২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি বলির পাঁঠা হয়েছি। নমিনেশন নিয়ে নেত্রী আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। নেত্রী আমাকে নির্বাচনের আগে নমিনেশন পেপার হাতে দিয়ে বলেছেন, কবরী নতুন মানুষ ওকে সহযোগিতা করবেন। নেত্রীর এ কথা শুনে আমি ভেবেছিলাম আমিই নির্বাচনে ৫ আসনের মনোনয়ন পাব। ভাবতেই পারিনি আমিই বলির পাঁঠা হচ্ছি। সারাদেশে প্রায় ৩৮টি আসনে মহাজোটের প্রার্থী এমপি হয়েছেন, এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ- ৫ আসনের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত ও অবহেলিত। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথমবারের মতো নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও ৫ আসনের সাবেক এমপি এসএম আকরাম খোদ দলীয়প্রধান শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করলেন। শনিবার বন্দরের ধামগড়ে জাতীয় শোক দিবস ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসএম আকরাম বলেন, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি রশিদের মতো বেঈমান কিছু সুবিধাবাদী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাদ দিয়ে এবং শেখ হাসিনার নামে স্লোগান না দিয়ে শামীম ওসমান ও নাসিম ওসমানের নামে স্লোগান দিচ্ছে। তারা রাতে জাতীয় পার্টি দিনে আওয়ামী লীগ করে।
জাতীয় শোক দিবস পালন কমিটির আহ্বায়ক মনির আহাম্মেদের সভাপতিত্বে শোকসভা ও আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি বন্দর থানা আওয়ামী লীগ নেতা হাজী নুরুল ইসলাম চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খন্দকার আ. মালেক, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আবেদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ূন কবির এলিন, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট ইসহাক, থানা যুবলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট হাবীব আল মুজাহিদ পলু, ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সহসভাপতি হাজী নাসির উদ্দিন, হানিফ মিয়া, থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসআই জুয়েল প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন শাহজামাল, আমজাদ হোসেন, শহীদ মৃধা, জাকির হোসেন, আমিরুল ইসলাম, আ. সালাম, তোফাজ্জল হোসেন, কবির, আশেক মাহমুদ, আলী হোসেন, রুহুল আমিন, মোতালেব, মজিবর, আলাউদ্দিন, সাহাবুদ্দিন পিয়ার, ফজলুর হক, থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আমানউল্লাহ আমান, কৃষক লীগের সভাপতি হাজী সালাউদ্দিন কমান্ডারসহ প্রায় ২ হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। ইফতারের আগে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মিজানুর রহমান।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




