হেমন্তের এই মিহি সন্ধ্যায় ক্লিপটোম্যানিয়াক চাতুর্যতায় ভুলে যাওয়া একসময় স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। নব্য উপনিবেশবাদ তো সর্বত্রই ছড়িয়ে যাচ্ছে। আধুনিক যুগে তৃতীয় বিশ্বে তোমার-আমার চিন্তাগুলোর নির্ধারক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া। তাই তো তারাই নির্ধারণ করে তোমার-আমার উপযুক্ততা।
মদ ও মধ্যরাতের গল্প শুনে আমরা ভ্রু কুঞ্চিত করলেও মদের নহরেই হারিয়ে যাই। অই সিঁড়িটাকে ধরে রাখে বিত্ত ও বৈভব। কোন জানালা দিয়ে কতখানি শরতের আকাশ দেখা হয়েছে, শীতের কুয়াশামাখা বিকেলের ব্যালকনিতে কতটা রোদ জমেছে, বৃষ্টির গন্ধে কতটা নাগরিক হয়েছে আমাদের চারপাশ― তার যোগফল আঙুলের ভাঁজে গড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত।
প্রিয়তমা আমার, রেস্তোরাঁর ম্রিয়মান আলোর ভিড়ে তোমার সজল কালো চোখ দেখিনি আমি। যাদুবাস্তবতার সূক্ষ্ণ ডালপালায় তুমি আর আমি ঘড়ির কাঁটা ধরে ঝুলছি।বৈশ্বিক পুঁজিবাদ কৃষ্ণকলিদের চোখেও ভরে দিয়েছে গ্লুকোমার বীজ। নিরন্তর পাল্টে যাওয়া এই সময়। সীমাবদ্ধ বর্তমানে হয়তো তোমাকে উঁকি দিয়ে ডাকছে মধ্যরাতের অশ্বরা। কেবল বায়োস্কোপের চোঙ থেকে চোখ ফেরালেই সাদাকালো রঙেরা গাঢ় হয়ে ওঠে। ভীষণ গাঢ়...