আমাদের দেশের স্বনামধন্য রাজাকার-আল-বদরদের নামে কিছু বলতে গেলে অনেকে তাদের লেবাস দেখে তাদের পক্ষ নেয়। গল্পটা পড়ুন এবং তাদের পুরাতন স্বভাব টা উপলব্ধি করুন।
হিন্দু ঠাকুরের বিবাহযোগ্য এক কণ্যার জন্য ঘটক ছেলে দেখেছে। ঠাকুর ঘটককে বললেন ,
তো ঘটক মশাই ছেলে কেমন? ঘটক বলল, এমন ছেলে হাজারে একটা মিলানো কঠিন। আপনি ছেলের সংগে চোখ বুজে মেয়ের বিয়ে দিতে পারেন। ছেলেটার একটু অভ্যাস হল সে কাচা পিয়াজ খাই। হিন্দুরা সাধারনত কাচা পিয়াজ খায় না। কাচা পিয়াজ খাওয়ার কথা শুনে ঠাকুর রাম-রাম করে চেচিয়ে উঠল। ঘটক বলল, দেখেন ছেলেটাতো সব সময় কাচা পিয়াজ খায় না, যখন একটু গরুর মাংশ খায় তখন সাথে একটু কাচা পিয়াজ খায়। ঠাকুর লাফিয়ে উঠল। বলল রাম-রাম ছেলে গরুর মাংশ ও খায় নাকি? ঘটক বলল সব সময় তো খায় না যখন নেশা-টেশা করে তখন একটু খায়। ঠাকুর আবার রাম-রাম করে চেচিয়ে উঠল। বলল , সে কি ছেলে নেশা ও করে নাকি। ঘটক বলল না সব সময় তো করে না যখন একটু নারীর কাছে যায় তখন একটু নেশা-টেশা করে। ঠাকুর আবারও রাম-রাম করে উঠল। বলল ছেলে তাহলে অন্য মেয়েদের কাছে ও যায়। ঘটক বলল দেখেন সব সময় তো যায় না, যখন ছিনতাই-চাদাবাজি করে হাতে অনেক টাকা পয়সা থাকে শুধু তখন যায়। ঠাকুর আবারও রাম-রাম বলে উঠে দাড়াল। বলল সেকি ছেলে ছিনতাই-চাদাবাজি ও করে নাকি? ঘটক বলল, দেখেন এত ঘাবড়াবেন না। ছেলেকে যেমনটা ভাবছেন ততটা খারাপ সে না। সে সব সময় তো ছিনতাই-চাদাবাজি করে না মাঝে-মধ্যে যখন জেলখানার বাইরে থাকে তখন করে। ঠাকুর আবার ও রাম-রাম বলে উঠল। বলল ছেলে কি তাহলে জেলখানায়ও থাকে? ঘটক বলল, দেখেন সব সময় তো জেলখানায় থাকেনা, যখন হাসপাতালের বাইরে থাকে তখন জেলখানায় থাকে। ঠাকুর বলল তো হাসটাতালে থাকে কেন? ঘটক বলল, যখন জনগণের হাতে ধরা খায় তখনতো হাসপাতালে যেতে হয়। বুঝলেন তো এরকম গুনধর ছেলে আপনি কোথাও খুজে পাবেন।