ঘড়ির কাঁটায় যখন ৫.০০ টা বাজে ঠিক তখনই ঢাকাবিশ্বদ্যালয়ের অদূরে অবস্থিত পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তন চত্বর হয়ে এক উৎসব মুখর পরিবেশে।
"স্বপ্ন গুলো আকাশ পানে উড়িয়ে দিলাম আজ
জরা জীর্ণতা পেছনে ফেলে নিলাম নতুন সাজ"
বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের গঠিত "সরগাম" এর এই শ্লোগানের সাথে তাল মিলেয়েই সারগাম ভক্তরও মিলনায়তন চত্ত্বরে বিজয়ের এই মাসে একটি বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নতুন সাজে সেজেছে।
মুহুর মুহুর করতালি আর বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছাস এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় বিজয় উৎসব'০৯।
একে একে সারগাম পরিচালক আজহারুল ইসলাম, প্রধান পৃষ্ঠপোষক নিয়জ মাখদুম শিবলী তাদের প্রত্যশা, স্বপ্ন এবং একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন।
এ অনুষ্ঠানটি আরো বেশী প্রাণবন্ত হয়ে উঠে যখন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থত হন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধান নির্বাচন কিমশনর বিচারপতি আবদুর রউফ স্যার। তিনি বর্তমান বাংলাদেশে অর্থনৈতিক, সমাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা, চিকিৎসায় প্রাইভেটের অবস্থান তুলে ধরেন। ২০০০০০ (দুই লক্ষ) ছাত্রছাত্রির এই বিশাল জগতে এ ধরনের উদ্যোগকে তিনি মোবারকবাদ জানান। তিনি আরো বলেন, আমাদের এই প্রিয় বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক শোষন, রাজনৈতিক নিপিড়ন এবং নিজেদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে যতবার আন্দোলনে নেমেছে ততবারই সাংস্কৃতিক কর্মীরাই তদের প্রেরণা যুগিয়েছে। তাই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তেও তাদের কর্তব্য যথাযথা ভাবে পালন করে তবে তা অনেক সহজ হয়ে যাবে। তিনি পড়ালেখার প্রতিও গুরুত্ব দেন।
পরে সারগামের উৎসব সংগীত, জীবনমুখি গান ও দেশাত্মক বোধক গান উপস্থত শ্রোতাদের আন্দদে মাতিয়ে তোলে।
এর পরই শুরু হয় মূল আকর্শন মুক্তযুদ্ধ ভিত্তক নাটক
"আথান্তর"
শিল্পিরা আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাস্তব চিত্র উপস্থিত দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন। অনেকেই দেখা গেছে চোখের পানি মুছতে।
আমি এক জন সারগাম দর্শক ও ভক্ত হিসেবে তাদের উত্তর উত্তর উন্নতি কামনা করছি এবং সামুর সকল ব্লগারদেরও তাদের জন্য দোয়া করার আহবান করছি।
[email protected]

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






