somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আরিফ রুবেল
জীবন বৈচিত্রময়। জীবনের বিচিত্র সব গল্প বলতে পারাটা একটা গুন আর সবার সেই গুনটা থাকে না। গল্প বলার অদ্ভুত গুনটা অর্জনের জন্য সাধনার দরকার। যদিও সবার জীবন সাধনার অনুমতি দেয় না, তবুও সুযোগ পেলেই কেউ কেউ সাধনায় বসে যায়। আমিও সেই সব সাধকদের একজন হতে চাই।

তারেক রহমান, জিয়া পরিবার ও বিএনপি'র নেতৃত্ব

০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেদিন এক ঘরোয়া আলোচনায় রাজনীতির প্রসঙ্গ আসতেই স্বাভাবিকভাবেই বিএনপির প্রসঙ্গ আসল এবং সেই সূত্র ধরেই বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রসঙ্গও আসল। যদিও আরও আলাপের ভীড়ে আলাপটা বেশি দূর আগালো না।
তাই ভাবলাম এই প্রসঙ্গে আমার বক্তব্যটা এখানে টুকে রাখি।

এক

বাংলাদেশে নব্বই পরবর্তী গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে এক অবিচ্ছেদ্য নাম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল - বিএনপি। একজন সামরিক শাসকের হাত ধরে ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেয়া একটা রাজনৈতিক দল যেই দলটার প্রধান এক রক্তাক্ত সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জীবন হারান।

অনেকেই ভেবেছিল দলটি সেখানেই শেষ। অথচ সেই হত্যাকাণ্ডের ৪২ বছর পরেও রাজনীতির অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দলটি আজো বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। অনেকেই বলে থাকেন এর পেছনে জিয়ার ইনক্লসিভ রাজনীতি, ভারতের আধিপত্যবাদ বিরোধীতা ও মার্কিন সুদৃষ্টি অনেকাংশে কাজ করেছিল। জিয়া সামরিক শাসক হলেও এমন একটা টিম তৈরি করেছিলেন যা এরশাদের নয় বছরের সামরিক স্বৈরশাসনের সাথে লড়ে এমনকি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগকে পর্যন্ত ঘোল খাইয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম সর্বজন গ্রহনযোগ্য নির্বাচনে এককভাবে নির্বাচন করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে সক্ষম হয়।
জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী রাজনীতির পুনর্বাসন করেছিলেন। তিনি জামায়াতকে পুনরায় রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। তার দলে অনেক চিহ্নিত মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ডানপন্থী রাজনীতিকের আশ্রয় হয়েছিল। আবার তার দলে চীনপন্থী বাম রাজনীতিকদেরও স্থান হয়েছিল। স্থান হয়েছিল আওয়ামীবিরোধী অনেক রাজনীতিকেরও৷ জিয়া নিজে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় তার সাথে অনেক মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তারও স্থান হয়েছিল এই দলে৷ অর্থাৎ বিএনপি কোন একটি রাজনৈতিক মতাদর্শভিত্তিক দল হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে আসেনি। বরং বিএনপি ছিল সেই ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদ যার মাধ্যমে পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিল সেই মতবাদের বাংলাদেশী ভার্সন যার অন্যতম মূখ্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যই ছিল ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়া একই সাথে সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্ম তার সাথে ভারসাম্য বজায় রাখা।

দুই

খালেদা জিয়াও তার মরহুম স্বামীর পদাঙ্ক অনুসরন করেন। মিত্র নির্বাচনে তিনি অত্যন্ত কুশলি আচরণ করেন৷ ফলে স্বৈরাচার এরশাদের বিপক্ষে লড়াইয়ে তিনিই শেখ হাসিনাকে ছাপিয়ে নেতৃত্ব নেন। ফল হিসেবে জনগণ তাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেন ১৯৯১ সালে৷ সমস্যাটা বাধে এরপরে৷ ক্ষমতা গ্রহনের পরে জামায়াতের আমির গোলাম আযমের নাগরিকত্ব ইস্যুতে তিনি কুশলি আচরণ করতে ব্যর্থ হন। ফলশ্রুতিতে মিডিয়া ও জনগনের একাংশ স্বাধীনতাবিরোধী পক্ষের সাথে বিএনপিকে এক কাতারে ফেলতে শুরু করে৷

