বহুল আলোচিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করে তা পরিবর্তন করা হয়েছে আটবার। এমএ আজিজ কমিশন তফসিল পরিবর্তন করেছে পাঁচ বার আর এটিএম শামসুল হুদা কমিশন তিনবার তফসিল পরিবর্তন করে। এবারও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেই তফসিল ঘোষণা করা হলো।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘোষণা করে বিএনপি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন প্রতিহতে রাজপথে ছিল আওয়ামী লীগ। ফলে সেই নির্বাচনের উদ্যোগ ভেস্তে যায়। এবারও ঠিক একইকায়দায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজপথে নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তাহলে এবারও কি সেই আজিজ কমিশনের ভাগ্য বরণ করতে যাচ্ছে রকিব কমিশন? এমন আলোচনায় এখন সর্বত্র।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট নেয়া হলেও ওই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে। কিন্তু রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা যাওয়ার পর দুই বছর ভোট হয়নি। সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নবম সংসদ নির্বাচনের জন্য এম এ আজিজ কমিশন পাঁচবার তফসিল পরিবর্তন করে। পরে ড. এটিএম শামসুল হুদার কমিশনও তিনবার তফসিল পরিবর্তন করে।
দশম সংসদ নির্বাচনও জানুয়ারির পাঁচ তারিখ ঘোষণা করলেও সর্বদলীয় কোনো ধরনের সরকারের অধীনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন যাবে না বলে ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। ফলে জানুয়ারির পাঁচ তারিখ নির্বাচনের তারিখ ঠিক করে তফসিল ঘোষণা হলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সঠিক সময় হবে কি না-তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক (সুজন) বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আজিজ কমিশনের পথেই হাটছে বর্তমান কাজী রকিবউদ্দিন কমিশন। দুই দলের মধ্যে সমঝোতা হওয়ার আগেই তফসিল ঘোষণা করে কমিশন দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে প্রথম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে যথাক্রমে ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ, ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ সালের ৭ মে, ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ, ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন, ২০০১ সালের ১ অক্টোবর এবং ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০২