(সব কবিতার উপক্রমণিকা থাকে না। এই কবিতাটার আছে। এক প্রত্যন্ত গ্রামে চাচাত/মামাত/ফুফাত/খালাত ভাইবোনের ভালোবাসার ফলে একটি শিশুর জন্ম হয়। এমন কোন অভূতপূর্ণ কাহিনী নয়। শিশুটির জন্ম এবং সম্পর্ক কোন পরিবারই মেনে নেয়নি। মুখে লবণ ঢেলে শিশুটিকে মেরে ফেলা হয়। এমন কোন বিরল ঘটনা নয়। তবুও ঘটনাটা আমাকে প্রবল নাড়া দিল, কারণ শিশুটিকে মেরে ফেলার কাজটা যে করেছিল, তাকে আমি চিনতাম। সে আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয় হয়। কষ্টটা অসহ্য মনে হওয়ায় এই কবিতাটার জন্ম। তাই এই কবিতাটা, অসময়ে মরে যাওয়া পৃথিবীর সকল অনাকাঙ্খিত শিশুর জন্য।)
কেমন আছো তুমি?
তোমার মৃতু্যর খবর শুনেছি আমি।
যদিও তোমাকে কখনো দেখিনি,
তবু কেন জানি,
কষ্টেরা আসা যাওয়া করে
আমার ভেতরে।
তুমি কি ভালো আছ?
তুমি কি জেনেছ
পিতা-মাতার অবৈধ মিলন থেকে
তোমার জন্ম দেখে
আরেক মাতা
হয়ে ওঠেন তোমার মৃতু্যদাতা?
তুমি কি জান
কেন তোমার মুখে পুরে দেওয়া লবণ
অসময়ে এনে দিয়েছিল মৃতু্যর ণ?
অপাপবিদ্ধ শিশু হয়েও এ পাপের দায়ভার
শুধুই তোমার।
কতদিন বয়স হয়েছিল তোমার?
এক, দুই, তিন, নাকি চার?
খবরটা শোনার পরই
তোমার অশ্রুত কান্না অনুভব করি
আকাশে বাতাসে।
তাই আজকে
মানুষের নিষ্ঠুরতা দেখে
লজ্জায় ঘৃণায় মাথা নত হয়ে আসে।
ওরা কি তোমার কোন নাম রেখেছিল?
বলেছিল, মানুষ কি করে
অমানুষ হয়ে পড়ে?
তোমার জন্য দু'ফোঁটা চোখের জল ফেলিনি।
এমন খবরতো রোজই শুনি।
তাই হয়তো শুকিয়ে গেছে চোখের জল।
আমরা সব স্নায়ুহীন মানুষের দল।
এত মানুষের মাঝে,
একজন শুধু মা চায়, তোমার কাছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


