আজ অনেক বছর হতে চলল রাজীবের কোন চিঠি পাইনি। ওর কথা একপ্রকার প্রায় ভূলতেই বসেছিলাম। সেদিন আমাকে ভীষন অবাক করে দিয়ে "বিধ্বস্ত পথিকের ক্লান্ত চিঠি" শিরোনামে আমার কাছে ওর এই চিঠিটি এসেছে। এক সময় রুচিতাকে নিয়েই আমাদের গভীর বন্ধুত্বে গভীর ফাটল ধরেছিলো, আর তাই সম্ভবত আমার কাছে ওর এই চিঠি...
এক বুক ভালোবাসা পেলে
আমি পারি সব উজার করে দিতে, নিজেকে সহ
কিন্তু আমার তাতে বিশ্বাস খুব সামান্যই
বিশ্বাসের ডালপালা সব সেদিনই শুকিয়ে গেছে
যেদিন রুচিতা আমার অধিকার পেল,
একটা পারমানবিক বোমা ফাটিয়েছিলাম
পারমানবিক রক্তে রাজ্গিয়েছিলাম হাত
যেদিন দেখলাম রুচিতা আমার ভালোবাসার মেঘে করে
আসাদের স্বপ্নের ঘরে বিশ্বাস নিয়ে যাচ্ছে,
জানি না কি করে বিশ্বাস করব
রুচিতাকে আমার চেনার এতদিনের মাঝে
সেদিনই লেগেছিলো সবচেয়ে রুপসী, অপ্সরীর মত,
রুচিতা আমার একবুক ভালোবাসা
প্রতি রাতে আমি ব্যালকনিতে ইজিচেয়ারে বসে
আমার ভালোবাসাকে পাঠিয়েছি ওর জন্য সুখ নিয়ে আসতে,
অথচ দুই বসন্ত পরেই রুচিতাকে দেখেছি সেদিন
জানিস, ওর ওই অপ্সরী মুখে না - এক
ক্লান্ত বিধ্বস্ত পথিকের ছাপ,
আমার দিকে তাকিয়েছিলো পূর্ন চোখে
প্রশান্ত মহাসাগরের বিশালতা নিয়ে
ভীষন চুমু খেতে ইচ্ছে করছিলো ওর কোলের রাজপুত্তুরটাকে,
পারিনি আমি, আমার অভিমান ডুবে গিয়েছিলো
ওর চোখের জলেতে, কেমন করে পারবো বল
রুচিতা যে আমার একবুক ভালোবাসা, আমার বিশ্বাস
ম্লান কন্ঠে রুচিতা সেদিন জানতে চেয়েছিলো
ওর অধিকার বহাল আছে কিনা?
জানিস, রুচিতাকে আমি দিয়েছি পরিপূ্র্ন আশ্বাস,
কল্পনা আমার বাস্তব হলো বড়ো নি্র্দয়ভাবে
খাদসহ সোনা পুড়ে সোনা হয়ে এলো,
আমার তো সম্বল একবুক ভালোবাসা
ওর কি আছে বল?
রুচিতা না হয় মূল্য দেয়নি আমার ভালোবাসার
তুইতো জানিস রুচিতাকে আমি কতোটা ভালোবাসতাম
আসলে কি জানিস,
রুচিতাকে আজো আমি বড়ো বেশী ভালোবাসি ।।
- রাজীব

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




