somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডিজিটাল বাংলাদেশ:২য় পর্ব (২৮ অক্টোবর এর উপর উৎসর্গকৃত একটি উপন্যাস)

২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি বললাম,
- চিন্তার কোন কারণ নেই। এটা একটি স্বল্প মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স; তোমাদের স্বার্থেই এর আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তা ব্যাক্তি মহোদয়গণ তোমাদের সাত বছরের অনার্স কোর্সকে চার বছর এবং চার বছর অথবা তিন বছর মেয়াদী মাস্টার্স কোর্সকে এক বছর হিসেবে ধরে নিয়ে তোমাদের শিক্ষানবিস দিনগুলোকে খাটো করে দেখার প্রয়াস চালাচ্ছেন। আমরা এখন তোমদেরই দাবী আদায়ের লক্ষ্যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়টাকে দাউ দাউ করে জ্বালিয়ে দেব। যতক্ষণ না দাবী আদায় হয়েছে ততক্ষণ পযন্ত তোমরা সকলে নারী-পুরুষের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একযোগে সবকিছু ভাংচুর করতে থাকো।
ছাত্র-ছাত্রীরা সকলে একযোগে চতুর্দিকে আগুনের কুন্ডুলী পাকাতে লাগলো। আমিও কয়েকজন ছাত্রনেতাদের সাথে নিয়ে সিগারেটের মাথায় আগুন ধরিয়ে আমাদের চারপাশে ধোয়ার কুন্ডুলী ছড়াতে লাগলাম। আমার খুব খুশি খুশি লাগছে। আমি ছাত্রনেতাদের জিজ্ঞেস করলাম,
-এই তোমদের কি বাংলা পাঠ্যবই আছে। বাংলা কবিতা আমার না খুব ভালালাগে।
ছাত্ররা বলল,
-স্যার আমরা তো এখানে একেকজন একেক বিষয়ে পড়ালেখা করি। যেমন- আমি অর্থনীতি, ও ইংরেজী, আর ঐটা হচ্ছে বাংলায়।
আমি বললাম,
-কি লজ্জা!! তোমরা মাত্র একটি বিষয় নিয়ে এত বছর লেখাপড়া কর!!! অথচ আমি চতুর্থ শ্রেণীতে থাকতে এক বছরেই দশটি বিষয় পড়ে শেষ করেছি............বাংলা, ইংরেজী, ধর্ম শিক্ষা, গণিত, আঁকতে শিখি আরো কত কি........!!!!!!
ছাত্ররা সব আমার কথায় ভীষন লজ্জা পেয়েছে। যে ছেলেটা বাংলায় পড়ে আমি তার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলাম,
- এই তুমি কি “হাট্টি মাটিম টিম” তারপর “আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা” এইসমস্ত কবিতাগুলো মুখস্ত বলতে পারো? হনুমান টনুমানদের কবিতা আমার কাছে একদম ভালো লাগে না।
সে বলল,
-স্যার আমি নিজে নিজে ওসব কবিতা লিখতে পারি। অনার্সে পড়লে ওসব কবিতা মুখস্ত করতে হয় না।
আমি বললাম,
-নিজের লেখা দু’একটা কবিতা আবৃত্তি করে শুনাতে পারবা? দেখিতো তুমি কেমন কবি হলে?
ছেলেটা আবৃত্তি করতে শুরু করল,
-ছাত্র-ছাত্রী জোড়া-জোড়া
মারব চাবুক চড়বো ঘোড়া
ওরে ভিসি সরে দাঁড়া
আসছে আমার পাগলা ঘোড়া
পাগলা ঘোড়া ছুটেছে
ভিসির অফিস ভেঙ্গেছে........
আমি বললাম,
-খুব সুন্দর; খুব সুন্দর, আরেকটা বল,
ছেলেটা বলতে লাগলো,
-আয় ছেলেরা আয় মেলেরা
চাঁদা তুলতে যাই
চাঁদার পঁয়সা হাতে নিয়ে
নেতার বাড়ী যাই।
আমি বললাম,
-এত ছোট ছোট কবিতা বললা?! বড় মাপের দুইটা কবিতা পড়ে শুনাও তো দেখি।
ও আবার আবৃত্তি করতে শুরু করল,
-নুটন নুটন দলগুলো
জোটন বেধেছে
ওপারেতে বিরোধীদল
নাইতে নেমেছে
দুই দ্বারে দুই জোট-সমাবেশ
জটলা পেকেছে
কে দেখেছে কে দেখেছে
নেতা দেখেছে
নেতার হাতে গ্রেনেড ছিল
ছুড়ে মেরেছে।
উহ্‌ বড্ড লেগেছে।
তারপর আরেকটা,
ওই দেখা যায় নীলক্ষেত
ওই আমাদের গাঁ
ওই খানেতে বাস করে
সন্ত্রাসীদের ছা
ওই সন্ত্রাসী তুই চাস কি?
লেখা পড়া করিস কি
লেখা পড়া করি না
চাঁদা টাকা পাই না
একটু যদি পাই..........
ছেলেটার কবিতা পড়া শেষ হতে না হতেই কয়েক ঝাঁক বিপ্লবী দৌড়ে এসে আমার আশে-পাশে জড়ো হলো। চতুর্দিক থেকে কান জ্বালা-পোড়া করা “স্যার স্যার” শব্দ শুনে আমার উপলব্দিত্ব হলো আমিই যেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সত্যিকার ভিসি ছাড়া অন্য কেউ নই। আমি এক সাথে সবার ডাকে সাড়া দিয়ে বললাম,
-থামো, তোমাদের কি হয়েছে?
ওরা বলল,
-স্যার আমাদের কিছুই হয়নি। হয়েছে যা, তা সব আন্দোলনের। বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় পোলাপান আমাগো জ্বালা-পোড়াও কর্মসূচী বাস্তবায়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমি অনেক্ষণ চিন্তা করে বুদ্ধি খুজলাম। তারপর বললাম,
-সাংঘাতিক, সাংঘাতিক আশ্চর্যজনক বিষয়। তোমাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজাকার আর যুদ্ধাপরাধীরা এত সাহস পাইলো ক্যামনে?!
