somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটা সাধারণ ঘটনা --দুটো অসাধারণ গান

০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একবার আমেরিকার এক মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্টএর দোকানে অত্যন্ত সাধারণ পোশাক পরা সাদামাটা চেহারার এক বাঙালী ভদ্রলোক ঢুকলেন। বিশাল দোকান , অজস্র বাদ্যযন্ত্র সাজানো আছে।

ভদ্রলোক ঘুরে ঘুরে দেখছেন। দোকানের সেলস গার্ল গুলো তেমন আমল দিলো না। শুধু শুধু টাইম পাস করতে অনেকেই তো আসে। তা , দোকানে ঘুরতে ঘুরতে তাঁর চোখে পড়লো দেওয়ালের অনেকটা ওপরে এক শো কেসের মধ্যে রাখা বিশাল এক সেতারের ওপর।

তিনি কাছে দাঁড়ানো এক সেলস গার্ল কে বললেন তিনি সেটি কিনতে আগ্রহী কিন্তু তার আগে সেটি বাজিয়ে দেখতে চান। সেলস গার্ল প্রথমে রাজী হচ্ছিল না -একে তো বিশাল ওই সেতার শো কেস থেকে নামানো ইত্যাদির ঝামেলা এবং সে নিশ্চিত ছিল ভদ্রলোক ওটি বাজাতে পারবেন না এবং কিনবেন না -শুধু শুধু সময় নষ্ট।

কিন্তু ভদ্রলোক নাছোড়বান্দা -তাঁর অনুরোধ -উপরোধ শুনে দোকানের মালিক স্বয়ং সেখানে ছুটে এলেন। মালিকের কথায় সেতারটা নামানো হলো। লস -এঞ্জেলেসের সেই বিশাল দোকানে অত্যন্ত সাধারণ পোশাক পড়া সেই মানুষটি সেই বিশাল সেতার বাজাতে শুরু করলেন।

পরবর্তী আধ-ঘন্টা পুরো দোকানের সমস্ত কর্মচারী এবং ক্রেতারা মন্ত্রমুগ্ধের মতো বিহ্বল হয়ে সেই সেতার বাজানো শুনলেন। বাজানো শেষ হলে সেলস গার্ল মেয়েটি তাঁর কাছে ছুটে এলো ,তার চোখে তখন জল। দোকানের মালিক ডেভিড বললো -আমি কিছু সংগীত বুঝি , এই বিশাল সেতার খুব কম লোকই এভাবে বাজাতে পারে --আমার কাছে এটা এক ঐশ্বরীয় অনুভূতি।

সেই ভদ্রলোক বললেন বাংলায় এই সেতারটাকে বলে সুর বাহার --আমি এটা কিনতে চাই , এর মূল্য কত ?

দোকানের মালিক বললেন এখন থেকে এই সেতার আপনার , কিন্তু এটা আপনাকে বিক্রী করবো না , এটা আমি আপনাকে উপহার দিলাম।

ভদ্রলোক পরে সেই সেতার নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। দুটো গান কম্পোজ করলেন আমেরিকা থেকে নিয়ে আসা সেতারটা দিয়ে।

একটা হিন্দী , অন্যটা বাংলা।
হিন্দীটা হলো : ও সজনা বরখা বাহার আয়ি , রস কি পুহার লায়ি ,আঁখিয়ো মে পেয়ার লায়ি ......

বাংলাটা :না যেও না....... রজনী এখনও বাকী..আরও কিছু দিতে বাকী বলে রাত জাগা পাখি .. না যেও না...আমি যে তোমারি শুধু জীবনে মরণে ......


লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠে চিরকালীন হয়ে রইলো এই দুটো গান।

ওহ , হ্যাঁ , অত্যন্ত সাধারণ চেহারার সেই ভদ্রলোক হলেন বাংলা আধুনিক গানের অন্যতম এক শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক , গীতিকার এবং সুরকার সলিল চৌধুরী
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×