somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোঃ আসিফ আমান আপন
আসসালামুয়ালাইকুম,ধন্যবাদ আমাকে ভিজিট করার জন্য। আমি বর্তমানে পড়াশোনা করছি নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনলজি, খুলনাতে। আমি একজন কোম্পিউটার সাইন্সের স্টুডেন্ট। অনেকদিন থেকে লেখার তগিদ থেকে লেখা শুরু করছি। জানি না লেখা কেমন লিখি, তবে লিখতে ভালো উপভোগ করি

ঈদে বাড়ি যেতেই হবে!

১১ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ছবি ইন্টারনেটঃ
গত কয়াক বছর ধরে আমরা দেখেছি ঢাকামুখি মানুষের চাপে ঢাকার নাজেহাল অবস্থা। তবে এ অবস্থা আরো তীব্র হয় ঈদের সময় যখন মানুষ দেশের বাড়ির উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ে। এ দায় কি সম্পূর্ণ মিস ম্যানেজমেন্টকে দেবেন নাকি আরো কিছু দায়ী এর পেছনে? খেয়াল করে দেখেছেন মানুষ ঢাকা ছেড়ে ঈদ করার জন্য কতোটা মরিয়া যে একটা ট্রেনের এক ইঞ্চিও ছাড় দিতে নারাজ। কেউ কেউ গরুর ট্রাকে গরুর সাথেই যাচ্ছেন বড়ি ঈদ করার লক্ষে। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে সদত্তর নেই কেন জীবন হাতে রেখে এভাবে বাড়ি যাওয়া চাই। আসলে আমাদের দেশের একটা বিরাট জনগোষ্ঠিই নিজেদের লক্ষ্য চাকরি করে ফেলার পর থেকে আমাদের দেশের অর্থনীতি অন্তত ১০ বছর পিছিয়ে গেছে। চাকরিমূখি জনগোষ্টির ভেতর ক্লাসিফিকেশন আমাদের কর্মক্ষম মানুষকে ঢাকামূখি এমনভাবে করেছে যে এদের সবাই কোন না কোন ভাবে ঢাকার উপর নির্ভরশীল। এটা এমন একটা ব্যাবস্থা সবার একটাই লক্ষে ছুটে চলা। দেশের সবথেকে ভালো চাকরী পেতে পড়াশোনা করতে ঢাকা যেতেই হবে।
এমন নয় যে শুধু আমাদের দেশে এমন তবে কি মারাত্মক জনগোষ্টির চাপ এই শহরকে সামলাতে হয় তা এই শহরই জানে। এক্ষেত্রে আরো আগে ডিসেন্ট্রিলাইজেশনের প্ল্যান যদি নেওয়া হতো হয়তো আজ কিছুটা ফল পাওয়া যেতো। এই শহরে যারা আসে কেউ কিন্তু শহরটাকে ভালোবেসে আসে না। ঢাকা শুধু মাত্র কিছু অপরচুনিটি প্লেস এছাড়া একে মানুষ অন্যকিছু মনে করে না। যদি করতো তাহলে এ শহরকে ছাড়তে কটা দিনের জন্য মানুষ মরিয়া হতো না। কোনভাবেই কতৃপক্ষ, পুলিশ আটকাতে পারেনি মানুষের চাপ। সেই এতো রেস্ট্রিকশন আইডি কার্ড ছাড়া ঢুকতে টিকেট দেওয়া হবে না, আর টিকেট ছাড়া যাত্রা করাই যাবে না। তার পরও লোকোমোটিভে এবং ছাদে বিনা টিকিটে যাত্রী নিয়েই ট্রেন গুলো ছেড়ে গেছে।

এক পরিবারকে দেখলাম বেঁচে ট্রেন থেকে নেমে কান্নাকাটি করছে। একজন নিজের আইডি কার্ড এর গল্প করছেন যদি মারা যান এই চাপে তাহলে যেন তাকে আইডি কার্ড দেখে শনাক্ত করা হয়। এ কেমন ঈদ আনন্দ যাত্রা?

জনসংখ্যা এদেশের জন্য একটা মারাত্মক চাপ। তুলনা করলেই এ দেশ সিঙ্গাপুর হবে না। বাংলাদেশের যদি কোন কিছু করার থাকে তাহলে তা যত দ্রুত সম্ভব ঢাকামূখি মানুষের চাপ কমানো। চাকরী করার মানুষিকতা কমিয়ে উৎপাদনমূখি জনগোষ্টি তৈরী করা দরকার ছিলো আমাদের মতো দেশের জন্য। তাহলে এরা হতো আমাদের সম্পদ। শিক্ষা শেষে আমাদের ফার্মিং এ যেতে সমস্যা কোথায়?
আমি জানি না যখন থেকে আমাদের দেশে চাষা বলা গালি কেন? আজ আমাদের দেশে যে চাষীর সন্তান চাষাবাদ বোঝে না এতে আমাদের কি শিক্ষকদের কপালে ভাজ পড়ার কথা ছিলো না? কটু কথা বলার সময় এই সমাজ আজও ভালো জায়গায় যেতে হবে না চাষ করে খাওয়া লাগবে বলে। অথচ এই সমাজকে আমরা ধরি দেশের অগ্রগতির প্রভাবক হিসাবে।

আরো কিছু কথা, যেমন কিছু করতে ঢাকা যেতে হবে আর মনের সাথে যুদ্ধ করে সেখানে থাকতে হবে এই মানুষিকতা আমাদের ভেতরে থাকায় আমরা কোনদিন ঢাকাকে ভালোবাসতে পারিনি, পারিনি এটাকে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে তেমনি ঢাকা ছাড়তে আমাদের কমার্শিয়াল সেক্টরগুলো এমন ভাবে বিষয়টাকে নিয়ে গেছে যা মানুষ আবেগ হিসাবে নিয়ে ফেলেছে। সাবকন্সিয়াশ প্রোসেস আমাদের দেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ড নিজেদের পজেটিভ ইম্প্রেশন ক্রিয়েশনে ব্যাবহার করে আসছে গ্লোবাল পলিসি ফর ব্র্যান্ডিং এর পার্ট হিসাবে। এখন এটা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যেখানে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা আর নিতে পারছে না। যা অন্যতম কারন যার ফলে এই অবস্থা প্রতিবছর দেখতে হচ্ছে।
আমার কাছে এসব আবেগ মূল্যহীন যার জন্য মানুষ প্রায় উন্মত্ত হয়ে উঠছে এবং অন্যের এবং নিজের জীবনের পরোয়া করছে না। বাড়ি মানুষ কেন যাবে না? কিন্তু আসলেই কি সবার ঢাকা থাকতেই হবে আর উৎসব পার্বনে এভাবেই যেতে হবে?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৮
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×