ওরা সবাই মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে। আমার চান্দি গরম হয়ে গেল। ওদেরকে ধমক দিয়ে বললাম,
-লাফিয়ে লাফিয়ে দৌড় দাও, চেয়ে চেয়ে কি দেখবার লাগছো, পিঠিয়ে পিঠিয়ে সকল রাজাকার আর যুদ্ধাপরাধীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দাও।
পরিস্তিতি আবারো উত্তপ্ত হতে শুরু করলো। তাপের কাজইতো উত্তপ্ত করা। ওরা সবাই শ্লোগান দিতে দিতে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লো।
“ .........চামড়া তুলে নেব আমরা; একটা-দুইটা ......ধর, ধইর‌্যা ধইর‌্যা জবাই কর.......কর......কর.....কর......রগ....কাট....কাট”
আমার খুব ভয় হল। তাই একজন ছাত্রনেতাকে চুপি চুপি জিজ্ঞেস করলাম,
-ওরা এখানে ভর্তি হওয়ার আগে কোথাও কসাইগিরি কিংবা রগা কাটার চর্চা করেছিল কি না?
ও জবাব দিল,
-না, তবে এখানে ভর্তি হওয়ার পর আমরা তাগরে এইসব কাজে দীক্ষা দিয়েছি।
ফিরার পথে চোখে পড়লো বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে “রাজাকার এবং যুদ্ধাপরাধী মুক্ত হল” লেখা m¤^wjZ পোস্টার শোভা পাচ্ছে। আমি দেখলাম, কোন এক হল সংলগ্ন মাঠের কোণে এক ছাত্র হাতে বই-খাতা নিয়ে নির্জনে তার অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছে। আমি তার কাছে গিয়ে প্রশ্ন করলাম,
-বাপু তোমার কি হয়েছে?
সে বলল,
-আমাকে হল থেকে বের হতে হয়েছে।
আমি তাকে বললাম,
-৭১-এ তোমার পিতা রাজাকার ছিল না মুক্তিযোদ্ধা ছিল?
সে বলল,
-মুক্তিযোদ্ধের সময় আমার পিতা সাত বছরের বাচ্চা ছিল।
আমি বেশ বিপাকে পড়ে গেলাম। তারপর একজন ছাত্রনেতা আমাকে বিষয়টার যথোপোযুক্ত সমাধান দিয়ে বলল, “ছেলেটা নাকি চরিত্রে একজন আদর্শিক রাজাকার হয়।”
আকশে সব সময় সাফল্যের কেতন উড়াউড়ি করে ভাগ্যে থাকলে যে কেউ এই কেতনগুলো ঝাপটিয়ে ধরতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ¯^í মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স চালু হওয়ার সাথে সাথেই দেশের সকল সুনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনুরূপ কোর্সগুলো চালু হওয়ার জন্য প্রক্রিয়াধীন হতে লাগলো। চতুর্দিকে শুধু আগুনের স্ফুলিঙ্গ। রাজ্যকন্যা সেই স্ফুলিঙ্গ দেখতে দেখতে আমাকে অনেক বাহ্‌বা দেন। এত অল্প বয়সে! এত ¯^í সময়ে!! এত বড় আন্দোলন উপহার!! সবাই আমার উপর ভীষণ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠলো। লেখক লীগরা আমাকে নিয়ে কবিতা লিখলেন,
-“হে নাবীন, তুমি এগিয়ে যাও
তারুণ্যের জয়গানে যাই পাও
সাথে নিয়ে যাও। তারপর,
কেন্দ্রীয় অফিসে কিছু পাঠিয়ে দিও,
সরকারী কোষাগার যখন হাতছাড়া হল
চাঁদার টাকাগুলো বেশী করে নিও। ”
আমেরিকা থেকে “বাংলাদেশী রিসার্চ এন্ড গবেষনা ইনস্টিটিউটের” প্রধান আমাকে ফোন করলেন; তিনি বলেন,
-হে তরুনের নেতা তুমি কেমন আছ? এখন দেখছি তোমাদের জয়গানে সমগ্র দেশটাই উত্তাল হয়ে গেছে।
আমি বলি,
-জ্বী স্যার তাতো সত্য বটে; তবে কৃতিত্ব যা, তা সব আপনার আম্মাজানের। থ্‌ ভাবী সাহেবা কেমন আছেন?
তিনি বলেন,
-তোমার ভাবী সাহেবা অনেক ভালো আছে।
আমি বলি,
- ভাবী সাহেবার বান্ধবীরা কেমন আছেন?
তিনি বলেন,
-ওরাও অনেক ভালো আছে। তবে শুন আমার দিন কাল বেশ ভালো যাচ্ছে না রে।
আমি বলি,
-কেন স্যার?
তিনি বলেন,
- এত দিন রিসার্চ করেছিলাম, গবেষণার কাজ এখন জানি কেমন কেমন অজানা লাগতেছে।
আমি বলি,
-চিন্তার কোন কারণ নেই স্যার। প্রথম প্রথম সব নতুন জিনিস এমনিতেই একটু কেমুন কেমুন লাগে। তবে স্যার আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন; আমরা সত্যি সত্যিই এদেশকে আবার রাজকীয় কায়দায় আপনার জন্য সজীব করে তুলবো; আপনি আর ওয়াজ দিতে হবে না, আমাদেরকে শুধু জয় জয় বলে আর্শিবাদ করুন।
আমাদের সাফল্যে হনুমানরাও বেজায় খুশি। সেই খুশির বহিঃপ্রকাশ হিসেবে হুমা গুরুর বাসায় এক বিশাল রাত্রী ভোজনের নিমন্ত্রণ পাওয়া গেল।
আমি প্রায় তিন হালি ছাত্রনেতাদের নিয়ে গুরুর বাসায় উপস্থিত হলাম। আমি এখন সকলের অহংকার। আমার অবস্থান অনেক উপরে চলে গেছে। ছাত্রনেতাদের গুরুর নিমন্ত্রেনের সংবাদ দিতেই ওরা আমার গর্বে উৎফুল্লিত হয়ে ¯^`‡c© গুরুর বাসায় পদার্পন করলো।

ভোজপর্ব শেষ।
গুরু আমাদেরকে একাত্তরের ঘাতক-দালাল-হানাদারদের নারী ধর্ষন, কিশোরী অপহরণ এবং পতিতালয়ে গমনের লোভনীয় কিচ্ছা-কাহিনী শোনাতে শুরু করলেন। আমি মহামান্য গুরুকে প্রশ্ন করলাম,
-গুরু আপনি কি একাত্তরের সময় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন?
