somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নোটবুকটা ঘুমাক...!

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ঝাপসা চোখ...
চোখে গ্লাস না পরলেতো আমার চলেই না। চোখটাকে খেয়েছি অন্ধকারে এক বিন্দু আলো খুঁজতে যেয়ে।আলো তো আর মেলেনি তবে আলোর সন্ধানটা করার নেশাটা আজকের কাহীনি না।আলো আলো গানটা তাহসান কবে গেয়েছে আর আমি কিছুটা পাগলের মত কবে থেকে সেইগানটা মনের অজান্তে ভালবেসে গাইতে সুরু করেছি, সেটার সূত্রপাত উৎঘাটন করতে গেলে আমাকে ঠিক কতটা পিছন থেকে সুরু করতে হবে সেটাও ঠিক জানিনা ! কারন স্মৃতির নোটবুকটার উপর মোটা করে ধুলোর যে চাদর আজ দেখতে পারছি,সেই চাদর সরিয়ে নোটবুকটার ঘুম নষ্ট করে যে কিছুই পাবার নেই ওটা জানা হয়ে গেছে।জানা হয়ে গেছে এটাও আমার চোখের মত স্মৃতি গুলোও ঝাপসা হয়ে গেছে। তবে ঝাপসা স্মৃতি থাকলেও ঝাপসা হতে দেইনি সেই নামটিকে,যেটা শতবার করে লিখলেও আনন্দ ঠিক তেমনটিই থাকবে...!আলো !আলো তার নাম ।আলোর মতই ছিল সে,ঠিক দিনের আলো। এখন সকাল তো একটু পরেই সে রাত !তবে তার আলো আধাঁরের সকল মুহূর্ত গুলোর মধ্যে বিকেলটা আমার খুব পছন্দের ছিলো !কারনটা আমার কাছে মধুর ছিলো,ওর কাছে হয়তো একটু তেতো হবে।
অভিমানে ভরা ছিলো তার পুরো বিকেলটা,আর আমার ঝাপসা চোখে তার অভিমান ভাঙ্গাতে হতো ! কারন চশমাটা সে অভিমানি হয়ে আমার চোখ থেকে খুলে চেপে ধরে বসে থাকতো । শাস্তি স্বরূপ আমাকে সবকিছু ঝাপসা দেখতে হতো।কিছুখনের জন্য হুমায়ূন আহমেদ এর শুভ্র হয়ে যাই।সবকিছু সাদা-কালো পেটার্নে দেখা শুরু করি।খুবি অস্বস্তি লাগতো। যতক্ষণ না তার মন ভালো হচ্ছে ততোখণ চশমা পাবার আশা করাটা ছিল বড় ভুল। এটা সেটা বলে তার ঠোটের হাসিটা যখন মিলত তখন আমার ঝাপসা চোখদিয়েই তা দেখতে হত।তার পর যখন চশমাটা আমাকে পরিয়ে দিত,ততোক্ষণে ওর হাসিটা মৃদু হয়ে আসতো। প্রত্যেক বার আমাকে ওর মৃদু হাসিটাই ঝাপসাহীন ভাবে দেখতে হত।আফসোস্ একটু আছে তার জন্য,তবে ভালবাসাটা হয়তো এর জন্যই একটু বেশি ছিল ।
কতজন ওর পিছনে ঘুরতো সেটা ওই ভালো জানতো,আর আমি ভালো জানতাম কোন কোন পথ ধরে গেলে আমার শরীরের হাড় এক হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে ! আমার জীবনে এত হুমকি আমি কখনই শুনিনি যেদিন থেকে ওর কাছাকাছি এসেছি।খুব সাহসী বা ভীতু কিনা ওটা প্রমাণ করার দরকার বোধ করিনি।আমার একটা ভুল পদক্ষেপে ওর ক্ষতি হোক এটা কখনই চাইনি।তবে এটা প্রমাণ তো দূরের কথা,এখনো বুঝে উঠতে পারিনি যে আমাকে কি দেখে পছন্দ করলো !
আমি আলোকে সবসময় দূর থেকে দেখতাম।দূর থেকে দেখতে দেখতে ভালোবেসে ফেলা।এই মেয়েটাকে যতই দেখতাম ততই আমি মায়া জালে আটকে যেতাম ,এত সুন্দর কেনো মেয়েটা ? আমার পক্ষে কখনই ওকে প্রোপজ করার সাহস কয়েছিল না।এত ছেলে ওর পিছনে লেগে ছিল সেটা ভেবেই আমার দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়া। তবে বন্ধুদের চোখে এই ভালবাসাটা লুকিয়ে রাখতে পারিনি ।বন্ধুদের একান থেকে সে কান হতে হতে যখন ওর কানে কথাটা ছুঁলো, তখনি আমার জীবনে লুকালুকি করার মত ঘটনার আবির্ভাব হল। এই হলো আমার বন্ধুদের কাজ।বন্ধুদের কাছে যাব, বলব একটু হেল্প কর সেই কথাটা বলারি বা সুযোগ কোথায় ছিল ।পরে আর কি...যা হবার তাই,আমার সামনে হুট করে এসে প্রশ্ন করলো "এই ছেলে তুমি বলে আমাকে পছন্দ কর,আমাকে ভালোবাসো? " আমারতো পা কাপেনা কিন্তু থোরা কাপে ! সেই মুহূর্তের কি কেপে ছিল কে জানে !আমিতো পুরাই বোবা হয়ে ছিলাম।থাকাটাই স্বাভাবিক,কারন যাকে দূর থেকে দেখে ভালোবেসেছি সেই মানুষটা ঠিক নাক বরাবর সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছে... ঠিক থাকি কি করে? ওর চোখের পলক পরাটা,হালকা বাতাসে চুলের খেলা করা,কথা বলার সময় ঠোটের ছোঁয়া না ছোঁয়ার দৃশ্য আমার কাছে তখদ HD slow motion এ দেখা কোন অনুভূতি...
তার পর থেকে ওকে দেখলেই লুকিয়ে চলতাম। লুকিয়ে থাকাটা হতোনা।আমাকে ঠিকি খুঁজে বের করতো।আমি কাঁচুমাচু হয়ে অন্যদিক ছুট দিতাম আর সে হেসে কুটিকুটি হত।আমাকে বিব্রত অবস্থায় ফেলে সে কি আনন্দ পেতো আমি এখনো জানিনা।তার সেই আনন্দ করা আমার মোটা গ্লাসের চশমা চুরি করা পর্যন্তই ছিল।তার পর ...!
এখনতো আমিই খুঁজেবেরাই সেই আলোকে !থাকনা আজ সেই কথা গুলো।ভালোলাগার কথা আর ভালোবাসার কথা গুলোতো ভালোই লাগে শুনতে।ভালোবাসার মানুষটি কাছে নেই সেই কথাগুলো ভালোনাও লাগতে পারে। থাকুক না সেই কথা গুলো স্মৃতির পাতা গুলোতে। থাকুক অমোলিন হয়ে। ঘুমাতে দিয়েছি স্মুতির নোটবুকটাকে ধুলোর চাদর পরিয়ে। বিরক্ত করার মন মানসিকতা নেই...
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×