বিবিসি ওয়ার্ল্ড টেলিভিশন চ্যানেলে দেখলাম বাইবেল হাতে ঈশ্বরের নামে মার্কিন প্রেসিডেন্ট শপথ নিলেন। বাংলাদেশের তথাকথিত ধর্ম নিরপেক্ষবাদীরা সচারাচর যথেস্ট স্ববিরোধীতায় ভুগে থাকেন। তাঁদের মসজিদ ভালো লাগেনা; কিন্তু গির্জা অথবা মন্দিরের সৌন্দর্যে বিমোহিত হন। আজানের শব্দে বিরক্ত হন; কিন্তু উলুধবনিতে, শংখ ধবনিতে অথবা ওংকার ধ্বনিতে উদ্বেলিত হয়ে ওঠেন। বিছমিল্লাহ হির রাহমানির রহিম বলে বক্তৃতা শুরু করলে তাঁদের ভ্রু কুঞ্চিত হয় কিন্তু মঙ্গল প্রদীপ জ্বেলে অনুস্টহান শুরু করার রেওয়াজ এখনো পরম যত্নের সাথে ধরে রেখেছেন।
বাংলাদেশের সংবিধানে "দয়াময়", "পরম দয়ালু আল্লাহর নামে" বাক্যবলী তাদের পীড়া দেয়-তাইতো প্রথম বারের মত এবারই মন্ত্রীসভার সদস্যদের শপথ নেবার সময় বিছমিল্লাহ হির রাহমানির রাহীম বলা হয়নি। কিন্তু বারাক হুসেন ওবামা যখন পবিত্র বাইবেল হাতে ঈশ্বরের নামে শপথ গ্রহন করেন সেই দৃশ্ব্য তারাই টেলিভিশনে মুগ্ধ হয়ে দেখেন। এই গোস্টহী প্রকৃতপক্ষে ধর্মনিরপেক্ষতার আড়ালে ইসলাম বিরোধী শক্তি ছাড়া অন্য কিছু নয়। "ধর্ম নিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়ে"- যদি তাই হয়, তাহলে বিছমিল্লাহ নাবল্লেও অন্য কোন (যে ধর্মে মৌলবাদ নেই)ধর্মের নামেতো শপথ নেয়া যেতো! কারন সকল ধর্মেইতো শান্তির কথা বলা হয়েছে। বিছমিল্লাহ বলায় কোন ধর্মীয় বিশয় আছে বলে আমি মনে করিনা। আমার মনে হয় বিছমিল্লাহ, দয়াময়, সৃস্টিকর্তা শব্ধগুলো এখোন আমাদের সামাজিক কালচারে পরিনত হয়েছে।
এই অতি ধর্ম নিরপেক্ষাবাদীদের মনে করিয়ে দিয়ে চাই-পৃথিবীর এক মাত্র দেশ যেখানে সকল ধর্মাবলম্বীদের চারণ ভুমি এই বাংলাদেশ। এদেশেই মুসলমানদের জন্য ঈদের ছুটি, হিন্দুদের জন্য পুজ়ার ছুটি, খৃস্টান্দের জন্য বড় দিনের ছুটি এবং বৌদ্ধ ধর্মাবল্মবীদের জন্য বৌদ্ধ পুর্ণিমার উতসবের জন্য সরকারি ছুটি দেয়া হয়। কাজেই "অতি ধর্ম নিরেপেক্ষবাদী" এবং লেবাসধারী ভন্ড নিরপেক্ষবাদীদের থেকে সকল সহজ-সরল সাধারন মানুষদের সাবধান থাকা প্রয়োজন।
পরিশেষে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছে বিশ্ববাসীর প্রত্যাশা থাকবে-সাম্রাজ্যবাদী, বর্গী আমেরিকা-যাকে বিশ্ববাসী শুধুমাত্র ভয় করতে বাধ্য হচ্ছে, এবার ওবামার নেতৃত্বে বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষ আমারিকাকে শুধু সন্ত্রাসী রাস্ট্র হিসাবে ভয় নাপেয়ে তাঁদেরকে সম্মান করবে-সেই পর্যায়ে নিয়ে যাবেন।পবিত্র বাইবেলের পবিত্রতা অন্তরে ধারন করে পৃথিবীর মানব কল্যানে নিজেকে নিয়োযিত করবেন।
অপটপিকঃ (ক)ঈদানীং কমরেড রাশেদ খান মেনন বায়তুল মোকাররম মসজিদে নামাজ পড়ছেন এবং বলেছেন-এখোন থেকে তিনি নিয়মিত নামাজ পড়বেন।
(খ)এবারের ইলেকশনে সাকুল্ল্যে ৬৩৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়ে আমার প্রিয় নেতা (কমুনিস্ট পার্টির দলীয় এবং নির্বাচনী ইশতেহার আমার কাছে মানব্জাতীর জন্য অত্যাবশকীয় একটা দলিল হতে পারে)বাংলাদেশ কমুনিস্ট পার্টির কমরেড মঞ্জুরুল আহসান খান বলেছেন "Man proposes God disposes "-অর্থাৎ জনগন তাঁকে ঠিকই ভোট করেছিলো(!), কিন্তু আল্লা তাঁকে হারিয়ে দিয়েছেন!
(গ)গতকাল শিল্প মন্ত্রীর সাথে টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশনের (BTMA)সাত সদস্যের নির্বাহি পরিষদের এক মিটিং'এ আমিও ছিলাম। শিল্প মন্ত্রী মিঃ দীলিপ বড়ুয়া যিনি ২০০১ এর ইলেকশনে মাত্র ১০৪ ভোট পেয়েছিলেন। সেই কমরেড বললেন-"ইনশআল্লাহ খুব অল্প সময়ের ভিতর আপনাদের প্রব্লেম সলভড করে দেবো"!