গুরু উত্তর হাঁকলেন- “না”
গুরুকে নিয়ে আমার সন্দেহ ধানা বেধে উঠলো। যুদ্ধ করার বয়সে ¯^vaxbZvi পক্ষে অস্ত্র না ধরে এখন শুধু শুধু রাজাকারদের বিরূদ্ধে সাফাই গাচ্ছেন? ব্যাপারটা কি?? রাশিয়ায়ও তো ওরকম অনেক লেখক ছিলেন; কিন্তু তারা তো আবার ঊনার মতো অ-মুক্তিযোদ্ধা -ছিলেন না। আমি আবার প্রশ্ন ছুড়লাম,
-তবে গুরু আপনি কি ওসব হোতা-কর্তাদের সাথে ছিলেন?
তিনি ধমকালেন, এবং বলতে শুরু করলেন,
-চুপ কর বাইঞ্চত; কথা শেষ করার আগেই বেচইন হয়ে পড়তাছস্‌ ক্যা? সাহিত্য রচিতে গেলে কোন ঘটনার তারিখ, প্রমাণ, সত্যতা যাচাই করা নিষপ্রয়োজন এবং কোন কোন ক্ষেত্রে অসমাচীনও বটে। সাহিত্য মানে মৌলবাদ আর রাজাকারদের বিরূদ্ধে সাফাই গাওয়া। সাহিত্য কোন তরুনীর স্তন যুগল; যেখানে তোমরা আনন্দে হই হুল্লোড় করবে; সাহিত্য কোন ঊর্ব্বর্শীর উম্মুক্ত সৌন্দর্য্য; যেখানে তোমরা মধু সন্ধান করবে...........
গুরুর উপদেশবাণী শুনে ছাত্রনেতাদের বেগতিক অবস্থা। ওরা খুবই উত্তেজনা বোধ করেেছ। ছাত্রনেতারা বেশী উত্তেজিত হয়ে গেলে আবার তাদের উত্তেজনা প্রশমনে অনেক টাকা-পয়সা আর গোলমালের প্রয়োজন। আমি গুরুকে কানে কানে বললাম,
-গুরু আপনার বিষয় বদলান।
গুরু অনেক্ষণ ঝিম ধরে বসে রইলেন। অতপর বলতে শুরু করলেন,
-এদেশটারে আর ভাল্লাগে না। এদেশের নারী-পুরুষেরা এখনও সেকেলে পোষাক-আষাক গায়ে পড়ে; নারীরা যাচ্ছে তাই কাপড়ের অপচয় করে, উর্ব্বর্শীরা তাদের সৌন্দর্য্য বিকাশ করতে জানে না..........তোমাদের মধ্যে অহরহ প্রেম-ভালোবসার আদান-প্রদান নাই..........
আমরা সবাই গুরুর কথার প্রত্যেকটি (,) কমা’র পর হ্যা ইঙ্গিতবাচক মস্তক নির্দেশিকা দিতে লাগলাম। হঠাৎ গুরু তার ভাষাতত্ত্বের প্রচলিত পরিস্থিতিগত ব্যাকরণরীতির ব্যাত্যয় ঘটিয়ে আমাদেরকে প্রশ্ন ছুড়লেন,
-কোন পরিচিত উর্ব্বর্শীর সাথে দেখা হলে তোমাদের কি চুমু খাওয়ার অভ্যাস আছে?
সাবাই তাৎক্ষণিক না বাচক মস্তক নির্দেশিকার অযথার্থ প্রয়োগ ঘটালো। আমি বললাম,
-গুরু বঙ্গদেশে এই Pz¤^bixwZ এখনও তেমন পরিপক্কতা অর্জন করেনি। তবে ¯^‡`‡ki কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এর ব্যাপক ঢালাও করণ শুরু হওয়ার জন্য UBUz¤^yi UBUz¤^yi অবস্থা বিরাজ করছে।
গুরু বেশ রেগে গেলেন; বললেন,
-তাইলে তোমরা এত যাবত কাল এদেশে কি করিতে আছ? লোক প্রকাশ্যে চুমু খেলে কি আাকশ ভেঙ্গে পড়ে? অহরহ মেলামেশা করলে কি জমিন ফেটে যায়??
একজন ছাত্র হাত উচু করে বলল,
-স্যার এই অধ্যায়গুলো তো আমারা বিগত অনেক ঋষি-মুনি, স্যার-ম্যাডামদের কাছে পড়ে শেষ করেছি?
গুরু বললেন,
-তাতো বুঝলাম। কিন্তু তোমাদের কার্যক্রম তো এখনও তেমন ব্যাপকতা লাভ করেনি। যাও আরো ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর হয়ে উঠো। মনে রেখ “অস্ত্র নং চর্চা নং তপঃ”- চর্চাই অস্ত্রের প্রধান কাজ।
আমরা সবাই গুরু বাড়ীর দরজা দিয়ে এক এক করে বের হচ্ছি। হঠাৎ করে চোখে পড়ল এক সুন্দরী ললনা রিক্সা থেকে নেমে বাড়ীর ভিতরে পদার্পণ করছে। আমাদের এক ছাত্রনেতা ওকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেল। আমি তাকে প্রশ্ন করলাম,
-এই ছোকড়া ও তোমার কি হয়?
সে বলল, “ও নাকি তার সহপাঠী হয়।” তারপর অপর একজন ছাত্রনেতা ওকে জড়িয়ে ধরে ইংলিশ স্টাইলে চুমু খেল। আমি তাকে অনূরূপ প্রশ্ন করলে, সে বলল-“ও নাকি তার বন্ধুর সহপাঠী হয়।” তারপর আরেকজন ছাত্র এগিয়ে এসে মেয়েটির থুতু খেল। তাকেও আমি অনূরূপ প্রশ্ন করলে, তদানূরূপ উত্তর পাওয়া গেল। এভাবে যখন সবার পালা শেষ তখন আমার পৌরুষ্য যন্ত্র অনেক উত্তপ্ত ও উত্তেজিত হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এরকম নাকে, মুখে, ঠোটে, চোখে জলে জলে ছেয়ে যাওয়া একটি মেয়েকে চুমু খেয়ে আমার উত্তেজনা প্রশমন মানায় না। আমি নেতা, আমার চাই সব সময় নতুন নতুন। আমি মেয়েটির ছোট বোনটাকে ডেকে নিয়ে কয়েকটা চুমু উপহার দিলাম। কারণ দানেই তো সু-পুরুষের মহাত্ত্ব। আমার চুমু দেয়া শেষ হতেই দু’ মেয়ের চেঁচামেচিতে পিছনে চোখ ফিরিয়ে লক্ষ্য করলাম; গুরু তার বড় মেয়েটির কালো লিকলিকে জুতাদ্বয় নিয়ে ছাত্রনেতাদের বেদড়ক প্রহার শুরু করেছেন। আমি ঠায় দাড়িয়ে আছি; কারণ আমি তো এমন কোন অপরাধ করি নি যে, আকাশের তারকারা খসে পড়বে; সমুদ্র পানি শুণ্য হয়ে যাবে; অবশেষে গুরু মহোদয়ের হাতে জুতার আবির্ভাব ঘটবে!!??
