ইমুর ইউনিতে একটা খুব ভদ্র লেবানিজ ছেলে আছে। সমস্যা হল, ওর মাথার চুলগুলো। কাঁধ ছাড়ানো চুলগুলো পিছনে ঝুটিতে ঝুলে থেকে বরাবরই মানুষকে ধোঁকা দেয়। এত মারাত্মক ট্যালেন্টেড ভদ্র ছেলে যে এ-ই, চেহারা দেখে মিলানো যায় না একদম। ককেসিয়ান মেয়ে কজমস ছেলেটার কথা শুনেছিল লোকমুখে। মুখোমুখি দেখে বিশ্বাস করতে পারল না, এ-ই সে! ওর হা করা মুখ থেকে বেরিয়ে আসল সেই বিখ্যাত প্রশ্ন... 'ইজ দ্যাট হিম? দ্যাট হাবিব লুকিং গাই'? হাবিব লুকিং বলার কারণ হল, লেবানিজরা কথায় কথায় সবাইকে হাবীব (বন্ধু) ডাকে। এখন লেবানীজ ফাঙ্কি কাউকে দেখলেই আমরা বলি 'হাবিব লুকিং'।
আমাদের হাবিব, মানে 'ভালবাসব' এর চেহারাও কিন্তু খানিকটা হাবিব লুকিং। ভদ্রলোক খুব খারাপ কাজ করে এক এক বার। পাগল করে ফেলে গানগুলো দিয়ে। কাল রাত থেকে অনবরত শুনছি 'স্বপ্নে তার সাথে হয় দেখা...'।
তাতে কিছু অাঁতলামি উগ্রে উঠল। পাঠক আর কিছু পড়তে চাইলে দয়া করে নিজ দায়িত্বে পড়বেন।
-----------------------------------------------------------------------
স্বপ্ন কথাটা কি সুন্দর! স্বপ্নের সূতো দিয়ে অবিরাম স্বপ্নজাল বুনে চলা।
অবিরাম।
স্বপ্ন দেখতে না পারা মানে যে মরে যাওয়া মেয়েটা বুঝতে পারত না যদি না ও স্বপ্নজালটার স্বয়ংক্রিয় পুড়ে যাওয়া না দেখত। আরব্য রজনীয় স্টাইলে ওর সামনেই সেটা ভূতুড়ে স্বয়ংক্রিয়তায় চলে গেল হাতের ফাঁক দিয়ে। পুড়ল নিজে, যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকা মেয়েটা অদৃশ্য, পোক্ত শিকলের বাঁধনে বাঁধা থেকে সব দেখছিল। সে কি অসহায়ত্ব!
সব শেষে চেষ্টা করেছিল মেয়েটা, ছাইগুলো মাটি চাপা দিতে। সে জন্য কত কিছু!
টেম্পোরাল লোবের অনুবীক্ষনিক ঘরগুলো যদি শান্তি দিতে জানত! অতটুকু ছোট ঘরগুলোই পাহাড়গুলো হাকিয়ে নিয়ে আসে বুকের ওপর। জলোচ্ছ্বাসকে নিমন্ত্রন জানিয়ে নিয়ে আসে বার বার। নির্ঘুম রক্তাক্ত চোখের পাতাগুলো এক হতে দেয় না বারো ঘন্টা, আঠারো ঘন্টা, চবি্বশ ঘন্টা এবং আরও বেশি। হাবুডুবু খেতে খেতে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আসে। নিঃশব্দ তীব্র অসহায় চিৎকারের সাক্ষী হয়ে থাকে শুধু রাতের আকাশ। টলমলে পায়ে মেয়েটা পারে নি পাহাড় ডিঙাতে, জলচ্ছ্বাসের তোড় সামলে। ও ছাড়া কেউ যে দেখতে পাচ্ছিল না স্বপ্নজালটা উষ্ণতা দেয়া বন্ধ করতেই শীতল মৃতু্য এভাবে ছুঁয়ে দিয়েছিল ওকে।
এতদিন হয়ে গেল!
এতদিন!
এতদিনে শ্যামল গ্রহটা সূর্যের চারিদিকে দু'পাক নেচে এসেছে। সোনালী রঙ নিয়ে [ইটালিক]ওরা[/ইটালিক] ফিরে এসেছে, আকাশ চুঁইয়ে পড়া সোনালী রোদের আদর। মাটি চাপা দিয়ে দেয়া ছাইগুলো কোন এক অদ্ভূত উপায়ে আবার মহীরুহ হয়ে উঠেছে।
এতদিনে হিসেব করে বেহিসাবী হওয়ার দিন এসেছে। অদক্ষ দু' জোড়া সাহসী (কিংবা বোকা) হাতে স্বপ্নজাল বুননে সময় (কিংবা অসময়) এসেছে আবারও।
কোমল মায়াবী আলোয় বড় ভাল লাগে সে সব!
[ইটালিক]স্বপ্নের চেয়েও মধুর...[/ইটালিক]

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

