হুমায়ুন আজাদের ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ এবং আজকের হরতাল
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
হুমায়ুন আজাদের ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ পড়ে হাসব না কাদব বুঝতে পারিনি। একদিক থেকে নাস্তিক হুমায়ুন আযাদ ইসলাম ধর্মের পবিত্র বিষয়গুলো নিয়ে চরম অবমাননা করেছে। অন্যদিক থেকে যাদের নিয়ে এ লেখক লিখেছিল তা সত্যি অর্থে ভুল ছিল না। প্রকৃতপক্ষে হুমায়ুন আযাদ ধর্মীয় দিক থেকে যেসব মাওলানা গোষ্ঠীর সংস্পর্ষে এসেছিল তারা ছিল মূলত ধর্মব্যবসায়ী, যাদের চরিত্রই হয়ে থাকে ঐ রূপ নারী লোভী ও উগ্রবাদীতা সম্পন্ন। যার ১০০ তে ১০০ই ফুটে উঠে হুমায়ুন আযাদের লেখার মধ্যে। আর এতেই জামাত শিবিরের রক্ত মাথায় উঠে কুপিয়ে জখম করে ঐ লেখককে।
মূলত এই লেখক ইসলামপন্থী বলতে যাদের বুঝাতে চেয়েছে, তারা হচ্ছে মূল ইসলাম থেকে বহু দূরে মওদুদী জামাত এবং কওমী দেওবন্দী খারেজী গোষ্ঠী, যারা ৭১-এ বাঙালী মেয়েদের গণিমত বলে ফতওয়া দিয়েছিল। বাংলাদেশে জন্ম দিয়েছিল উগ্রবাদী জঙ্গিদের। এরাই প্রতিনিধিত্ব করে ওসামা বিন লাদেন বা তালেবান মোল্লা ওমরদের। এরাই শ্লোগান দেয় “আমরা হব তালেবান, বাংলা হবে আফগান।”
‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ -এ দেখা যায় এই ধর্মব্যবসায়ীরা পরের মহিলাকে গণিমতের মাল বা হালাল, পরের ধন সম্পত্তিকে নিজের সম্পদ বলে মনে করে। এই কথাটি কিন্তু ১০০ ভাগই সত্যি। যেমন উদাহরণস্বরূপ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ফরিদপুরের বাচ্চু রাজাকার (মাও. আবুল কালাম আযাদ) পুরো গ্রামের শতাধিক মহিলাকে এনে নিজের বাসায় আটকা রাখে। এবং ৯ মাস ধরে সবাইকে ভোগ করে। বিকৃতরূচির বাচ্চু ঐ সকল মহিলাদের শরীরকে নিজের সম্পত্তি ভেবে ধারালো দাতের সাহায্য ছিন্নভিন্ন করত। (নটরডেম কলেজের কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক এসকে গুহ’র সাথে আলাপ করলে বিস্তারিত জানতে পারবেন, তার পরিবারেই মারা যায় ১৫-১৬ জন, একজন মহিলা আত্মহত্যা করে)
পাশাপাশি এই ধর্মব্যবসায়ীরা মানুষের সম্পত্তিকে নিজের সম্পত্তি ভেবে থাকে। ইসলামের নাম দিয়ে পাবলিকের ধনসম্পত্তি অবলিলায় পুড়ায়, হতদরিদ্র দিন আনে দিন খায়ের পেটে লাথি মেরে অতিধার্মিক সাজে। ফতওয়া দেয় এই অপকর্ম করা নাকি ঈমানি দায়িত্ব। শুধু তাই না সকল মুসলমানের জন্য ফরজ ফতওয়া দেয় এই সকল অপকর্ম করাকে। (নাউযুবিল্লাহ)
যেমন: আজকের হরতাল হচ্ছে জামাতের ইন্ধনে দেওবন্দী খারেজী কওমী গোষ্ঠীর হরতাল । ধর্মব্যবসায়ী খারেজী-কওমীরা আজকের হরতালকে ঈমানাদাদের ঈমানী দায়িত্ব হিসেবে ফতওয়া দিয়েছে । এই দলের নেতৃত্বে রয়েছে রাজাকার হাফেজ্জীর বড় ছেলে আহমদুল্লাহ আশরাফ । এই গোষ্ঠীটিও একাত্তারে গণহত্যা সম্ভমহরণ ও লুন্ঠনের সাথে জড়িত ছিল, যার বহু দলিল ও বহু প্রমাণ রয়ে গেছে। সুতরাং শুধু জামাতি রাজাকারগুলোর বিচার করলে হবে না, জামাতের সহযোগী এই দেওবন্দী কওমী খারেজী রাজাকারগুলোকেও আনতে হবে বিচারের আওতায়।
৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
লুঙ্গিসুট
ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা
স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা
একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন
=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=
©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন
সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা
এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।
স্বৈরশাসকের বন্দী
এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইসলামের চার খলিফার ধারাবাহিকতা কে নির্ধারণ করেছেন?
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব)... ...বাকিটুকু পড়ুন