অথচ, এই জামায়াত ৯৬ সালে ঠিকই আওয়ামী লীগের সাথে এক যোগে বিএনপিককে ক্ষমতা থেকে হঠাতে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু করে এবং খালেদা জিয়া সেই আন্দোলনের সামনে নতি শিকার করতে বাধ্য হন এবং সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হন। ১৯৯৬ সালের ১২ই জুনের সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে এবং সরকার গঠন করে। বেগম জিয়া বিরোধী দলীয় নেতার আসন অলংকৃত করেন৷

২০০১ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়া চারদলীয় জোট আকারে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটা একটা নতুন ডাইমেনশন যোগ করে। বলা হয়ে থাকে, দলকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে এটা ছিল বেগম জিয়ার আরেকটি মাস্টারস্ট্রোক এবং এটা এমনই এক মাস্টারস্ট্রোক ছিল যার ধাক্কায় প্রায় ৪০% ভোট পেয়েও সংসদে সংখ্যালঘু দলে পরিণত হয় আওয়ামীলীগ অপর দিকে দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয়লাভ করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট।

তিন

২০০১ এ ক্ষমতা অর্জনের পরে তারেক রহমান, যিনি মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়া ও বেগম জিয়ার জেষ্ঠ্য পুত্র, লাইমলাইটে চলে আসেন। বিএনপির তৃণমূলে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়। সমস্যা বাধে আরেক জায়গায়। জিয়া-খালেদা দম্পতির জেষ্ঠ্য পুত্র তারেক রহমান নেতৃত্বে এসেই বিএনপির সিনিয়র নেতৃত্ব এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বেগম জিয়াকে না জানিয়ে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে থাকেন৷ 'হাওয়া ভবন' নামে অফিস খুলে শ্যাডো সরকার চালাতে থাকেন। প্রশাসন ও দল উভয় জায়গায় একক কর্তৃত্ব বজায় রাখতে গিয়ে দলের ভেতরে ও বাইরে সম্ভাব্য প্রতিপক্ষকে কোনঠাসা এমনকি বিনাশ করার মত আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নেয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। মিডিয়ার মাধ্যেম তার বিরুদ্ধে নানান মিথও ছড়িয়ে পড়ে দেশে ও বিদেশে৷ তার এই আচরণে ফল হিসেবে বিএনপি কয়েক দফা ভাঙনের মুখে পড়ে৷

প্রথম দফা, সাবেক রাষ্ট্রপতি বর্ষিয়ান বিএনপি নেতা ও ২০০১ এ বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় ক্ষমতায় আনার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ডা বদরুদ্দোজা চৌধুরি বিকল্প ধারা গড়ে তোলেন। দ্বিতীয় দফা, জিয়াউর রহমানের সামরিক সচিব ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোদ্ধা অলি আহমেদের নেতৃত্বে এলডিপি গঠন, তৃতীয় দফা, এক এগারোর সেনা সমর্থিত সরকারের প্রত্যক্ষ মদতে মান্নান ভুইয়ার নেতৃত্বে সংস্কারপন্থী প্রায় শতাধিক নেতার দল বেগম জিয়া ও তারেকের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ৷

এরপরেও কয়েক দফায় বিগত সতের বছরে বিএনপির অনেক নেতাকেই হয় দল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে অথবা তারা নিজেরাই দল থেকে বের হয়ে গেছেন অথবা নিস্ক্রিয় হয়ে গেছেন। এদের অনেকেই আবার তারেকের বাবা জিয়ার সাথে রাজনীতি করা, স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটানো এবং আওয়ামী লীগকে পরাজিত করা রাজনীতিক। ফলে এদের প্রস্থান নি:সন্দেহে বিএনপির চরম ক্ষতির কারণ হয়েছে। বিএনপির রাজনীতি নিয়ে যারা ভাবেন তাদের মধ্যে এই মতটা যে প্রচলিত আছে যে বিএনপির আজকের অবস্থানের কারণ তারেক রহমানের একগুয়েমি, দলের অভ্যন্তরে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা এবং দলকে ব্যাক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা সেটা যে একেবারে ভিত্তিহীন না সেটা কিন্তু ঘটনার পরম্পরা দেখলেই বোঝা যায়।

