ফ্রান্সে জংগি হামলার প্রেক্ষাপটে এই লেখা।বোধ করি জংলী জংগিদের প্রানঘাতি কর্মকান্ড নিকৃষ্টতম ইহুদিদের থেকেও জঘন্য। কারন ইহুদিদের পিশাচসুলভ কর্মকান্ডে ইসলাম অথবা কোরআনের মর্যাদা হানি হয় না। কিন্তু মৌলবাদী দের কর্মকান্ডে বিশ্বসমাজে ইসলাম সম্পর্কে ভূল মেসেজ যাচ্ছে। কারন ইসলামের রেফারেন্স দিয়েই তারা তা করে। ইসলামে জিহাদের যেই ডেফিনেশন তার সাথে বর্তমান আইএস অথবা আল-কায়েদার জিহাদের কোন যোগসূত্র নেই। সহনশীলতা এবং মানবিক ধর্ম ইসলামে কখনোই নিরীহ মানুষ হত্যা করে জিহাদের কথা বলা হয়নি, তদপুরি ইসলামের নাম ভাংগিয়ে তারা নিরীহ মানুষ হত্যা করে পবিত্র ধর্ম ইসলামকে হেয় করছে এবং পুরো বিশ্বের মুসলিমদের অবর্ণনীয় হয়রানীর মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। বর্তমান সোসিও-ইকোনোমিক লাইফে মুসলিমদের এগোতে হবে স্ট্রাটেজিক্যালি। #Example1 সাবেক অটোমান সম্রাজ্য এবং মুসলিম খেলাফতের শেষ কেন্দ্র তুরস্কে খেলাফত বিলুপ্ত করে মুসলিমদের ধর্ম পালনের অধিকার প্রায় তুলে নিয়েছিল কামাল আতাতুর্ক, সেই তুরস্কের স্যেকুলার সরকার কে হঠিয়ে যেভাবে রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান ক্ষমতায় এসে ইসলামী ভাবধারা বাস্তবায়ন করতেছে ঠিক ঐ ভাবে।সুইসাইড বোম্ব ব্লাস্ট করে ক্ষমতা পাওয়া যায়না জিহাদ ও হয়না। #Example2 মুসলিম মালিকানাধীন কাতারের আল জাজিরা এখন বিশ্বের এক নম্বর নিউজ চ্যানেল। কৌশলে আমাদের জায়গা করে নিতে হবে বিশ্বের চালিকা শক্তি সমূহের মধ্যে।যেমনঃশক্তিশালী মিডিয়া, শক্তিশালী লবিং গ্রুপ, বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল অর্গেনাইজেশনে স্পেস তৈরী করতে হবে।#Example3 ইহুদীরা ছোট্ট একটি জাতি হওয়া সত্বেও তারা সুপার পাওয়ার আমেরিকাকে নিয়ন্ত্রন করে, কারন আমারিকার মিডিয়া, লবিং ফার্ম, বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান সব তাদের নিয়ন্ত্রনে, হেতু তারা রাজনীতিকদেরও নিয়ন্ত্রন করে! মুসলিমদের চরমপন্থা বাদ দিয়ে #স্ট্রাটেজিক্যালি এগোতে হবে। শুধু বোমাবাজির,শিরোচ্ছেদ এর নাম কি জিহাদ? আশা করি ভূল বোঝার আর অবকাশ নেই। আর একটি ব্যাপার হলো তালেবান-আল কায়েদা ও আইএস সৃষ্টিতে ইউরোপ-আমেরিকার অবদান এখন সুবিদিত।এই আইএস কে অস্ত্র দিয়ে রিষ্ট পুষ্ট করেছে আমারিকা-ইউরোপ। এখন ফ্রান্সে হামলার পর ১০ লক্ষাদিক মুসলিম শরণার্থীর আশ্রয় পাওয়া কঠিন হয়ে গেল। জার্মানির মতো উদার দেশও এখন ভেতর ও বাইরের মুসলিমদের আশ্রয় দেবার ব্যাপারে খ্রিস্টান মৌলবাদী দের তোপের মুখে পড়বে। কী করুণ পরিহাস! যে সিরীয়রা আইএসের ধ্বংসলীলা থেকে বাঁচতে ইউরোপে ছুটছিল, তাদেরই আবার আইএসপন্থী বলে দোষানো হচ্ছে। আইএসের সমর্থক হলে তো তাদের আর স্বদেশ ছেড়ে বিদেশে এসে করুণা ভিক্ষা করতে হতো না।ইতোমধ্যে ফরাসি শহর ক্যালাইসে একটি মুসলিম শরণার্থীশিবিরে আগুন দেওয়া হয়েছে।
**জংগিদের সাথে আমি হুজুর/ধার্মিক ব্যাক্তি/ সরলীকরণ করিনি।
Thankyou by
Ayuub Khaan
You can follow me at twitter.com/KhaanOfficial
on twitter
& also follow me at instagram.com/AyuubKhaan on instagram.