দুই জোড়া ডিস্ক জুতার ধ্বংস সাধন শেষে গুরু তার চম্পলদ্বয় হাতে নিয়ে আমার দিকে ধেয়ে আসলেন। আর নরকের অভিসপ্ত কন্ঠে জপতে লাগলেন,
-বাইঞ্চত কোথাকার, কত বড় সাহস তোর, লম্পটদের নিয়ে তুই আমার ঘরে টুকেছিস? তুই আর কবে মানুষ হবি? আমারে বেচইন করিছিস............আজ তোরে......
আমি ঊনার কথাটা ভালো করে বুঝতে পারলাম না। আমরা সবাই তো বামপন্থী; তাছাড়া আমার মানুষ হওয়ার এমন কিইবা প্রয়োজন আছে? আমি মানুষ হতে যাবো কেন? মানুষ তো হবে তারা যারা গরু অথবা মাথায় ঢাক ওয়ালা অদ্ভুদ ছাগল। মানুষ শব্দের অর্থ যদি মানুষত্যই হয়ে থাকে তবে তো সকল বামপনী্থদেরকেই মানুষ হতে হবে। এখানে ঊনি বাইঞ্চত কিংবা লম্পট শব্দ দ্বারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভেদা-ভেদ সৃষ্টি করছেন কেন?
আমি বেশ খানিকটা দৌড়ানোর পর অবশেষে চৌ-রাস্তার মুড়ে বাহু বন্ধনে আবদ্ধ কতগুলো মুর্তির পিছনে আশ্রয় নিলাম। অতপর গুরু আমাকে পিঠানোর অবৈধ উদ্দেশ্য পূর্ণ করতে না পেরে বিফল মনোরথে বাড়ী ফিরলেন। মুর্তিগুলোকে অসংখ্যা ধন্যবাদ এবং ধন্যবাদ জানাই তাদেরকেও যারা এই মুর্তিগুলো তৈরীর পিছনে অনেক কষ্ট বিসর্জন দিয়েছিল। প্রতিকৃতিগুলো এভাবে ঠায় দাড়িয়ে না থাকলে এই তীব্র বিপদে আমি আজ কার পিছনে লুকিয়ে থাকতাম; কিভাবেইবা গুরুর ভয়াবহ নির্যাতন থেকে আমার প্রাণ রক্ষা হত? মৌলবাদীরা কখনই এই ¯—¯^¸‡jvi মূল্যায়ন দিতে শিখবে না, কারণ সংস্কৃতির আমদানী-রপ্তানীতে এরকম লুকোচুরির ব্যাপারটা তাদের গিলুহীন মগজে কখনই প্রবেশবেধ্য হবার কথা নয়। আমি রাজ্যকন্যার কয়েকজন সহযোগীকে ফোন করি। তারা এদেশের সূর্যমুখ। সূর্যমুখীদের আমার কক্ষনই ভালো লাগে না। তাদের নাম শুনলেই আমার বেশী বেশী ঘেন্না লাগে। কারণ এরকম ব্যাক্তিদের ফোনে পাওয়া খুবই মুশকিল। আমি রাজ্যকন্যার সেক্রেটারীদের কল করার মনস্থ করি; কিন্তু বিষয়টা এতই গুরুত্বপূর্ণ যে, সেটা ওই নগণ্য সেক্রেটারী মহোদয়দের কাছে বলার মতো নয়। তাই আমি রাজ্যকন্যার কাছে ফোন করি। রাজ্যকন্যা আমার কল ধরলেন। আমি জানি, তিনি আমার কল ধরবেন। বিজয়মাল্য গলায় থাকলে কর্তা ব্যাক্তিবর্গ এমনিতেই তাদের কর্মীদের ভলোবাসে। আমি বলি,
- স্যার, আমি তো অনেকবার জয়ী হতে পেরেছি।.......স্যার এখনও কি আপনার কাছে কোন কিছু চাইতে পারি না?
ঊনি বললেন,
-কি কইবার চাইতাছো তাড়াতাড়ি কইয়্যা শেষ কর। এত প্যাচাল মারতাছো ক্যা?
আমার ভয় জাগলো ; আমি উৎকন্ঠিত হৃদয়ে প্রশ্ন ছুড়লাম,
- স্যার আপনি কি ম্যাডাম না?
ঊনি বললেন,
- আরে বোকা তোর সাথে একটু অভিনয় করলাম। জানিস না অভিনয় আমার কত ভালো লাগে।
আমি কাদোঁ কাদোঁ ¯^‡i বলি,
-স্যার এইবার যদি আমরা ক্ষমতায় যেতে পারি তবে, আমার একটা কথা স্যার।
ঊনি বলেন,
-বল কি কথা?
আমি বলি,
-স্যার ক্ষমতায় গেলে একটা মূর্তি মন্ত্রনালয় তৈরী করে আমারে এর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েন।
ঊনি বলেন,
- আরে এটা আবার কেমন মন্ত্রনালয়?
আমি বলি,
-স্যার এদেশের রাস্তা-ঘাটে ধীরে ধীরে কত ধরনের মূর্তি শোভা পাইতেছে; মানুষ, গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ আরো কত কিছুর মূর্তি!!! স্যার আমি সবগুলানরে নিয়া একটা মন্ত্রনালয় খুলমো। এদেশে আরো অনেক জায়গা খালি পড়ে আছে; আমি বাংলার ঘরে ঘরে, চৌরাস্তার মোড়ে মোড়ে হাজার হাজার মুর্তি বসিয়ে দিমু।
ঊনি আমাকে ধমক দিয়ে বললেন,
-চুপ কর গাধা। হাজার হজার মুর্তি বানানো কি এত সোজা, একটা মুর্তি তৈরীতে খরচ প্রায় কোটির উপরও ছাড়িয়ে যাইতে পারে।
আমি বলি,
-স্যার এটা কোন ব্যাপার হইলো। নারী ও শিশু মন্ত্রনালয়ের নারী ও পথশিশুদের জন্য নামেমাত্র যে টাকাটা বরাদ্দ রাখা হয়, মূর্তি মন্ত্রনালয়ের নামে সেই টাকাটা ব্যায় করার বন্দোবস্ত করে দিয়েন।
ঊনি বলেন,
-ওমা! একি সর্বনাশে কথা?
