জানি তোর যত আছে কুঠি ঠিকুজি
ঘরখান ভেঙে দিতে অজুহাতই পুঁজি।
সস্তার সংলাপ ভরা রাস্তা কত
আমি তবু সবখানে আমারই মতো।
দেখে যাই ক্লান্তিতে শান্তির উল্লাস
ভ্রান্তির বিভ্রমেই চিরায়ত বাস।
চমকাই মেকি কিছু ভালো কথা শুনে
বেঁচে থাকি আংগুলে ভালোবাসা গুণে।
যন্ত্রের সরগমে সা রে গা মা পা
মন্ত্রের ধোঁয়াধূপে একনাম জপা।
জং ধরা মানুষের নষ্ট ঠোঁটে
চুকে যাওয়া দিনগুলো গোলাপেই ফোঁটে?
আর সব ঠিকঠাক, ঠিক থাকে তো
আমি তবু এখানেও আমারই মতো।
দেখে যাই হাত ছেড়ে চলে যাওয়া দিন
শেষকালে বোঝা বই, তোর যত ঋণ।
সেইসব সংলাপ জল আনে চোখে
এইবারো তবু কেন খুঁজছিই তোকে?
মিলছেনা মিলেনি হিসেবের খাতা
কথা দিয়ে চলে যায় সব রূপকথা।
সভ্যের জনপদে সামাজিক মুখে
এতসব মিথ্যেরা আছে বেশ সুখে।
সত্যের ধ্রুপদী স্বর বাড়াবেই ক্ষত
আমি তবু থেকে যাই আমারই মতো।
দেখে যাই অনীহার নিরাবেগ প্রেম
"ইশ! ভেতরের কথাটা যদি জানতেম"!
তোর কাছে তোকে তাই ফিরিয়েই দিই
সময়ের বাঁকে বসে জিরিয়েই নিই।
প্রিয় তুমি, কত প্রিয়, প্রিয় সব ফিকে
পাল্লাটা ঝুকে পড়ে স্বার্থের দিকে।
মাপজোঁখ এসে যায় আসে ব্যবধান
ভাগ হয় কবিতা ভাগ হয় গান।
মেকি সব সুখ ছোঁয়া ঠোট জানতো
এই আমি সেই আমি আমারি মতো।
দেখে যাই ছায়াটি জলে ঢেউ তোলে
বেঁচে থাকি তোমাদের এই শোরগোলে
শেষবার শেষ বলে শেষ কিছু নেই
যে আগুন পুড়বে, সে পোড়াবেই।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