সবে মাত্র কলেজ পাশ করে র্ভাসিটিতে ভর্তি হয়েছি।ধীরে ধীরে ক্লাসের সবার সাথেই পরিচয় হতে লাগল। এক সময় আমাদের একটা সার্কেল ও তৈরি হল। সার্কেল এ সদস্য সংখ্যা মাত্র ১০ জন। এই ১০ জন কে শিরনাম করা হয়েছে কিছু সম্পর্ক নামে। ৪টি বছর শিরনাম করা হয়েছে গত ৪ বছর কে,যখন এই ১০ জন কখনো একসাথে বসেনি।কখনো আড্ডা দিতে বসেনি সেই চির পরিচিত কপি হাউজ টাতে !
ক্যালেন্ডারে হিসেবে তখন ২০০৫ সাল। র্ভাসিটিতে আমাদের ১০ জনের একটা ঈশ্বনীয় গ্রুপ ছিল। ৩ জন মেয়ে আর ৭ জন ছেলে। এই ১০ জনের শেষ দেখা হয়েছিল ২০০৯ সালে। মানে বিবিএ রেগ ডে তে। এর পর একসাথে আর দেখা হয়নি।
২০০৫এর শেষের দিকে টুসি কে পছন্দ করতে শুরু করল দিপু। শুধু পছন্দ বল্লে ভুল হবে...যাকে বলে এ্যাগ্রেসিভ পছন্দ তাই। টুসি হা বা না কিছুই বলে না। এই দিকে টুসির সাথে আবার পিও এর সম্পর্ক ভাল। দিপু এই কারনে একটু সময় নিল, পিও আর টুসির সম্পর্ক টা বুঝার জন্য। এইটা কি ভালবাসার সম্পর্ক নাকি শুধুই ফ্রেন্ডশীপ । দিপু যখন সিউওর হল এটা শুধু ফ্রেন্ডশীপ তখন দিপু নিজের পাশাপাশি সার্কের অন্য সবাইকে দ্বায়িত্ব দিল টুসি কে বুঝাতে। টুসি ও সরাসরি হা না কিছুই বলে না। বুঝানোর তাকিকায় শেষ নাম লিখিয়েছিল পিও নিজেও।
হা বা না কোন কিছুই না জেনে দিপু টুসি কি লাভ করেই যেতে লাগল। টুসি ও তার সাথে চারটি বছর খুব ভাল ভাবেই থাকল। বলা যায় অঘষিত গার্লফ্রেন্ড । টুসি প্রতিনিয়ত দিপুকে ডমিনেট করত।
এই দিকে পিও কে নিয়ে ২০০৭ সাল থেকে টুসির সাথে দিপুর ঝগড়া হত নিয়মিত। পিও তা তখনই বুঝতে পারে। পিও টুসির সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়। কিন্তু টুসি তা কমাতে নারাজ। সেই দিপুর ঝগড়া কে কোন পাত্তাই দিত না পিওর সাথে যোগাযোগের ব্যাপারে।
২০০৮ সালের দিকে কোন এক অজানা ঝড়ে পিওর সাজানো কাঁচের বাগানে আঘাত আনল। পিও টুসিকে একটু একটু পছন্দ করতে লাগল । বলা যায় পিও টুসির প্রতি ধীরে ধীরে দূর্বল হতে লাগল।
পিও বুছতেছিল এইটা সে ভুল করছে। কিন্তু মন বলে কথা। তারপর ও সে নিজেকে সামলে নিয়ে টুসির সাথে পুরোপুরি যোগাযোগ বন্ধ করে দিল। যেন সে তার ভাললাগা থেকে সরে আসতে পারে।
এইদিকে দিপুর পিও এর প্রতি সন্ধেহ প্রবনতা আরো বেড়ে গেল। যা ধীরে ধীরে ঝগড়াতে রুপ নিতে লাগল। এরই মাঝে পিও মেজর নিয়ে নিল মার্কেটিং। দিপু আর টুসি নিল ফাইন্যঞ্চ।যদিও পিও ও তাই নিতে চেয়েছিল কিন্তু নেয়নি দিপুর কথা ভেবে । অথচ পিও বরাবরই ফাইন্যঞ্চ এ ভাল ছিল।
তারপর শেষ রক্ষা হয়নি। দিপুর অনুরোধে পিও আবার ও টুসির সাথে কথা বলতে শুরু করল যা ছিল দিপুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে। অবশেষে যা হবার তাই হয়েছে । দিপু আর পিওর ঝগড়া শেষ এ হাতাহাতি...আর নীরব দর্শক টুসি।
সময় তখন ২০০৯ দিপুর একমাত্র শত্রুতে পরিনত হল পিও।পিও নিজের ভুল বুঝতে পরে সরিও বলেছে। দিপু কিছু মানতে নারাজ। ২০০৯ এর পর আর কারো সাথে কারো দেখা বা যোগাযোগ হয়ানি।
এখন ২০১২...দিপুর সাথে টুসির ও কোন যোগাযোগ নেই...টুসির সাথে যোগাযোগ নেই পিওর ও। কিন্তু সার্কেল এর আর অন্য সাবার সাথে সব সময় সবার আলাদা ভাবে যোগাযোগ হত। শুধু একসাথে কারো সাথে কারো দেখা হত না।
২০০৯ থেকে ২০১২, মাঝে কেটে গেছে ৪টি বছর। এই চার বছর পর আজই প্রথম আবার সবাই একসাথ হলাম....কিন্তু মাঝে হারালাম ৪টি বছর শুধু একজন এর জন্য। টুসি র সাথে তার স্কুল কলেজ বা ভাসিটির কোন বন্ধুর সাথে কোন সম্পর্ক নেই।
সব ঠিক হয়ে যাবে....কিন্তু সময় আর ফিরে আসবে...না ।
ধন্যবাদ দিপু আমাদের আবার পুরোনো বন্ধত্ব তুলে আনার জন্য। চার বছর সাত্যি তোকে অনেক মিস করছি ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