আমি বলি,
- জ্বিনা স্যার এইডা কোন সর্বনাশে কথা না স্যার; আপনারাই বরং নারী ও শিশুদের জন্য কতিপয় ছোট ছোট অংক বরাদ্দ রেখে নিজস্ব ভাগ্যের বিরাট অধঃপতন ডেকে আনবেন। দেশের অলিতে গলিতে যদি অসহায় নারী এবং শিশুদের আর্ত চিৎকার আর ছায়াছবি ক্ষণে ক্ষণে শোভা না পেলো তবে কেনই বা আই.এম.এফ কিংবা বিশ্ব ব্যাংক আমাদেরকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে? তাছাড়া স্যার মূর্তি প্রতিষ্ঠার আরো অনেক লোভনীয় দিক আছে। যেথায় যেথায় মূর্তির শোভ আকৃতি শোভা পাবে সেথায় সেথায় সকল বামপন্থীদের জন্য অ-ঘোষিত সমাবেশ খানা প্রতিষ্ঠত হবে; মূর্তির আশে পাশে লুকোচুরি খেলে প্রতিপক্ষকে হামলা করার একটি বিরাট মওকা পাওয়া যাবে। পথশিশুরা তো একদিন অসুখে-বিসুখে মারাও যেতে পারে, তখন তো ¯^qswµqfv‡e ওদের মুখ দিয়ে আমাদের গুণগান গাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু একটি মূর্তি আ-মৃত্যু আমাদের সবুজ মায়ের বুকে ¯^‡`‡c© দাড়িয়ে থেকে শুধু জানান দিতে থাকবে- আমি আছি, আমি আছি, আমি আছি এবং আমি......
আমার কথার অসমাপ্ত প্রান্তেই গুরুর হাতে নির্যাতিত ছাত্রনেতারা আমাকে অনেক্ষণ পেয়ে খুজে পেয়ে হাউ মাউ করে কেঁদে উঠতে লাগলো। আর আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো,
-স্যার আপনি আছেন স্যার, আপনি এখনও বাইচ্যা আছেন স্যার!!?
আমি তাড়াতাড়ি মোবইলের লাইনটা কেটে দিয়ে বললাম,
-কি বলছ? কি হয়েছে তোমাদের?
ওরা বলল,
-স্যার আমরা ভাবছিলাম আপনার গুরু আপনারে খুন কইর‌্যা ফালাইছে.....কারণ গুরু আপনার দিকে বিশাল j¤^v একটা ছুরি নিয়ে ধেয়ে আসছিল।
ওরা আবার হুঁ হুঁ করে কাঁদতে কাঁদতে আমাকে জড়িয়ে ধরল। আমার কিছুটা অবাক লাগলো। যারা রাজনীতি করে তাদের মায়াকান্না আমার কাছে কখনই বোধগম্য হয় না।
আমি বললাম,
-ঊনি আমার গুরু হন, কিন্তু তোমাদের তো স্যার। আমি যখন পাঠশালায় পড়ি তখন আমাদেরও অনেক স্যার ছিলেন, তাদের মাঝে আমাদের স্কুলের সবচাইতে বদরাগী স্যার ছিলেন প্লাস্টিকের গোল কালো চশমা ওয়ালা গণিত স্যার। কিন্তু তোমাদের ওই স্যারের মতো জঙ্গি জঙ্গি ভাব সম্পন্ন কোন স্যারই আজ অবধি আমার চোখে পড়েনি। ওরা একজন একজন করে বলতে শুরু করল,
-স্যার আমরা আপনার গুরুরে কাইলই খুন কইর‌্যা ফালামু । জানেন স্যার এই এলাকার ভিতর আমি এই পর্যন্ত একশটা মাইয়্যারে ধর্ষন করিছি। এর পরও কেউ কিছু কইতে সাহস করবার পারে নাই।
তারপর আরেক জন বলতে শুরু করলো,
- স্যার এই পর্যন্ত আমি পঞ্চাশ জনের সাথে ছহবত করিছি...........
আরেক জন বলল,
- স্যার আমি সত্তুরটারে.......................
এভাবে প্রত্যেকে একেকটা সংখ্যার কথা ঘোষনা করল; আর বলল গুরুই নাকি তাদেরকে এসব কাজে উৎসাহ জুগিয়েছিলেন। অতপর ওরা আবার হুঁ হুঁ করে কাঁদতে কাঁদতে আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ল। আমি একটু ভয় পেলাম। আমি বললাম,
-এই ছেলেরা তোমরা কি কামোদ্দীপ্ত........
তারা বলল,
-জ্বী না স্যার; শেষ পর্যন্ত আপনার গুরু কেন আমাগরে একটা চুমুর দোষে এত পিঠান পিডাইলো.........আমরা আর আপনার গুরুরে ছাড়ছিনে, কাল হয়ত ঊনার একদিন নয়ত আমাগো একদিন।

আমি এতদিন মূলত একটা গরুকেই গুরু বলে m‡¤^vab করেছিলাম। একজন ¯^í বয়সী ব্যাক্তি যখন কোন প্রাপ্ত বয়স্কের বেশ ধরে তখন তার বিপদ হয় পদে পদে। কারণ একজন প্রাপ্ত বয়স্কের আচরণগত অভিজ্ঞতা তার কাছে সঞ্জিত থাকে না। কিন্তু যখনই কোন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যাক্তি কোন ¯^í বয়সী বয়স্ক ব্যাক্তির ভান করে তার ধরা পড়ারার সম্ভাবনা অকেটাই উবে যায়। কারণ একজন অল্প বয়স্কের আচরণগত অভিজ্ঞতা তার কাছে আলবত সংরক্ষিত আছে। গুরু অনেক জ্ঞানী লোক ছিলেন বঢে, কিন্তু বেচারা তার সারা জীবনটাই মূর্খের বেশ ধরে কাটিয়ে দিলো। মহা মূর্খ গরুটাকে আজ চির বিদায়। কোন মানুষের পক্ষেই একটি গরুকে দেবতা তুল্য করে এর আশে-পাশে ঘুর ঘুর করা মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
গরুর সাথে দৌড়া-দৌড়ি করাতে আমার জুতার চিকচিকে চেহারাটা একদম ফিকে হয়ে গেল। জুতার চেহারায় কি পড়ল আর না পড়ল তা নিয়ে মাথা ঘামানোর অভ্যাস আমার কোন দিনই ছিল না। কিন্তু সুধী মহলে এই জুতার একটি বিশেষ গুরুত্ব এবং মহাত্ত্ব আছে। কারণ এই জুতাদ্বয়ের আমদানী সু-দূর মধ্য আমেরিকা থেকে। ‘আমেরিকান বাংলাদেশী রিসার্চ কমিটি’র পক্ষ থেকে আমার জন্য সামান্য উপহার হিসেবে। বাংলাদেশী জুতার গায়ে হাজারো চুন কালী পড়ুক তাতে আমার কিছু যায় আসে না, তবে এটা আমেরিকান জুতা বলে কথা।
একটু দূরে কারেন্টের পিলারের নীচে একজন মুচি খুব মনোযোগ দিয়ে জুতা পালিশ করছে। লোডশোডিংয়ের রাতে বিষয়টা আমার অস্পষ্টত বোধগম্য হল। আমি খুব কাছে গেলাম- একটি নাদুস-নুদুস লাল গাড়িতে হেলান দিয়ে একজন লোক সিগারেটের ধোঁয়া উড়াচ্ছে। অতপর জুতা পালিশ শেষ হলে গাড়ির ড্রাইভারটা মুছির হাতে পঞ্চাশ টাকা ধরিয়ে দিয়ে জুতা দু’খানা তার স্যারের পায়ের নীচে টেকিয়ে দিল। ছোট লোকদের ছোট ছোট কাজের বিনিময়ে বড় বড় টাকা নেওয়া এদেশের জন্য একদম বেমানান। তাই আমি মুছিটার কান ধরে বললাম,
-এই শালার বেটা দশটাকার জায়গায় পঞ্চাশ টাকা নিলি কেন?
