চারটি কবিতা
নক্সা
একটি শিশু নক্সা তৈরি করে
তুমি জানো সে কোথায় যায়?
একটি শিশু নক্সায় রঙ ভরে
তুমি জানো সে কোথায় গিয়েছে?
একটি শিশু নক্সা ছিড়ে ফেলে
তুমি জানো সে কোথায় পৌছেছে?
যদি তুমি জেনে থাকতে
তবে নীরব বসে থাকতে না
এ ভাবে।
ধূলো
এক.
তুমি ধূলো-
পায়ে পিষ্ট হওয়া ধূলো।
উত্তাল বাতাসের সাথে ওঠো,
ঝর হয়ে
তার চোখে গিয়ে পড়ো
যার পায়ের নিচে থাকো।
এমন কোনও জায়গা নেই
যেখানে তুমি পৌছতে পারো না,
এমন কেউ নেই
যে তোমাকে রুখতে পারে।
তুমি ধূলো
পায়ে পিষ্ট হওয়া ধূলো,
ধূলোয় মিলিয়ে যাও।
দুই.
তুমি ধূলো
জীবনের আর্দ্রতা থেকে
উইপোকা হও।
রাতারাতি
দীর্ঘকাল বন্ধ এই
দেয়ালের
জানালা
দরজা
আর ঝলমলিয়ে হেঁটে চলো।
তুমি ধূলো
জীবনের আর্দ্রতা থেকে জন্ম নাও
উইপোকা হও, এগিয়ে চলো।
একবার রাস্তা চিনে গেলে
কেউ তোমাকে রুখতে পারে না।
কতো ভালো হতো
কতো ভালো হতো
একে অন্যকে না জেনেই
পাশে পাশে থাকা
আর সেই গানকে শোনা
যা ধমনিতে বেজে চলে,
সেই রঙে ডুবে যাওয়া
যার ছাপ বহু গভীরে উঠতে তুলতে।
শব্দের খোঁজ শুরু হতেই
আমরা পরস্পরকে হারাতে থাকি
আর ওর অধীনে এসে পড়লেই
একজন আরেকজনের হাত থেকে
মাছের মতো পিছলে যাই ।
প্রত্যেক জানাশোনার খুব গভীরে
বিরক্তির মিহিন সুতো লুকোনো,
কোনওকিছু ঠিকভাবে জেনে নেয়া
নিজের সঙ্গেই শত্রুতা করে বসা ।
কতো ভালো হতো
দু'জন পাশে থেকে নিজেকে খোঁজা,
আর নিজের ভিতরই
অপরকে পাওয়া ।
সমর্পণ
ঘাশের একটি পাতার সামনে
নত হলাম
আর পেলাম যে
আকাশ স্পর্শ করছি
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৩৪