শিরোনাম দেখে কেও আবার ভাববেন না চটি গল্প লিখতে বসছি । এইটা প্রথম আলো অনলাইনের একটি সংবাদ শিরোনাম। অবশ্য মাঝে মাঝে ভয়ংকর সব শিরোনাম আমরা পাই । এই যেমন কয়দিন আগে প্রথম আলোর'ই শিরোনাম বিএনপির দুদু বের হয়ে গেছে !! বিম্পি কি গরু নাকি বেড়া ? নাকি দুধের ট্যাংকি? যেখান থেকে দুধু বের হবে? আসল ব্যাপারটা হলো বিএনপির শামসুজ্জুমান দুদু কারাগার থেকে বের হয়েছে!! আমিও না হয় আমার ব্লগের শিরোনামে একটি চমৎকার দেখালাম !! এইবার আসল প্রসঙ্গে আসিঃ দিনে দিনে এমন অনৈতিক ঘটনার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে । মিডিয়ায় আর কয়টা নিউজ আসে? সমাজ ব্যাবস্থা যেমন আছে, এর চেয়ে বেশী কি আশা করা যায়? শুনেছি বহুদিন আগে টানবাজার থেকে পতিতা ঊচ্ছেদ হয়েছে, কিন্তু পুরো বাংলাদেশটাই টানবাজারে পরিনত হচ্ছে । দোষ খুজি অন্যের কিন্তু আমরা কি করি ? পুরুষরা কাপড় পড়ি গোপনাঙ্গের এক ইঞ্চি উপরে, খালি গায়ে হাফ প্যান্ট পরে ঘুরি। আর ওড়না যে বক্ষ ঢেকে রাখার জন্য তা বোধ হয় 4th জেনারেশন ভুলেই যাবে। ওড়না পড়া মেয়ের ছবি টিকিট কেটে আমরা জাদুঘরে দেখব। অথচ অশালীন পোশাক আপনার যৌন সুড়সুড়ি বাড়িয়ে দেয় । পরিবার, সমাজ, স্কুল-কলেজ,মিডিয়া, ইন্টারনেট কোথাও থেকে কি আমরা নৈতিক শিক্ষা পাচ্ছি? স্কুলে থাকে পরিমল স্যারেরা,ভার্সিটি শিক্ষকের মেসের আলমারি থেকে বের হয় বিবস্ত্র ছাত্রী (ইচ্ছাকৃত এই আলমারি বাস tongue emoticon ), প্রেমিকা গোপনে সম্পর্ক রাখে অনেকের সাথে(এর মাঝে ২-১ জনকে সে নিজেও চিনেনা কারন কথা হয় রাত জেগে ফিসফিস করে মোবাইলে ''দিস ইজ সুপার এফএনএফ'' tongue emoticon ) , বোন পালিয়ে গেছে পাশের বাড়ীর কুদ্দুইচ্চার সৌদির পারফিউমের গন্ধে মাতাল হয়ে, ঘরের কাজের মেয়েটি নিরাপদ নয় আপনার-ই আপন গৃহে !!বাবা করে পরকীয়া, শহরের ফ্ল্যাটবাড়ির বেলকনিতে লজ্জা শরম মাথায় উঠিয়ে মা'র প্যান্টি আর ছেলের আন্ডারওয়্যার ঝুলছে পাশাপাশি, বাংলাদেশের অনেক পরিবার আছে যেখানে ছেলে-মেয়ে দেখে তাদের মা অথবা বাবার অনৈতিক কার্যকলাপ(পরকীয়া,বেপর্দা,অশালীনতা)। তাহলে কিভাবে আমাদের মধ্যে মূল্যবোধ জাগবে যেখানে পরিবার হলো জীবনের প্রধান পাঠশালা !! আপনি আমি সুযোগ পেলেই এক বা একাধিক নারীর সাথে করি লীলা-খেলা !!!! মিডিয়া থেকে আমরা শিখি ধর্ষন কিভাবে করতে হয়, পর্নো ছবি স্মার্টফোনের স্ক্রিনে থাকে, ভায়াগ্রা হাতের নাগালে, ইমারজেন্সি পিল মানিব্যাগের পকেটে। এইগুলোর সুহজলভ্যতায় আমরা কিভাবে শালীন হবো? সমাজব্যাবস্থা আমাদের মনে এক একটি পর্নোস্টার তৈরী করছে, যে পর্নোস্টার মনের গহীনে খেলা করে, মাঝে মাঝে বের হয়। আর তখোনি লাগে গোলমাল। অথচ আমাদের মনে খেলা করার দরকার ছিল মা-বাবা,ছেলে-মেয়ে,পরিবার-সমাজ নিয়ে কল্যানকর কিছু।কিন্তু কি করি? তো আমাদের দেশে এসব অনৈতিকতা বাড়বে না, কি মঙ্গল গ্রহে বাড়বে ? কখনো দেখা যায় পুরুষ দেই মহিলাকে দোষ আর মহিলা দেয় পুরুষ কে , কিন্তু আসল কারন কেও খুজি না , সমাধানের পথ কিভাবে বের করবো? সমাধান? সমাধান বেচারা সেতো মঙ্গল গ্রহে কেদে কেটে একাকাকার!! কেও তাকে ডাকে না !!!!! আর এবার ধর্ষনের কথায় আসি আমি কখনো বিশ্বাস করি না একজন পুরুষ একজন মহিলাকে ধর্ষন করতে পারে যা করতে পারে তা হলো শ্লীলতাহানি । এমনকি ২ জন পুরুষের পক্ষেও একটি সক্ষম মহিলাকে ধর্ষন করা অসম্ভব। অবশ্য যদি মহিলা রক্তশূন্যতায় ভোগে ঐ ক্ষেত্রে ভিন্ন কথা। একাধিক পুরুষ ছাড়া ধর্ষন সম্ভব নয় । আমাদের সমাজে ধর্ষনের ঘটনাগুলোর মধ্যে ১০% হলো সত্য, এই ১০ শতাংশের মধ্যে শিশু ধর্ষন ইনক্লুড। বাকী ৯০ শতাংশ মিচুয়া1ল লিভ টু গেদার যেখানে পরিস্থিতির কারনে পরবর্তীতে তা প্রকাশ পায় অথবা ধর্ষনের ঘটনা হিসেবে আমারা গণ্য করি
Ayuub Khaan
twitter.com/KhaanOfficial
fb.com/AyuubOfficial
instagram/AyuubKhaan
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৪১