যদি একদম খোলা মন নিয়ে ভাবি, আমাদের দেশের আজ এই অবস্থা কেন?
একটি লিস্ট করা যেতে পারে:
১। নির্বাচন
২। অপ-রাজনীতি'র থাবা/ অপ-তৎপরতা
৩। যুদ্ধাপরাধী ইস্যু
৪। উপরের ৩'টা ইস্যু নিয়ে কিছু মহলের (যদিও নামে তারা রাজনৈতিক নহে) খুব বেশি বাড়াবাড়ি
৫। আমাদের তথা জনগণের মুখ বুজে থাকার অস্বাভাবিক ক্ষমতা (লাভ/অর্জন)
বিস্তারিত:
# নির্বাচন
আপাতত নির্বাচন নিয়ে আমার ভাবনা ভাবনাই থাক! এখনকার মত, দৈনিক পত্রিকাগুলো পড়লেই এটার হাল-হকিকত্ জানা/বোঝা যাবে।
# অপ-রাজনীতি'র থাবা/ অপ-তৎপরতা
পক্ষেই বলুন, আর বিপক্ষেই বলুন, রাজনীতি'র নামে যেটা হচ্ছে তাকে রাজনীতি না বলে আমার মতে শুধু ক্ষমতা-নীতি বলাটাই সমীচিন!
রাজাকে এখন আর রাজনীতি জানতে হয় না, তবে সিংহাসন ধরে রাখার কবজ'টা গলায় থাকা জরুরী। সেটা আমাদের হাইকোর্ট দেখলেই বোঝা যায়। আর যদি নিজের একটা অভিধান লেখার এবং তার সমস্ত শব্দ নিজের অনুসারীদেরকে সিরাপের মতো গেলানো যায়, তবে'তো আর কোনো বাক্য বলার মতো দু:সাহসী কাউকেও পাওয়া যাবে না। আবার তার সাথে আদি তথা পুরোনো এবং বিখ্যাত মিশ্রণ'তো রয়েছেই।
সব কিছু মানলেও, মানুষ খুন!
আমার এক সিনিয়র বড় ভাই বলেছিলেন, 'আই ডু নট নীড টু কিল মাই এনিমি'জ, বিকজ দে উইল ডাই ওয়ান'ডে লাইক মি'! আসলে উনার বাবা'কে কিছু কাছের মানুষ খুন করেছিলো!
এটা একটা শিক্ষা, একটা ধর্ম যা মানুষ সহজাতভাবে শিখে থাকে। যার মধ্যে এসবের অভাব বিদ্যমান, তার পক্ষে অনেক কিছুই কোনো অর্থ রাখে না। এমনকি মানুষ খুনও।
আর রাজনীতি যখন এই খুনকে সমর্থন দেয়, রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে এর সব চ্যালা-চামুন্ডাও চায় কিছুটা খুনের ক্রেডিট নিতে; এতে নিজের একটা প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ পাওয়া যায় আর কি।
ছেলে কার, এই নিয়ে সেই পুরোনো গল্পের 'মা'য়ের কথা মনে পড়ে যায়। দরকার নেই ছেলেকে জেতা, তবুও ছেলে বেচে থাক; এটাই তার সান্তনা।
আজকে লাশের পর লাশ পড়ছে, আর 'রাজনীতি' প্রাণপন চেষ্টায় আছে সেই 'নকল' মায়ের চরিত্র কিভাবে দিনের পর দিন আরও বাস্তবসম্মত, আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যায়। শুধু লাশ হলেই আবার তার চলে না, লাশের সাথে তার কফিনের ব্যাবস্থা যেন না হয় সেই নিশ্চয়তাটুকু তার গ্যারান্টিসহ চাই।
চলবে....
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




