প্রিন্সেস ডায়ানা, আলেক্সজান্ডার লিতভিনেনকো বা মাইকেল জ্যাকসন। প্রত্যেকের নামের মধ্যে ভিন্নতা থাকলেও রয়েছে এক অদ্ভূত মিল। আর তা হলো, এদের সবাইকে হত্যা করা হয়েছে অতি গোপনীয়ভাবে, যাদের অপরাধও আবার এক। তা হলো- তারা প্রত্যেকেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হওয়া সত্ত্বেও নিজ ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল।
সম্প্রতি নীল আর্মস্ট্রং এর মৃত্যুকে ঘিরেও তৈরী হয়েছে একই জল্পনা কল্পনা। তাকেও কি তবে একই কারণে হত্যা করা হলো? কারণ নীল আর্মস্ট্রং এর মত মার্কিন বীর (ওবামার ভাষায়) মারা যাওয়া সত্ত্বেও প্রকাশ করা হলো না তার মৃত্যুর কারণ ও স্থান, রাখা হলো সম্পূর্ণ অন্ধাকারে।
নীল আর্মস্ট্রং যখন চন্দ্র বিজয় করে ফেরেন, তখন পত্র পত্রিকাগুলোতে বিষয়টি উঠে আসে। আর্মস্ট্রং চাঁদে গিয়ে সুমধুর কণ্ঠে এক আহবান শুনতে পান, যা পরবর্তীতে মিশরে গিয়ে নিশ্চিত হন এটি ছিল আসলে মুসলমানদের আযানের ধ্বনি। একইসাথে আর্মস্ট্রং চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হওয়ার বিষয়টিও দেখতে পান (পবিত্র কুরআন শরীফ-এ বলা হয়েছে চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হয়েছে)।
কিন্তু এরপর শুরু হয়ে যায় এক ন্যাক্কারজনক চর্চা। চলতে থাকে বিষয়টি মিথ্যা প্রমাণ করতে বিরোধীপক্ষের নানা তালবাহানা। লুকিয়ে ফেলা হয় সমস্ত ডকুমেন্ট (যেমনটা কিছুদিন পূর্বে ভারতীয় বংশদ্ভূত মার্কিন নভোচারি সুনিতা এল উইলিয়ামস মহাকাশ থেকে দেখতে পান: সমস্ত পৃথিবী অন্ধকার, শুধু পবিত্র মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ তারকার ন্যায় উজ্জ্বলভাবে জ্বলছে, যার ডকুমেন্ট গোপন করার চেষ্টা চলছে)। আর্মস্ট্রংকে করা হয় হাউস এ্যারেস্ট। একই সাথে বিষয়টিকে অন্যদিকে মোড় নেয়ার জন্য প্রয়োগ করা হয় গোয়েবলস থিউরি। তারা বলতে শুরু করে, “চন্দ্রবিজয় বানানো ঘটনা এবং তা লুকানোর জন্যই আর্মস্ট্রং একাকী জীবন যাপন করছে।”
কিন্তু মনে রাখবেন, জীবিত মানুষ দলিল ফাস করতে পারে, মৃত মানুষ নয়। তবে মৃত মানুষ যেটা পারে তা হল তার ধর্ম পরিচয় ফাস করতে। এখানে নীল আর্মস্ট্রং এর ধর্ম পরিচয় (সে যে প্রকৃত অর্থেই মুসলমান হয়েছিল) এবং তার মৃত্যুর কারণ লুপ্ত করার জন্যই তার মৃত্যুর সঠিক স্থান তথা ঠিকানা লুকানো হয়েছে। দেয়া হয়নি তার নিকট আত্মীয়দের সরাসরি বিবৃতি। তার কবর কোথায় হয়েছে তাও জানানো হয়নি। হাও ফানি! জাতীয় বীরের কবর কোথায় হয়েছে তা জানা যাবে না?
শুধু প্রকাশ করা হয়েছে, আগস্টের শুরুর দিকে তার হার্ট সার্জারির করার কথা। কিন্তু এই অপরেশন এখন বাংলাদেশেই কমন ব্যাপার, আমেরিকায় তো আর বলতে হয় না। কিন্তু এ অপরেশনেই তার মৃত্যু হলো? এমনটা মানা সত্যিই কঠিন।
এখন অনেকে প্রশ্ন করবে, সে যদি মুসলমান হয়েও থাকে তবে তাকে এতদিন পরে হত্যা করে লাভ কি?
উত্তর খুব সোজা। সমস্ত বিধর্মী গোষ্ঠী মুসলমানদের সাম্প্রতিক উথ্যানের ব্যাপারে চিন্তিত হয়ে পড়েছে। আবির্ভাব হচ্ছে শত শত খুনি ব্রেইভিকের। আর এই দুর্দিনে যদি আর্মস্ট্রং এর ঘটনা কোন না কোন ভাবে প্রকাশ পেয়ে যায়, তবে অগণিত বিধর্মী নিশ্চিত ইসলাম গ্রহণ করে বসবে। রিক্স নিয়ে লাভ কি............
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:০৫