ড্রাইভারটা ঘাড় ফিরিয়ে বলল,
-এইডা স্যারের জুতা। তিন হাজার সাত’শত নিরান্নব্বই টাকা দিয়া খরিদ করিছে; হিল্লাগ্যা হ্যারে পঞ্চাশ টাকা দিছে।
বিষয়টা খুবই দুঃখজনক। বেচারা মাত্রতিন হাজার সাত’শ এবং আরো কতিপয় যৎসমান্য টাকা দিয়ে জুতা কিনেছে বলে বুট পালিশ করাতে যদি পঞ্চাশ টাকা ব্যায় করে তাহলে আমি কিনা বিশ হাজার টাকা মূল্যের জুতাদ্বয়কে মাত্র দশটাকা দিয়ে রং করানোর চিন্তা-ভাবনা করে জুতা জোড়ার কিইনা অপমান করে বসলাম। আমি তাই তাৎক্ষনিক মুচিটাকে জুতা জোড়া খুলে দিয়ে বললাম,
-ভাইয়্যা আমার জুতা দুইখানা একটু ভালো করে পালিশ করে দিও। এগুলো আমেরিকা থেকে এসেছে। একেবারে উপর-নিচ সবখানে ভালো করে ক্রিম মাখিয়ে দিবা। তোমাকে এর জন্য তিন শত টাকা মজুরি দিচ্ছি।
মুছিটা খুব খুশি হয়ে অনেক ভাব-সাব নিয়ে নিদারুণ সতর্কতার সাথে আপন কার্য সম্পাদন করে চলছে। আমার মাথায় আরেকটি চিন্তা খেলা করতে থাকলো ওই ড্রাইভারটাকে জিজ্ঞেস করলাম,
-এই তোমার স্যারের এই গাড়ীটার মূল্য কি তোমার জানা আছে?
আমার কথার উত্তর না দিয়ে বেয়াদব ড্রাইভারটা নিজের মাথাটাকে অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিল। তাই আমি অনন্যুপায় হয়ে গাড়িটার গায়ে হাত বুলিয়ে বুঝতে চেষ্টা করলাম গাড়িটার মান কি রকমের হতে পারে।
“নাহ্‌ গাড়িটার মান বেশী ভালো না; জোড় করে চাপ দিলে বডিটা ধেবে যায়। প্লাস্টিক প্লাস্টিক মনে হচ্ছে।”
হঠাৎ করে জানালার ফাঁক দিয়ে মাথা গলিয়ে ড্রাইভারের স্যারটা আমাকে ধমক দিয়ে বলল,
-ওই মিয়া ঘাড়িতে হাত দিচ কেল্লাইগ্যা, দশ লাক টাকা দিয়া গাড়ি কিনছি হাত দিলে একশ টাকা জরিমানা পড়ব, বুঝলা।
তারপর ওই পুচকা ড্রাইভারটাও কেমন যেন একটু তাল মিলানোর ভাব নিয়ে বলল,
-স্যার হেই মনে হয় পেপসি-কোকা কিছু খাইছে মনে হইতাচে।
আমি নির্বাক হয়ে দাড়িয়ে থাকলাম; আর গাড়িটা সাই করে চলে গেল। আসলে দুঃখিত মনে দুঃখরা সব বেশী বেশী আঘাত দিতে জানে। আজ আমি দুঃখ শোকে খুবই ভারাক্রান্ত। নইলে ওই গাড়িটাকে এর ভিতরের জন্তুগুলো সহ ধ্বংস করে দেতে পারতাম। তবে গাড়িটার b¤^i টুকে রেখেছি; নির্বাচনের আগ মূহুর্তে অথবা পর মূহুর্তে ওগরে জন্মের মত শিক্ষা দেওয়া যাবে। নির্বাচনের সময় হানাহানি খেলার একটি বিশাল মওকা পাওয়া যায়। সব কাজ সু-সময়ে সম্পন্ন না করলে রাজনীতির রাজতান্ত্রিক খেলায় অনেক পিছয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশী। সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সর্বসম্মতিক্রমে পাশকৃত বাংলাদেশ সংবিধানের কিছু লুক্কায়িত ধারা-উপধারা আমার হুবহু মুখস্ত আছে। তার মধ্যে একটি হল,
“এই ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের যেসকল নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী পরিমন্ডলের ভিতর (হউক তা নির্বাচনের আগে অথবা পরে) সক্রীয়ভাবে ¯^-¯^ দলের সকল কর্মকান্ডে উপস্থিত থাকবে, তাহাদের সমস্ত অপরাধ ক্ষমা ঘোষনা করা হইলো। তবে শর্ত থাকিল যে, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে শুধুমাত্র বিজয়ী দল এককভাবে এই সুযোগ সুবিধা ভোগ করার অধিকারী হইবে। তাহা ব্যাতীত নির্বাচন পূর্ববর্তী সকল দলের অধিকার চর্চার রীতিটা আগের মতই বলবৎ থাকিলো।”
আমি আমার সকল নেতা কর্মীদের এই ধারাটি মুখস্ত করিয়েছি। সাথে সাথে একথাও বলে দিয়েছি যে, আমদের বিশাল শক্তির এক রহস্যময় উৎস রয়েছে। ঐ শক্তির বলে আমাদের কু-কীর্তিগুলো কতিপয় ভিন্নতার অনেক ছোট-বড় ল্যাট্রিনের পাইপ গলিয়ে মহাসাগরের বুকে হারিয়ে যায়। ঔ ল্যাট্রিনগুলোতে যদি একবার কোন কু-কীর্তি দাখিল হইতে পারে তবে মহাসাগর পর্যন্ত না পৌছার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত কোন কু-কীর্তি আর প্রকাশ হইতে পারে না। কারণ মহাসাগর অবধি ঔ ল্যাট্রিনগুলোর সংযোগ লাইনের মর্ধবর্তী গর্তগুলোতে যে সকল লৌহ-ঢাকনা বসানো আছে সেগুলো আজ অবধি আমাদের দখলে আছে। কোন পক্ষ যদি এগুলোর কোন ঢাকনা ভেঙ্গে ফেলতে আসে আমরা তাদের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিতে যথার্থই সচেষ্ট। ”
