জেকে বসিয়াছে আলসেমী,
ঘুমের বাতিকের লেখচিত্রের ক্রমশও উর্দ্ধমুখী
জং ধরিয়াছে তাই কলকব্জায়,
অবস্থা খুব ই বেগতিক..
নিচ দিয়ে শেকড় বাকড়ের অস্তিত্ব
দিতেছে জানান পরিস্থিতি খুব ই সাংঘাতিক
এবং বুঝিতেছি পরবর্তীতে গজাইবে ডালপালা স্বাভাবিক।
হুঁ...কি আর
হবে ভেবে চলিছে যেভাবে চলুক
না...অলস ভাবনায় দিলাম একটু রং এই ভেবে
একদিন হয়ত এভাবেই পরিণত হইব
মহীরূহ কোন বৃক্ষে,
আশাবাদী আমি যে প্রতিটি ক্ষণে।
এখন ভেবে না পাই কূল
কি হইবে সেইটা ফল নাকি ফুল।
নাকি হইবে
সুবিশাল বটবৃক্ষ
সুশীতল ছায়ায় যাহার আগলে রাখিব সবাইকে,
জিরিয়ে নেবে একটু পরিশ্রান্ত পথিক
ভুলিবে দুঃখ সব জাগতিক
সুরেলা খেয়ালে বাজাবে বাঁশি রাখাল
মোহনীয় সে সুর যাইবে পৌছিয়া সুদুর অস্তপারে
মিটাবে ক্লান্তির তিয়াস
এলিয়ে দিয়ে গা খানি আমার অধরে।
হয়তোবা হয়ে
সৌন্দর্যের প্রতীক ফুল
আপন সৌরভে সুবাসিত করিব মানবমন,
কাটার আঘাতে প্রেমহীন মানবীর
হৃদয়ে করিব রক্তক্ষরণ,
রচিত হইবে নিধূবন,
ভ্রমরের গুঞ্জনে শুনিব সর্বক্ষণ
মধুময় নিক্কণ,
আর আসে যদি কেউ ছিড়তে,হাসনাহেনার
কালনাগিনীর মত ফোস করে দিব এক ছোবল।
নাহয়
থাকিব হয়ে তরুণীর শখের বারান্দার টবে পরম
যত্নে সাজানো শোভাবর্ধনকারী পাতাবাহারি কিংবা রঙ্গন
ক্যামেলিয়া আর চন্দ্রমল্লিকার মত
মনোহারিনী।
আর যদি হই
ফল,মন্দ নয় খুব একটা
সুমিষ্ট ঘ্রাণে মৌ মৌ করিবে তপোবন
অস্থিরতায় ছোটুছুটি করিবে কাঠবিড়ালীটা যে খুব চতুড়
হয়ত চুইয়ে বাদুর ফেলে দিবে গোপনে
স্বাদে হইবে তবু সবাই মাতোয়ারা
তুলিবে তৃপ্তির ঢেকুর।
তাও যদি
না পারি হইতে কিছু
হতাশার নিবনা মুই পিছু
সুউচ্চ ইউক্যালিপ্টাস,বৈলাম হইয়া থাকিব নিশ্চুপ
সটান করিয়া বুক
কাপিঁব তিরতির থাকিবে উচু শির
সদা হাসোজ্জ্বল সে মুখ
থাকিবেনা অপরাধবোধ কোন পাছে
তালগাছ হইয়া একপায়ে দাড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে
যাব চলিয়া প্রকৃতির আরো কাছে।
কিন্তু
করিব হাহাকার হয়তবা হয়ে
উষর মরুর বুকে নিঃসঙ্গ ক্যাকটাস,,
তাও তবু নাহি হতে চাই
বিষাক্ত হেমলক কিংবা ইউপাস।