somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

বিএম বরকতউল্লাহ
পড়াশোনা করি। লেখালেখি করি। চাকরি করি। লেখালেখি করে পেয়েছি ৩টি পুরস্কার। জাতিসংঘের (ইউনিসেফ) মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড ২০১১ ও ২০১৬ প্রথম পুরস্কার। জাদুর ঘুড়ি ও আকাশ ছোঁয়ার গল্পগ্রন্থের জন্য অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৬।

ছোট্ট রাজকন্যা

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


রাজ্যের নাম হটেনটট। এই রাজ্যের রাজা-রাণীর কোনো সন্তান নেই। তাই তাদের মনে বেজায় কষ্ট। অনেক দিন পর তাদের ঘরে একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছে। আনন্দ আর ধরে না। রাজা-রাণী বিশাল উৎসবের আয়োজন করলেন। উৎসবের আনন্দের মাঝে রাজা-রাণী তাঁদের কন্যার নাম ঘোষণা করলেন-সিতারা। রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল-রাজকন্যা সিতারা। সিতারা।।

দেখতে দেখতে চলে গেল পাঁচটি বছর। পরীর চেয়েও সুন্দরী সিতারা যেন এক টুকরো চাঁদ। তার হাসি, তার ছোট ছোট কথা, তার পছন্দ, তার সবই যেন চাঁদের কণার মত চক্চকে। সে যেদিকে তাকায়, যা দেখে হাসে, যে দিকে হাত বাড়ায় রাজা-রাণী তার সবটুকু এনে দিতে চায় রাজকন্যাকে।
বনের পশু-পাখি ধরে এনে খাঁচায় বন্দি করে পোষা রাজার শখ। রাজবাড়ির একটা বিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছে নানা জাতের পশু-পাখির খাঁচা। রাজার আদেশে শিকারীরা বন থেকে বিভিন্ন জাতের জন্তু আর পাখি ধরে এনে দেয় রাজার কাছে। রাজা পশু-পাখিদের খাঁচায় বন্দি করে পোষে। এতে বেজায় আনন্দ পান রাজা আর রাণী।

রাজার পরে এই রাজ্য শাসন করবে রাজকন্যা সিতারা। তাই রাজা-রাণী প্রায়ই সিতারাকে নিয়ে যায় লোহার খাঁচায় বন্দি পশু-পাখির কাছে। তাঁরা রাজকন্যাকে আনন্দ-উৎসাহে ঘুরে ফিরে দেখায় বন্দি পশু-পাখিদের। এখানে যতবারই আসে দেখা যায়, মনমরা পশু-পাখিগুলো প্রাণপণ চেষ্টা করছে খাঁচা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু লোহার খাঁচা ভেঙ্গে যাওয়ার ক্ষমতা নেই ওদের। তাই এরা দিন রাত ছট্ফট্ করে। ওদের মনে কোনো সুখ নেই, আনন্দ নেই।
রাজকন্যা সিতারা এসব দেখে খুব কষ্ট পায়। সে মন খারাপ করে করুণ চোখে বন্দি পশু-পাখিদের দিকে তাকিয়ে থাকে। কিছুই বলে না সে। রাজা-রাণী রাজকন্যার বেজার মুখ দেখে তাকে বলে, ‘দেখো মা, এগুলো হলো রাজবাড়ির বহুদিনের পুরনো ঐতিহ্য আর গৌরবের একটি অংশ। এটা কোনো নিষ্ঠুরতা নয় মা। যতদিন রাজ্য থাকবে, রাজা-রাণী থাকবে ততদিন এসব বন্য পশু-পাখিদের ধরে এনে এভাবেই খাঁচায় বন্দি করে পুষতে হবে মা। এটাই আমাদের রাজ বাড়ির নিয়ম।

রাজকন্যা যে একদম রাজা-রাণীর মতো হবেন এমন কোনো কথা নেই। সিতারা রাজা-রাণীর মত হলো না। সে পশু-পাখিগুলোর ছটফটানি দেখে মন খারাপ করে ঘরে ফিরে গেল।

