-মাঠে, শহরে-বন্দরে কাজ করছে। নারীরা এখন উচ্চশিক্ষা গ্রহন করে ভালো চাকরি নিয়ে একদিকে যেমন নিজেরা স্বাবলম্বী হচ্ছে তেমনি অন্যদিকে পরিবারের আর্থিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।



কিন্তু আমাদের পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে অনেকের চোখে নারীদের এই এগিয়ে যাওয়া চোখের বালির মত। তারা মনে করে নারীরা চার দেয়ালের ভেতরে বসবাসকারী এক উপভোগ্য দাসী। যখন অন্যের ঘরের একটি মেয়ে কোন অফিসে চাকরি করে। তখন তারা ঐ মেয়েটির কর্মক্ষেত্র নিয়ে নানা উপহাস করে। মেয়েটি কখন ঘরে ফিরে, কখন কোথায় যায় সেই বিষয়গুলো পর্যবেক্ষন করতে থাকে আর সমাজে নিজেরাই দোষ গুনের বিচার করতে শুরু করে। এই সমস্যা গুলো শহরের চেয়ে মফঃস্বল বা গ্রাম এলাকায় বেশী দেখা যায়। অতচ তারা ভূলে যায় তার নিজের ছেলে কিংবা মেয়েটি কোন অবস্থায় আছে। তারা চায় না অন্যের মেয়ে চাকরি করুক কিন্তু তারা তাদের ছেলে বিয়ের উপযুক্ত হলে হন্য হয়ে একটি সরকারি চাকরিজীবী মেয়ে খুঁজে।



একজন নারীকে ঘরের বাহিরে গিয়ে কাজ করা উচিত বলে আমি মনে করি। তবে অবশ্যই তাকে বাহ্যিক আচরনে এবং পোশাক-আশাকে মার্জিত হতে হবে। একজন নারী আগামীর সম্ভাবনার সৃষ্টিকারী। তাই তাকে সুশিক্ষিত, স্বাবলম্বী, আত্মপ্রত্ময়ী এবং সময়ের প্রয়োজনে নিষ্ঠাবান, দায়িত্বশীল ও উপস্থিত বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হতে হবে।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় আমাদের সমাজের অনেক নারী সুযোগের অপব্যবহার করেন। অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে খোলামেলা চলাফেরায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। যা অত্যন্ত লজ্জা জনক এবং সমাজ গর্হিত কাজ।


পশ্চিমা সভ্যতা আর আমাদের উপমহাদেশীয় সভ্যতা এক নয়। কিন্তু বর্তমানে ভারতের সমাজ ব্যবস্থায় অনেকটা পশ্চিমা সভ্যতার ছোঁয়া লেগেছে। আর ভারত আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ এবং ভারতের সাথে আমাদের সংস্কৃতির আদান-প্রদানের কারনে বাংলাদেশেও পশ্চিমা সভ্যতার প্রভাব দিনদিন বাড়ছে। তবে এর ফলে কোন ধরনের সু-ফল আসবে বলে মনে হয় না বরং আমাদের সুন্দর এই সমাজ ব্যবস্থা এক সময় ইতিহাসের পাতায় ঠাই নিবে।
সংস্কৃতির চর্চা মানব সভ্যতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে এক্ষেত্রে হুট করে সমাজ জীবনে কোন বড় ধরনের পরিবর্তন সাধিত হয় না। ধীরে ধীরে সংস্কৃতি সমাজ সভ্যতায় প্রভাব বিস্তার করে। ভারতীয় কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে সারাদিন ঘন্টার পর ঘন্টা বিভিন্ন ধরনের ধারাবাহিক নাটক প্রচার করা হয়। যা অপসংস্কৃতির প্রদর্শন ছাড়া আর কিছুই নয়। আর আমাদের ঘরের রমণীরা নিজেদের কাজ ফেলে আসক্ত থাকেন এইসব অপসংস্কৃতির চর্চায়।

সমাজ সৃষ্টির আদিকাল থেকে নারী ও পুরুষ সমাজে সমগুরুত্ব বহন করেন। তাই সমাজে পুরুষের যেমন কাজ করার অধিকার আছে নারীর তেমন কাজ করার অধিকার আছে। নারী ও পুরুষের সম্মিলিত প্রয়াসে এগিয়ে যাবে আমাদের এই সমাজ ব্যবস্থা। কোন নারীকে যেন লাঞ্ছিত না হতে হয় তার কর্মক্ষেত্রে। শত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে নারীরাও এগিয়ে যাক সুস্থ সভ্যতার সুউচ্চ সোপানে, আমরা এই প্রত্যাশা করি।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×