উপরোক্ত ল্যাট্রিন সংক্রান্ত কথা-কাহিনীটা আমার মনগড়া নয়। ছোটবেলায় নেত্রীর মুখে যে সব রূপকথার গল্প শুনেছি এটা তার অন্যতম একটি। রূপকথার ঔ ল্যাট্রিনগুলোর অনেক গল্প শুনলেও “ল্যাট্রিন” শব্দটার নিগুঢ় অর্থটা কি হতে পারে তা নিয়ে আমার বিশেষ কৈতুহল আছে। কারণ রাজ্যকন্যা বলেছিলেন “ঔ সকল ল্যাট্রিনগুলোই নাকি সকল বামপন্থী দলগুলোর আসল শক্তির উৎস।” যাকগে ওসব চিন্তা। এখন কাজের কথা হচ্ছে, লোকেরা যদি তিন হাজার এবং আরো যৎসামন্য টাকার জুতা পড়ে কার চড়ে ঘরে ফিরে, তাহলে আমার তো প্যারাডো অথবা মার্সিডিজ অথবা পাজারো চড়ে বাসায় যাওয়া উচিৎ। একান্তই যদি রিক্সা কিংবা সিএনজি চড়ে বাড়ী ফিরতে হয় তবে জুতাদ্বয়কে বগলের নিচে চেপে রাখা ছাড়া উপায়ন্তর নেই। কিন্তু এই দৃশ্যটা আমার জন্য খুবই বেমানান দেখাবে বিধায় তা এখন অসংগতিপূর্ণ বলে বিবেচিত হলো। সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে আমি রাস্তায় দাড়িয়ে প্যারাডো, মার্সিডিজ কিংবা পাজারো দেখলেই হাত নাড়তে থাকলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউ আমার ডাকে সাড়া দিল না। অগত্যা আমি যখন বিষন্ন মনে আবার হাটতে শুরু করি। হঠাৎ করে অনেকগুলো মেয়েলী জুতার আওয়াজ আমাকে পিছনে ফিরে তাকাতে বাধ্য করলো। পিছন দিকে চোখ ফিরাতেই আমি প্রায় হতচকিত হয়ে গেলাম। অনেকগুলো সুন্দরী ললনা আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে। এটা কি ¯^cœ? অতপর ওদের একজন আমাকে হাত নেড়ে কাছে আসতে বলল। আমি তাদের কাছে আসলাম। তারপর অন্য আরেকজন সুন্দরী আমার হাতে একটি লিফলেট ধরিয়ে দিয়ে বলতে শুরু করলো,
- ভাইয়্যা আমরা একটি জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলের সৌজন্যে “কল গার্ল আইকন-২০০৯” এর জন্য দশজন চুড়ান্ত প্রতিযোগী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। আর মাত্র দুই দিন এর পর শুরু হতে যাচ্ছে আমাদের ফাইনাল রাউন্ড। সেখান থেকে মোট তিনজন কল গার্লকে বাছাই করে প্রদান করা হবে “ কল গার্ল এওয়ার্ড- ২০০৯”। সুতরাং আর দেরী না করে আমাদের মধ্য থেকে যাকে আপনার পছন্দ হয় তার নামের প্রথম তিনটি অক্ষর লিখে তারপর স্পেস দিয়ে SMS করুন 3 XXXXX bv¤^v‡i| আর চোখ খোলা রাখুন; অনুষ্ঠানটি সরাসরি সমপ্রচারিত হবে চ্যানেল হাইফাই, রাত ৯ টা ত্রিশ মিনিট।
আমি বললাম,
-আপারা আমি তো কোন দিন এসএমএস করি নাই,করতে শিখিও নাই। তবে ছোট বেলায় যখন সরকার দলীয় পুলিশের হাতে বড় বড় মন্ত্রী-এমপিরা লাঠি-পেঠা খেয়ে আমাগো রাজ্যকন্যার বাড়ীতে আসতো আমি তাগোর বুকে, পিঠে, হাতে ম্যাসেজ করে দিতাম। দয়া করে এসএমএস কিভাবে করতে হয় সেটা যদি আমাকে একবার শিখিয়ে দিতেন তবে আমি আপনাগো সবাইরে পালাক্রমে হাজারটা এসএমএস করতাম। ললনারা সব আমার চতুর্দিকে জড়ো হয়ে আমাকে SMS করা শিখিয়ে দিল। আমারও খুব ভালো লাগলো। আসলে ছোয়াছুয়িতে অনেক আনন্দ হয়। আমার গরু বলতো “তোমরা ছোয়াছুয়ি খেল; এটা মানবের আদিম খেলা। আমিও অনেককে ছুয়ে দেখেছি; অনেকে আবার আমাকে ছুয়ে দেখেছে; তোমরাও অন্যকে ছুয়ে দেখ। ছোয়াছুয়িতে মূলত কোন দোষ নাই।” আমি ললনাদের বললাম,
-আমি তোমাদের সবাইকে এক হাজার এক হাজার করে দশ হাজার SMS করব। একটা তরুনী আমার কথায় বাধা দিয়ে বলল,
-জ্বী না ভাইয়্যা, এভাবে এসএমএস করে কোন লাভ হবে না। যাকে আপনার বেশী ভালো লাগে তাকে একটু বেশী করবেন এবং যাকে আপনার কম পছন্দ তাকে একটু কম করবেন।
আমি অনেক্ষণ কিছু চিন্তা-ভাবনা করে একটা ঊর্ব্বর্শীর বক্ষস্থলের দিকে আঙ্গুলী নির্দেশ করে বললাম,
-তোমাকেই আমার খুব পছন্দ। কারণ তোমার চেহারায় বালিকা বালিকা ছাপ, আসলে তুমি খুব নিষ্পাপ।
মেয়েটি বলল,
- ভাইয়্যা, আপনি ঠিকই ধরতে পেরেছেন। আসলে আপনি একজন খুবই বড় মাপের মানুষ।
মেয়েটির কথায় Cl©vwš^Z হয়ে অন্যান্য ললনারা একটু দূরে সরে গিয়ে হাসি-তামশা করতে লাগলো।
আমি বললাম,
-তুমিও ঠিক ধরতে পেরেছ। আসলেই আমি অনেক বড় দিলের মানুষ। ইচ্ছা করলে আমি তোমাদের দশ জনকেই আমার দিলে অথবা আমার দিলের কোণে আশ্রয় করে দিতে পারি।
মেয়েটি একটু কাচুমুচু হয়ে চোখ মুখ হেলিয়ে দুলিয়ে বলল,
-ভাইয়্যা, আপনি কি যে বলেন আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না।
আমি বুঝতে পারলাম মেয়েটি আমার কাবু হয়ে গেছে। আমি মেয়েটির কানে কানে বললাম,
- তোমাদের বাড়ি-ঘরে কি বড় বড় নির্মাতাদের আনাগোনা শুরু হয়ে গেছে?
