ধর্মঘট চলছে।মানুষ কাজে যেতে পারছে না।রোগী দেখতে যেতে পারছে না।জানাজায় যেতে পারছে না।স্কুল, কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারছে না।পরীক্ষা হচ্ছে না।
কারণ একজন খুনীর সাজা হয়েছে।এটা মানবে না দেশের সব থেকে স্বৈরমানসিকতার মানুষ গুলো।তাই মানুষের হাত পা বেঁধে রাখবে। যতক্ষণ খুনীকে ছাড়বে না।যতক্ষণ হাজার হাজার খুনের লাইসেন্স ফিরিয়ে দেবে না।
ওরা প্রতিযোগিতা করবে।অসুস্থ প্রতিযোগিতা।কার আগে কে যাবে এই প্রতিযোগিতা।এতে যদি কারো প্রাণ যায়,তাদের শাস্তি হবে না।কারণ তারা ড্রাইবার।তাদের যেন অলিখিত লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে যখন ইচ্ছা নিজেদের মতো ভাড়া বাড়িয়ে নেওয়ার।কৃত্রিম সংকট তৈরী করে চাহিদা বাড়ানোর।একটু এদিক ওদিক হলেই যাত্রীকে নেংটা করে ছাড়ার।
আমরাও খুব অদ্ভুত মানসিকতার।আমরা অনেক আগেই দাসত্ব যেন মেনে নিয়েছি।রাস্তায় একটা মানুষকে ধাক্ষা মেরে চলে গেছে বাস।নিহত হয়েছে মানুষটা।কিন্তু তাকে কেও হত্যা করেনি।এক্সিডেন্ট হয়েছে।
খায়েস মিটানোর জন্য অনিয়ন্ত্রিত গতিতে চালাচ্ছে তরী।সিএনজিকে ধাক্ষা মেরে, মেরে ফেললো ভার্সিটিতে নতুন ভর্তি হওয়া আমাদের শুভকে।নিহত হল বাবা মার একমাত্র ছেলে,তিন বোনের একমাত্র ভাই শুভ।কিন্তু তার হত্যাকারী নোবডি।
এভাবেই চলছে দৌরাত্ম্য। ড্রাইবের মানেই যেন হত্যার লাইসেন্স।সামন্য ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে যে লাইসেন্স নবায়ন করা যায়।
এই প্রথম দেখলাম কোন ঘাতক ড্রাইবারকে শাস্তি দিতে।হয়তো তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীরের মতো কেও বলে জমির ড্রাইবারের শাস্তি হয়েছে।।তবুও এটা প্রসংশনীয়।এই ধারা বজায় থাকুক।সবার জন্য।সমাজের নিচু স্তরের বলে যাদের অধিকার আমরা ছিনিয়ে নিই,তাদের জন্যও।যদি শাস্তি না হয়,খুনের লাইসেন্স নবায়ন হবে।
যারা ধর্মঘট করছে তাদের বুঝতে হবে এখানে একটা শ্রেণিকে শাস্তি দেওয়া হয়নি।একজন অপরাধীকে দেওয়া হয়েছে।একজন খুনীকে দেওয়া হয়েছে।তাদের খুনের পক্ষে অবস্থান নেওয়া যৌক্তিক হবে না।