গতকাল বিকালের ঘটনা.....বি আর টি সি বাসের টিকিট কেটে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি...যাত্রীর তুলনায় বাস যে অপ্রতুল তা যারা বাসে যাতায়ত করেন তারা মনে হয় আমার চেয়ে ভাল বলতে পারবেন। এই সমস্যা থেকে পরিত্রানের উপায় কি তা যদি বাসে উঠার পর সুযোগ বুঝে একবার বলতে পারেন তাহলে আপনার ভ্রমনটা হবে নির্মল আনন্দের।গ্যারান্টি !!
এইবার আসল কথায় আসি। সময় তখন পড়ন্ত দুপুর। বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। বাস এর দেখা পাইনা। যাই হোক সাড়ে তিনটার দিকে একটা বাস আসলো যাত্রীর অবস্থা দেকে বাসের দিকে আর এগোনোর সাহস হলনা। মিনিট তিরিশেক পর আরএকটা বাস আসল। সিট ভরাট কিন্তু ভালোভাবে দাঁড়ানো যাবে।আমার মত অপেক্ষমান যাত্রীর সংখ্যা ৫০ এর কম হবে না। সবাই ধাক্কাধাক্কি করে বাসে উঠলাম........উঠারপর ই যত ঘটনা.....
বাসের ডান প্রান্ত থেকে একজন বলছে আমার মোবাইলটা পাচ্ছি না, উনাকে একজন ধমকের সুরে বলছে এইসব একটু সাবধানে রাখবে না, বলছিলাম আমর কাছে মোবাইলটা দিতে তা দাওনি....বলতে বলতে তিনি চুপ হয়ে গেলেন । ততক্ষনে আবৃষ্কিত হল উনার মানি ব্যাগ মোবাইল দুটাই নাই।
আমার পাশ থেকে একজন বলে আমর মানিব্যাগ নাই...অন্যজন বলে আমার মোবাইল পাচ্ছি না. সবার কথা শুনে এবার নিজের পকেটে হাত দিলাম ....দেখি মোবাইল আছে কিন্তু মানি ব্যাগ নাই......
আমার সামনের সিটের বসা লোক বাসের ভেতরেরই একজন ইঙ্গিত করে বলতেছিলেন ঐ লোকটাই এইসব করছে....ঐ যে কোট টাই পরা লোকটা...
কিন্তু নিশ্চিত কোন তথ্যপ্রমান ছাড়া এইভাবে কাউকে কিছু বলা যায় না...
কিন্তু উনিই যে পকেটমার ছিল তা আমরা নিশ্চিত হলাম যখন সবার আগে মহাখালি ফাইওভারের মুখে তিনি নেমে গেলেন। তার মুখ ছিল হাস্যউজ্ঝল...বাসে সবাই এত কিছু হারাল উনি কোন কথা বল্লেন না...চুপচাপ এক জায়গাই দাড়িয়ে ছিলেন।
কি সুন্দর সুটেট বুটেট হয়ে তিনি পকেট মার পেশাটাকেই বেছে নিলেন ....অসাধারন .আসলেই প্রত্যেকটি কাজই একটি শিল্প.....উনি তার আঙ্গুলের নিখুত শিল্পের মাধ্যমে কি সুন্দর করে আমাদের ক্ষতি করে দিলেন...সত্যি অসাধারন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




