ঋতু চক্রে বর্ষা অনকে আগেই এসেছে আর মাত্র দুই দিন আছে বর্ষার। দুই দিন পরেই শরৎ আসবে। সবই খাতা কলমে এখন বর্তমান। প্রকৃতি আসে তার নিয়মেই। বর্ষর শেষ প্রান্তে এসে আজ বর্ষার আসল রুপ দেখলাম। সারাদিন মেরাথন স্টাইলে বৃষ্টি হয়েছে, কখনো মুষুলধারে কখনো ঘুড়ি ঘুড়ি। যতদুর মনে মড়ে প্রায় ২বছর পর আজ আমি ছাতা হাতে বের হয়েছি।
মোমিতা বৃষ্টি খুব পছন্দ করত। আমার সাথে বৃষ্টিতে ভেজার খুব শখ ছিল তার। কিন্তু সেই শখ শখই থেকে গেছে, বাস্তবায়িত করা যায়নি। একদিন বৃষ্টিতে ভিজার কারনে আমার ঠান্ড লেগে গিয়েছিল। সেই থেকে মোমিতা আমাকে আর বৃষ্টিতে ভিজতে দিত না ।তার জন্যও বৃষ্টিতে ভিজা বারন ছিল। বর্ষার সময় বৃষ্টি হোক বা নাহোক আমার সাথে ছাতা থাকতে হবে। না থাকলে মোমিতার সাথে জগড়া বেধে যেত।
মোমিতা ছিল খুবই সল্পভাষী। নিতান্তই বাধ্য না হলে আমার সাথে কখনো ঝগড়া করত না। মোমিতার ঝগড়ার সময়টি হত উপোভোগ্য। আর আমিও ইচ্ছা করেই তার সাথে ঝগড়ার বাহানা খুঁজতাম। তার ঝগড়া করার সময় যে বাচন ভঙ্গি আর আমাকে বোকুনির ভাব আমি খুবই উপভোগ করতাম।
বর্ষার সময় ছাতা আমি ইচ্ছে করেই সাথে রাখতাম না, মোমিতার সাথে ঝগড়া করার পতীক্ষায়। আজ মোমিতা আমার কাছ থেকে অনেক দূরে, অন্য কোন ভুবনে। আমার সাথে ছাতা নিয়ে ঝগড়া করার কেউ ছিল না। এখন আমি প্রতি নিয়তই হালকা বৃষ্টিতে ভিজি। ছাতাও রাখি সময় সময়। শুধু থাকেনা মোমিতার সাথে ঝগড়া করার প্রতীক্ষা।