মেয়েটি বলল,
-না, তবে চ্যানেল হাইফাই থেকে আমাদেরকে বলা হয়েছে যে,
“তোমদের ডিমান্ড আরেকটু বাড়ুক তারপর আমরা তোমদেরকে বাজারে ছাড়ার সমস্ত ব্যাবস্থা পাকাপোক্ত করতেছি।”
আমি বললাম,
-ও তাহলে আমি বুঝতে পেরেছি; তাহলে তোমরা কলগার্ল এওয়ার্ড পাওয়ার পরপরই বাজারে আসছো?
মেয়েটি আবারো চোখের পাতা বন্ধ করে মাথা ঝাকিয়ে ‘হ্যা’ বলল।
আমি বললাম,
-দাড়াও, আমাকে তোমাদের চুড়ান্ত বাছাইপর্ব অনুষ্ঠানে যাওয়ার একটা বন্দোবস্ত করে দাও। আর আমি তোমার এক b¤^i চ্যাম্পিয়নশীপ মুকুটটি পাওয়ার সকল ধরণের ব্যাবস্থা করে দিচ্ছি। আমি আমার নেতা-কর্মী সকলকেই বলে দিব তোমাকে যেন ওরা লক্ষ লক্ষ এসএমএস করে।
ললনাটি আমার কথায় তেমন খুশি হল না। আমি বললাম,
-তুমি হাসছো না কেন?
মেয়েটি বলল,
- ভাইয়্যা, যদি এসএমএসই সব কিছু হত তাহলে তো কোন চিন্তা ছিল না। বিচারকদের হাতেও তো কিছু পয়েন্ট থাকে।
আমি বললাম,
-কোন চিন্তার কারণ নাই। আমি বুদ্ধিজীবীদের ধারে-কাছের লোক; তোমাকে এমন একটা বুদ্ধি শিখিয়ে দিব, যাতে করে তুমিই হবে কলগার্ল আইকন প্রতিযোগীতার একমাত্র সর্বশ্রেষ্ট প্রতিযোগী। উর্ব্বর্শীটা অত্যন্ত খুশী মনে আমার ঠিকানাটা আর মোবাইল bv¤^viUv নিজের ডায়রীতে টুকে নিল।
আমি বললাম,
- দয়া করে তুমি আমাকে একটা অটোগ্রাফ দিতে পারবা?
মেয়েটি বলল,
- কিসে অটোগ্রাফ দেব?
আমি বললাম,
- তোমার ঠোটের লিপিস্টিক দিয়ে আমার ঠোটে একটা অটোগ্রাফ দাও।
মেয়েটি আমাকে একটি সংক্ষিপ্ত অটোগ্রাফ দিয়ে গাড়িতে উঠে গেল। সাথে সাথে অন্যান্যরা গাড়িতে উঠলো। আমি খুব দ্রুত গাড়িটার কাছে গিয়ে বললাম,
-আপারা মনে কিছু নিবেন না, একটি কথা বলব- আমি আগে কোন দিন গাড়ির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবগত ছিলাম না, ইতিমধ্যে অবগত হয়েছি। তাই গাড়ি বিহীন বাড়ী পৌছতে খুবই খারাপ লাগতেছে। আপনাদের গাড়ি দিয়ে আমাকে যদি একটু বাড়িখানা পর্যন্ত পৌছে দেওয়া যেত , আমি সারা দেশে আপনাদের প্রচার লিফলেট বিলি করার ব্যাবস্থা করে দিতাম।
মেয়েরা সব আমার কথায় পুলকিত হয়ে আমাকে তাদের গাড়িতে তুলার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ল। কিন্তু বাধ সাধলো ড্রাইভারটা এবং তার অফিসের এক কর্মচারীকে নিয়ে। ওরা বলে,
-এই যে ভাই গাড়ির সামনে কি লিখা আছে একটু পড়ে দেখেন।
আমি ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম বড় বড় অক্ষরে ‘প্রেস’ লিখা আছে। অতপর আমি ওদের পকেটে কয়েক বান্ডিল টাকা গুজিয়ে দিয়ে বললাম,
-প্রেস নামের একজনকেই আমি খুব ভালো করে চিনি; আর ঊনি হচ্ছেন মাননীয় প্রেস সচিব। গাড়ির নামও যে প্রেস হতে পারে এটা আমার চোখে এই প্রথমবার ধরা পড়ল।
ওই ড্রাইভার এবং কর্মচারীটা “হ্যাঁ....হ্যাঁ” ¯^‡i রব করে উঠলো।

আমি এখন “কল গার্ল আইকন-২০০৯” এর ফাইনাল রাউন্ডে দর্শকদের সারিতে আসন গ্রহনের জন্য রওয়ানা দিচ্ছি। নেত্রী আমাকে একটি বিদেশী কোম্পানীর কাছ থেকে মার্সিডিজ বেঞ্জের একটা লাল টকটকে পাজারো কিনে উপহার দিয়েছে। গাড়িটা খুব সুন্দর। গাড়ির ভিত
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×