দৃশ্য-১ঃ
বনানী বাজার, অরন্য আড্ডা দিচ্ছে বন্ধুদের সাথে। হঠাৎ অরন্যের মোবাইলটা বেজে ওঠে। পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে নাম্বারটা দেখেই একটু বিরক্ত হয়। কিছুক্ষন দোনমনা করে, ফোনটা ধরে দূরে সরে যায়।
অরন্যঃ হ্যালো বাবা, কি হলো? (বিরক্ত হয়ে)
বাবাঃ না, ভাবলাম কোথায় আছো তাই ফোন দিলাম।
অরন্যঃ (আরও বিরক্ত হয়ে) একটু আগেই না কথা হলো। বললাম তো আমার আসতে দেরী হবে। এত্তবার ফোন দিতে হয়।
কিছুক্ষনের বিরতি, বাবার কথা শুনছে।
শোন বাবা, আমি আর এখন ছোট নাই যে ফোন দিয়ে খোজ নিতে হবে। আমি জানি কিভাবে চলতে হয়। বারবার কেন বিরক্ত করো। সময় হলেই বাসায় আসবো। যত্তসব...
ফোন কেটে দিয়ে বন্ধুদের আড্ডায় ফিরে যায় অরন্য।
দৃশ্য-২ঃ
কাকলী বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছে অরন্য। একটা ছোট্টো বাচ্চা এসে ভিক্ষা চায়। অরন্য একবার ছেলেটার দিকে তাকিয়ে আবার মোবাইলে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু ছেলেটা নাছোড়বান্দা, ভিক্ষা চাইতেই থাকে। বিরক্ত হয়ে অরন্য জিজ্ঞেস করে, কি চাস।
ছেলেটাঃ দশটা ট্যাকা দেন না, ভাই। ভাত খামু।
অরন্যঃ তোর কি মনে হয় আমি টাকার গাছ বুইনা রাখছি। তোর বাপের কাছে গিয়া চা, যা ভাগ।
ছেলেটাঃ ভাইজান, বাপ থাকলে কি আর আইন্নের কাছে ট্যাহা চাইতাম। বাপ তো মরছে জন্মের আগে। মায় তো জন্ম দিয়া ফালায় দিছে এতিমখানায়। আর অহন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরি। আপনার বাপ আছে বইলাই খাওন পান, শওনের জায়গা পান। আমার মত কপাল নিয়া আইতেন, তাইলে দ্যাখতাম এত ত্যাজ কইত্থেইকা আহে। একনাগাড়ে কথাগুলো বলেই ছেলেটা চলে যায় আরেকজনের কাছে ভিক্ষা চাইতে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০১৯ রাত ৩:৪৯