মনে কর তোমার নাম "বনলতা "। তোমাকে বলা হলো - তুমি তোমার সমস্ত সত্তাদিয়ে একজন নারী হও, আর শুধু ভালোবেসে যাও কোন এক পুরুষ কে।
যে তোমাকে ভালোবাসে, আর টোলখাওয়া গালে চুমু অাঁকে বারবার!
তুমি তাকেই মনের পটে গেঁথে রাখ -
যার পদচারণা তোমার লক্ষ্যপথে ফুল ছিটিয়ে রাখে।
তার চির প্রস্থানের পরও তুমি তার পাশে জেগে থাক আমৃত্যু, তার স্মৃতিচিহ্ন ভরা সুধা নিয়ে!
কী ভাবছ? জীবনানন্দের বনলতা করে তোমাকে কেন সাজালাম এই বিশ্বায়নের ভর দুপুরে?
ঠিক ধরেছ।
তোমার চোখের তারার তীক্ষ্ণতা,ঠোঁটের নন্দনা আর
মুখাবয়বের সৌন্দর্য , সে তো জীবনের, মননের, শুধু ভারত বর্ষের নয়, বিশ্বের অন্তর্গত শিল্প ভাবনার বিপর্যাস! কে বলে সে আটপৌরে চিন্তার?
আমার চেতনায় দোল খেতে বাধ্য করেছে যে জীবনানন্দীয় রমণী! সেইতো তুমি।
তুমি পারবে না সমস্ত জীবন বাজি ধরে বসে থাকতে?
না।
আমার সমস্ত চেতনার রঙে ডুবিয়ে রেখেছিলাম তোমার সত্তা,ডুব সাঁতারের খেলায় মেতে উঠেছিলে কতবার!
তবুও না।
তাহলে তুমি আমার চেতনায় জন্মানো অনিন্দ্যসুন্দর বনলতা! প্রকৃতির অমোঘ রহস্য! বৈশিষ্ট্যই যার শাশ্বত!
নও বনলতা সেন?
না
জীবনানন্দের জীবন ঘনিষ্ঠ বাস্তবতা।
যার শাশ্বত রূপই বেঁচে থাকা!! তুমি রাঙিয়েছ তাই রঙে আমি রঞ্জিত।