এখন সিতারা বয়স বারো বছর। অসম্ভব বুদ্ধিমতি চটপটে ছোট্ট রাজকন্যা।
একদিন রাজকন্যা রাজার সামনে গিয়ে দাঁড়াল এবং সে বিনয়ের সাথে বলল, ‘বাবা লোহার খাঁচায় বন্দি পশু-পাখিগুলো ছেড়ে দাও।’
ছোট্ট রাজকন্যার মুখে এই কথা! রাজা অবাক হয়ে কন্যার দিকে তাকালেন। রাজকন্যার চোখে মুখে আদেশের ছাপ! প্রতিদিন যাকে ‘সোনামণি, লক্ষ্মী-যাদু’ বলে আদর করেন, এ যেন সেই ছোট্ট রাজকন্যা নয়; রীতিমত রাজকন্যা। রাজা উঠে দাঁড়ালেন। তিনি গম্ভীর সুরে বললেন, ‘আমি তোমার এ আবদার রক্ষা করতে পারব না মা!’

‘কেন পারবে না বাবা?’ চোখ কুচকে বলল রাজকন্যা। ‘বনের পশু-পাখিদের খাঁচায় বন্দি করে কী সুখ পাও তোমরা? কী অপরাধ করেছে ওরা? এদের দেখে আমার খুব কষ্ট হয়। আমি ঘুমুতে পারি না। রাজবাড়ির দেখাদেখি রাজ্যে বহু প্রজা পশু-পাখিদের ধরে শখ করে এভাবে খাঁচায় বন্দি করে পুষছে। এর মধ্যে কী বীরত্ব আছে, আমি বুঝি না। দয়া করে, তুমি ওদের ছেড়ে দাও বাবা।’
কিছুতেই রাজী হলেন না রাজা। রাজা বললেন, ‘তুমি রাজকন্যা। তোমার এসব আবেগ আর অণুকম্পা রাজপরিবারের ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সাথে খাপ খায় না। আমরা যা করি একদিন তোমাকেও তা করার দায়িত্ব নিতে হবে। তোমার একটু আবেগ আর দয়া-মায়ার কাছে রাজবাড়ির বহুদিনের পুরনো নিয়ম-নীতি আর ঐতিহ্যকে তো ভেঙ্গে ফেলা যাবে না মা। এ সবই রাজবাড়ির গৌরব আর অহংকারের বিষয়। এই সব অর্থহীন কথা ছাড়া তুমি আর যা বলবে-তাই করব, যা চাইবে-তাই দেব। তবু এ কথাটি আর মুখে এনো না তুমি।’

সিতারা তার বাবার মুখে এসব কথা শুনে কতক্ষণ চুপ করে রইল। তারপর বলল, ‘ঠিক আছে বাবা, এ কথা আর মুখে আনব না। তবে তুমি যে কথা দিলে, যা বলি তাই করবে, যা চাই তাই দিবে। তুমি কি তোমার কথায় ঠিক আছ বাবা?’
রাজা বললেন, ‘অবশ্যই রাখব মা। রাজা বললেন, ‘জানো না মা, ‘এই হটেনটন রাজ্যের রাজা নড়ে যেতে পারে কিন্তু রাজার কথা নড়বে না।’

এক সপ্তাহ পরে রাজকন্যা সিতারা তার বাবার সামনে গিয়ে দাঁড়াল এবং শক্ত ভাবে বলল, ‘আমাকে এক মাসের জন্য রাজার ক্ষমতা দাও।’
‘এতটুকুন রাজকন্যা এখনই রাজ্যভার নিতে চায়! বাহ্। এই তো চাই। দেখি, রাজ্যটা কেমন চালায় আমার কন্যেটি !’ মনে মনে বললেন রাজা। আর কল্পনায় তিনি ভবিষ্যতের রাজকন্যাকে দেখতে লাগলেন; যে পশুপাখির প্রতি শিশুসুলভ অকারণ দরদ ভুলে গিয়ে দোর্দণ্ড প্রতাপে রাজ্য শাসন করছে।’