চার

এক এগারো পরবর্তী দুই বছরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছিল বিএনপির নেতাকর্মীরা। মাইনাস টু'র পৃষ্ঠপোষক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ মদতে গঠিত সেই সরকারের অন্যতম এজেন্ডাই ছিল বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে দুই বেগমের প্রস্থান এবং এখানে হামিদ কারজাই মডেলের একটি সরকার প্রতিষ্ঠা তথা এই অঞ্চলে ইন্দো-প্যাসিফিক এজেন্ডার বাস্তবায়ন। কিন্তু, সেটা আর সম্ভব হয়নি। হাসিনা-খালেদা উভয়েই চরম একগুয়েমির পরিচয় দেন এবং মাটি কামড়ে থেকে সেই সময়ে তাদের বিদেশ নির্বাসনের সরকারী পরিকল্পনার মুখে পানি ঢেলে দেন৷

কিন্তু আমার ধারণা, এই দুই নেত্রীকে ছাড় দিলেও তারেক রহমানকে ছাড় দিতে চায়নি বিদেশি পরাশক্তি। বিশেষ করে, দশ ট্রাক অস্ত্র পাচার, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয়দাতা ও একুশে আগস্টের ঘটনায় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মাথা ব্যাথার কারণ ছিলেন তারেক রহমান। ফলে জীবন বাচাতে তাকে ও তার ভাই আরাফাত রহমানকে মুচলেকা দিয়ে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেন তাদের মা খালেদা জিয়া।
সেই সময় থেকেই দেশের বাইরে (বর্তমানে যুক্তরাজ্যে) অবস্থান করেছেন তারেক রহমান। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলার রায় হয়েছে এবং বিচারাধীন আছে আরো বেশ কিছু মামলা। ফলে, তিনি আত্মরক্ষার্থেই দেশে আসাকে সমীচিন মনে করছেন না। ভিডিও বার্তার মাধ্যেমে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আখেরে কোন কৌশলই আসলে সরকারকে কোনঠাসা করতে পারছে না।

পাচ

এমন অবস্থায় কেউ কেউ এমনকি তারেক রহমানের নেতৃত্বের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। তবে তাদের সবাই যে বিএনপির আমার কাছে ব্যাপারটা এমন মনে হয় না। এদের একটা বড় অংশের হয়ত বিএনপির রাজনীতির সাথে কোন সংযুক্তিই নাই।
তবে তারপরও যেহেতু কথাটা এসেছে সেহেতু আসুন ব্যাপারাটাকে একটু তলিয়ে দেখা যাক।

প্রথমেই বলে নেয়া দরকার, বাংলাদেশের মানুষ যতই গণতন্ত্র বলে চিৎকার করুক আখেরে আমরা সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতা থেকে এখনও বের হতে পারিনি। আমরা এখনও রাজার ছেলেকে রাজা ভেবে অভ্যস্ত। এটা এমনকি একদম তৃণমূল পর্যন্ত গ্রথিত। ফলে জিয়া পরিবারের বাইরে কেউ এসে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রাখবে এমনটা ভাবার কোন কারণ নাই। এই যুক্তির পেছনে আমরা পূর্বের বিকল্প ধারা, এলডিপি ও সংস্কারপন্থীদের কেইসগুলো স্টাডি করে দেখতে পারি। এমনকি সর্বশেষ নির্বাচনে বিএনপির দলছুট নেতাদের দিয়ে তৈরি কিংস পার্টিগুলোর ভরাডুবিও প্রনিধানযোগ্য।

ফলে, জিয়া পরিবারের বাইরে থেকে যেহেতু কেউ এসে বিএনপির নেতৃত্ব দিতে পারবে না সেহেতু আসুন আমরা তারেক রহমানের বাইরে সম্ভাব্য অপশনগুলো নিয়ে ভেবে দেখি।

প্রথমেই বেগম জিয়াকে বাদ দেয়া যাক তার শারিরীক অবস্থার কারনে। তারেকের ভাই আরাফাত রহমান প্রবাসে থাকাকালীনই প্রয়াত হয়েছেন অনেক দিন হল। এরপর আসে তারেক রহমানের স্ত্রী যুবাইদা রহমান। তার ব্যাপারে অনেক দিন ধরেই বিভিন্নজন আশাবাদী হলেও তাকে কোন সময়েই মিডিয়া বা রাজনীতিতে কোন প্রকার যোগাযোগ দেখা যায়নি। ফলে সে দেশে এসে দল গোছানোর কাজে আগ্রহী এমনটা মনে হচ্ছে না। একই কথা প্রযোজ্য তারেক কন্যা যাইমা রহমান ও মরহুম আরাফাত রহমানের স্ত্রী শারমিন আক্তার সিথির ব্যাপারেও।

