1। বর্তমানে দেশের প্রেসিডেন্ট ইয়াজুদ্দীন আহমেদ বিগত বিএনপি তথা চারদলীয় সরকারের আমলে মনোনীত, সে হিসেবে তিনি বি এন পি সমর্থিত ব্যক্তি ধরে নিলে ভুল হবোর কথা নয়।
2। বিচারপতি সায়েম নাটক বি এন পির রচিত , অন্তত কমপক্ষে এটা তো মানতে ই হয় সায়েম অপরাগতা প্রকাশের পরই বেশ একটা হচপচ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব হিসেবে তত্তাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ অধিঃগ্রহণ করেছেন।
3। 10 জন উপদেষ্টা মন্ডলী সব প্রধান দলের মিলমিশে গড়া হয়েছে এবং তাদের কাজের স্পৃহা খুঁজে পাওয়া যায় কিন্তু গলিটা অন্ধ মনে হয় যখন দেখা যায় প্রধানের কাছে গিয়ে তাদেও সকল কর্ম নিষ্ফল হয়ে পড়ে যেন।
4। বর্তমান প্রধান সংকট সিইসি আজিজ সাহেব। উনি সরছেন ই না। বি এনপি পরোক্ষ ভাবে তার পক্ষে । বাকী কোন দল নয়। ওনাকে বি এন পি বসিয়ে ছিল সবার তা জানা। এছাড়াও বিএনপি সরকার প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে দলের লোক ঠালাও ভাবে বিছিয়ে রেখেছিল , এটাও সবার জানা। কত আর বদলানো যায়।
5। বি এন পি ও চার দলীয় জোট বাদে বাকী দল গুলো যাচ্ছে সুষ্ঠ নির্বাচন , নিরপেক্ষ ভোট আয়োজন এবং তার জন্যে তাদের দাবী সিইসি আজিজ চাচার অপসারণ
এই নিয়ে চলছে ...
এবার আমার ভবিষ্যত বাণী। ----
একপ্রকার
---------
সময় কিন্তু চলছেই । প্রসাশন কর্ম করছেই ..
ধরে নিলাম 14 দলের এবং অন্যান্যদের তুমুল আন্দোলনের তোপে একসময় প্রেসিডেন্টের প্ররোচনায় বা সইচ্ছায় সিইসি আজিজ এবং জাকারিয়া টিয়া আসন চ্যুত হলেন। প্রেসিডেন্ট এবং উপদেষ্টারা মিলে মিশে চোখ কান বুজে বুজে একটা নির্বাচনের আয়োজনও করে ফেললেন ( উল্লেখ থাকে যে আমাদের ব্যবস্থাপনায় 2 বছর লাগিয়ে ভোটার লিস্ট করলেও সেটা শুদ্ধতম হবেনা। তাই কোন এক পন্থা জনগনকে বুঝিয়ে ওটা করে ফেলতে পারবে দ্রুতই।)
নির্বাচন হলো...
যে বি এনপিও জামায়াত এত সুন্দর করে বিশেষ সূক্ষ্মতায় যে সব প্লান করে রেখেছে এবং জনগস দেখতে পারছে অনেকটা না বুঝেও তাতে মনে হচ্ছে আজিজ না থাকলেও তারা জয়ী হয়ে যেতে পারবে সে নির্বাচনে। এবং সবচেয়ে মজার যে ব্যপারটা ঘটবে তখন...আওয়ামী লীগ এবং সতীর্থ দল গুলো তখন আর চেঁচালেও কাজ হবেনা। সর্বশক্তি প্রয়োগ তারা করেছে আজিজ অপসারনে আর নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রহসন কে সত্য মনে করে মেনে নিতে।
আর বি এনপি ও জামায়াত নিজেদের মোঘল সম্রাজ্যের অধিপতি মনে করতে থাকবে তখন।
অন্য প্রকার
-----------
আওয়ামী লীগ ও বাকী আন্দোলনরত দলগুলোর আন্দোলনের দাবী এবং যৌক্তিকতা ধরে নিলাম একদম যথার্থ। আন্দোলন সফল হলো। জনগনের কষ্ট শেষ হলো হলো ...14 দল জিতল...
নব সরকার এসে কেবলই বলতে থাকবে ...বিগত সরকার সবক্ষেত্রে তছনছ করে দিয়ে গেছে..ঠিক করতে তো সময় লাগবেই। এর ই ফাঁকে নিজেরাও চুরি করতে ব্যস্ত হবে আর জনগণকে বারবার বিগত সরকারের লেগিং এর দোহাই দেবে। দিতেই থাকবে।
পাঁচ বছর শেষ হয়ে যাবে ...জনগণ যে বৃত্তে ঘুরে ঘুরে পায়ের রক্ত ঝরাতো তাই ঝরাতে থাকবে।
কিছু একটা এমন ঘটবেই ...
...এত রক্ত ঝরানো আর এত কষ্ট তবে কেন জনগণের?
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ৭:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