রাজা আনন্দে বলে উঠলেন, ‘হ্যাঁ, ঠিক আছে মা। আজ এই মুহূর্তে তোমাকে রাজার ক্ষমতা অর্পণ করলাম’ এ কথা বলেই রাজা তার রাজপোশাক খুলে রাজকন্যার সামনে তুলে রাখলেন এবং তাঁকে রাজ্যক্ষমতা দিয়ে দিলেন। তারপর তিনি একজন সাধারণ প্রজার মত মাথা নুইয়ে ছোট্ট রাজকন্যাকে কুর্ণিশ করলেন।
মুহূর্তে রাজ্যময় ঘোষিত হয়ে গেল, ‘ছোট্ট রাজকন্যা সিতারা এক মাসের জন্য রাজ্যভার গ্রহণ করেছেন।’ রাজ্যের প্রজারা আনন্দ-কৌতূহলে বরণ করে নিল ছোট্ট রাজকন্যাকে।

রাজকন্যা সিতারা ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমেই আদেশ করলেন, ‘বন্দি করা হোক সাবেক রাজা আর রাণীকে।’
যেই আদেশ সেই কাজ। রাজা-রাণীকে বন্দি করে একটি কক্ষে নিয়ে রাখা হলো। এক মাসের জন্য একটি কক্ষে বন্দি থাকতে হবে তাঁদের। বেঁচে থাকার জন্য যা-কিছুর দরকার সবই দেওয়া রাজা-রানীকে।
রাজা-রাণী অসন্তুষ্ট হলেন ও ভয় পেয়ে গেলেন। তাঁরা বললেন, ‘আমাদের কী অপরাধ যে, একমাস একটা কক্ষে এভাবে বন্দি থাকতে হবে? এটা কি আদৌ সম্ভব?’
‘এটা খুবই সম্ভব।’ শক্তভাবে জবাব করলো ছোট্টরাজকন্যা।

শুরু হলো রাজা-রাণীর বন্দি জীবন।
বাতাসের আগে আগে রাজ্যময় ছড়িয়ে পড়ল, রাজা-রাণীর বন্দি হওয়ার খবরটি। খবরের ডাল-পালা গজালো। নানা রঙে-নানা ঢঙে খবরগুলো রাজ্যের আনাচে-কানাচে পৌঁছতেই প্রজাদের আনন্দ-কৌতূহল আশঙ্কায় পরিণত হলো। হটেনটট রাজ্যের প্রজারা বলাবলি করছে, ‘রাজা-রাণীকে বন্দি করেছে ছোট্ট রাজকন্যা সিতারা! এখন উপায়!’
তিন চার দিন যেতে না যেতেই রাজা-রাণী বন্দিদশা হতে মুক্তি লাভের জন্য রাজকন্যাকে অনুরোধ করতে লাগলেন। রাজকন্যা বলল, ‘কেন? তোমাদের যখন যা লাগছে তখন তাই তো দেয়া হচ্ছে। জীবন ধারণের সকল ব্যবস্থাই আছে এই কক্ষে। তবে কীসের মুক্তি এখন?’
সাতদিন পর রাজকন্যার কাছে খবর এলো রাজা-রাণী তেমন খাওয়া-দাওয়া করছে না। তাঁরা জানালার গ্রীল টেনে, দরজায় ধাক্কা মেরে বারবার মুক্তি চাইছে। অসহ্য হয়ে উঠেছে তাঁদের বন্দিজীবন। রাজকন্যা এসব কথায় কান দিল না।

কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে ততই ভয়াবহ খবর আসতে লাগল রাজকন্যার কাছে। রাজা-রাণী খওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। একজন আরেকজনকে ধরে বেশুমার কান্নাকাটি করছে। আবোল-তাবোল বকছে। তাতেও রাজকন্যা কান দিল না।
কুড়ি দিনের দিন খবর এলো, রাজা রাণী অস্বাভাবিক আচরণ করছেন। কক্ষের ভেতরে সবকিছু ওলট-পালট করে ফেলেছেন তাঁরা। তাঁরা তাঁদের কাপড়-চেপড়, বিছানাপত্র, গ্লাস-প্লেট যা পাচ্ছে তাই নিয়ে ছোড়াছুড়ি করছেন। নিজেদের মাথার চুল নিজেরাই টানছেন। তাঁদের ঘুম নেই, খাওয়া নেই, বিশ্রাম নেই। কক্ষজুড়ে এলোমেলো ঘুরছেন আর বকবক করছেন।
সব শুনে রাজকন্যা সিতারা কক্ষের সামনে গিয়ে দাঁড়াল। তাকে দেখেই রাজা-রাণী দৌড়ে এসে জানালার গ্রিল ধরে পাগলের মত চিৎকার করে কাঁদতে লাগলেন। তাঁরা হাতজোড় করে বলছে, ‘এ বন্দি জীবন আর এক মুহূর্তও ভাল লাগছে না। হয় আমাদের মুক্তি দিন; নয় মেরে ফেলুন আমাদের। এখন যা বলবেন তা-ই করব আমরা। আমাদের এই অসহনীয় কষ্ট থেকে মুক্তি দিন। এই বন্দি জীবনের ভয়ংকর কষ্টের থেকে মরণও ঢের ভাল। আমাদের মুক্তি দিন, আমরা মুক্তি চাই।’
সিতারা বলল, ‘মুক্তি? এক মাস না হতেই মুক্তি? কী অনুভব করলেন পশু-পাখি প্রেমিক মহামান্য সৌখিন রাজা-রাণী?’
‘অনেক বড় কিছু অনুভব করতে পেরেছি আমরা। আর লজ্জা দিবেন না। আগে আমাদের মুক্তি দিন। তারপর দেখেন আমরা কী করি!’ বললেন রাজা।
রাজকন্যা সিতারা নিজ হাতে তালা খুলে মুক্ত করে দিল রাজা আর রাণীকে। তাঁরা বেরিয়ে এলো কক্ষ থেকে।
রাজা সিতারাকে বললেন, ‘এবার ফিরিয়ে দিন আমার রাজ্যক্ষমতা।’
রাজকন্যা কোনো কথা না বলে ফিরিয়ে দিল রাজ্যক্ষমতা।

রাজা ক্ষমতা গ্রহণ করেই রাজকর্মকর্তাদের ডেকে আদেশ করলেন, ‘তোমরা এই মুহূর্তে বন্দি পশু-পাখিদের মুক্ত করে দাও। আর রাজ্যময় ঘোষণা করে দাওÑ‘গায়ের জোরে কাউকে বন্দি করে রাখা যাবে না। যারা বন্য পশু-পাখিদের ধরে এনে খাঁচায় বন্দি করে পুষছে আজই তাদের মুক্ত করে দিতে হবে। এ নির্দেশ অমান্য করলে গর্দান যাবে।’

রাজার পক্ষ থেকে মানবতার এই আদেশ মুহূর্তে পৌঁছে গেল প্রজাদের কানে। রাজ্যের সবাই তড়িঘড়ি করে মুক্ত করে দিল রাজ্যের সকল বন্দি পশু-পাখিকে।

বন্দি পশু-পাখিরা মুক্তির আনন্দে দিশেহারা। পশুগুলো এলোমোলো চারদিকে ছোটাছুটি করতে করতে চলে গেল বনে। আর পাখিগুলো মুক্তির আনন্দে পাখা ঝাপটিয়ে উড়তে লাগল আকাশে। মুক্তি দেওয়ার ও মুক্তি পাওয়ার আনন্দে টগবগ করছে গোটা হটেনটট রাজ্য। অসংখ্য হৃদয় থেকে বারবার উচ্চারিত হতে লাগল, ‘ছোট্ট রাজকন্যা সিতারা-দীর্ঘজীবী হোক।’


সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৫
১০টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×