ফলে, তারেক রহমান ছাড়া বিএনপির আসলে এই মুহুর্তে অন্য কোন উপায়ও নেই। এমনকি খোদ তারেক রহমানও যদি মনে করেন তিনি তার চেয়ার থেকে সরে গিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কাছে দায়িত্ব অর্পন করবেন আমার মনে হয় না বিএনপির এই নেতারা সেই ভার বহন করতে পারবেন।

ছয়

ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসবে তাহলে কি করবেন তারেক রহমান? আমার ব্যাক্তিগত পরামর্শ হল, তিনি যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন। শুধু সব কিছু নিজের কাছে কুক্ষিগত করে না রেখে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরন করবেন। ভুলের শুরুটা হয়েছিল যেখানে সেখান থেকে ভুলটা শোধরান তিনি। একদম উপজেলা ইউনিট পর্যন্ত তিনি সিদ্ধান্তের ছাড় দিবেন। সংগঠনকে একদম তৃণমূল থেকে তুলে আনতে হবে। যাতে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ভুল না হয়। There is no shortcut to success!

আর তিনি নিজেকে তৈরি করবেন আধ্যাত্মিক/আদর্শিক নেতা হিসেবে। পড়াশুনা করবেন। আশেপাশের চাটুকারদের এক্সেস সীমিত করবেন। মাঠের নেতৃত্বের ভার ছেড়ে দেবেন দেশে থাকা নেতাদের উপর। কেউ গ্রেফতার হলে বা আত্মগোপনে গেলে তার রিপ্লেসমেন্ট তৈরি রাখার একটা চলমান প্রক্রিয়া থাকতে হবে।

এক এক ইঞ্চি মাটি পুনরুদ্ধারের রাজনৈতিক সংগ্রামে লিপ্ত হবে তার নেতা কর্মীরা। তিনি বিদেশে থেকেই উদ্দীপনামূলক বক্তব্য রাখবেন নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে। জনগণের সামনে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিনিই হবেন বিরোধী দলের মুখপাত্র।

যে শহীদ জিয়ার আদর্শের কথা বিএনপি বলে বেড়ায় সেই জিয়াকেই তাদের পুনরায় জনগণের মানসপটে ফিরিয়ে আনতে হবে। ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের সাথে গণতান্ত্রিক জাতীয়তাবাদকে মিশ্রন ঘটাতে হবে। 'ভাঙন নয় ঐক্যেই আসবে মুক্তি' এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে তাদের এগুতে হবে এক পা এক পা করে। এই আগাতে গিয়ে যদি সাময়িক সমঝোতাও করতে হয় সেটা করার ভারও দিতে হবে মাঠে থাকা নেতাদের উপর। সর্বোপরি সকল স্তরে একটা আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারলেই সম্ভব বিএনপির পুনরুত্থান!

একই সাথে সংগঠন গোছানোর পাশাপাশি দলকে নিয়ে যেতে হবে জনগণের দুয়ারে। শুধু নির্বাচনভিত্তিক না একদম তৃণমূলের ইস্যুগুলো নিয়ে তার দলের নেতা কর্মীদের লড়তে হবে। যেখানেই অন্যায় সেখানেই তাদের উপস্থিত হতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জন ব্যতিত কোন রাজনৈতিক দল সাফল্য অর্জন করতে পারে না এবং জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। যতই বিএনপি বলার চেষ্টা করুক আওয়ামী লীগ অমুককে ম্যানেজ করেছে তমুককে ম্যানেজ করেছে বাস্তবতা হচ্ছে জনগণ আওয়ামী লীগকে মেনে নিয়েছে বলেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। এখন এই মেনে নেয়ার মধ্যে অনেকে অনেক কথা বলবেন কিন্তু তাতে মাঠের বাস্তবতার কোন অদল বদল হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:৫৬
১৬টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×