রাস্তায় কুকুরের মতো যখন মানুষ মানুষকে পেটাচ্ছিলো, জীবন্ত মানুষকে পেট্রল বোমায় যখন ঝলসে দেয়া হয়েছিলো, গুম খুনের বিভীষিকায় যখন দেশ রাহু গ্রাসের কবলে পড়েছিলো, তখনও এতো অন্ধকার দেখিনি।
ধর্ষনের মহোৎসবের কর্কশ ঘন্টাধ্বনি, ধর্ষকের বিভৎস শীৎকারে দেশ অাজ নিকষ কালো আঁধারে নিমজ্জিত। সকালের সূর্য্যোদয়ের মতো নৈমত্তিক বিষয় হয়ে উঠা এ মহামরি নিয়ে সরকারের কোনো পর্যায় থেকে উদ্বেগ এর বার্তা শোনা যায়না। প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক ভাষনেই বিএনপির বিষেদগার করেন, কিন্তু দেশ যে ধর্ষনের অভয়ারন্য হয়ে উঠেছে, তা নিয়ে নেই কোনো হুঁশিয়ারী। ধর্ষনের প্রতিবাদে মানুষ সোচ্চার হবে, সরব হবে সামাজিক মাধ্যম, মানুষ নেমে অাসবে রাস্তায়; তবেই প্রশাসনের চৈতন্যদোয় হবে, নেবে ব্যবস্থা; এ যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। কেন???
সাম্প্রতিক বনানীর ২ তরুনীর বেলায়ও এর ব্যতয় হয়নি। ঘটনার ৩৭ দিন পর ভীত সন্ত্রস্ত মেয়েগুলো মামলা করতে গেলে তাদের সাহায্য করার বদলে উল্টো ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কেন? কেন ধর্ষিতার সর্বোত্তম সাহায্যের জন্য আলাদা একটা ফোর্স থাকবেনা, যেরকম ৭১র হত্যা ধর্ষনের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল কাজ করছে। সব ধরনের ধর্ষনর বিচার তো একই মাপকাঠিতে হওয়া উচিত।
খবরের কাগজে ধর্ষনের খবর পড়তে পড়তে চোখের সামনে নিকষ কালো অন্ধকার নেমে আসে। ৩ বছরের শিশু থেকে ৬০ বছরের প্রৌড়া; ধর্ষকের চোখে যদি এক হতে পারে, তবে তাদের বিচারটাও একই হওয়া উচিত। প্রকাশ্যে ফায়ারিং স্কোয়াডে অথবা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু!!
অন্ধকার মুক্ত হোক সোনার বাংলা!!!