কিছুক্ষণ আগে মিশর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই ও ইরানের বিদেশী অতিথিদের সামনে বাঙালী মন্ত্রীকে জুতা নিক্ষেপের ভিডিওটি দেখলাম। ব্লগে এই ভিডিও নিয়ে অনেককে দেখলাম খুশি উদযাপন করছে! প্রকৃতপক্ষে যারাই জুতা মারুক এবং এর জন্য খুশি উদযাপন করুক, তারা কখনই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বে বিন্দুমাত্র বিশ্বাসী নয়। উপরন্তু এদের দ্বারা নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ভূলণ্ঠিত হবার সম্ভবনা ১০০ ভাগ।
নৌ পরিবহন মন্ত্রী বলেছিলেন:
“সাহাবীগণর ইসলামে সুমহান আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে শহীদ হয়েছেন, ধর্মনিয়ে রাজনীতি করতে নয়।”
----এখানে ইসলামের অবমাননা কৈ হল? এটা তো ১০০ ভাগ সত্যি কথা। সাহাবীগণ কখনই রাজনীতি করেননি।
---জামাত এবং ধর্মব্যবাসায়ী দেওবন্দী আক্বিদাভূক্ত কওমীরা বলে থাকে “সাহাবীগণ রাজনীতি করেছেন” এই বক্তব্য ১০০ ভাগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
---যদি সাহাবীগণ রাজনীতি করে থাকেন তবে উনাদের বিরোধী কে ছিলেন? অবশ্যই কাফির। আর বাংলাদেশে অন্যদলগুলো যদি কাফির হয় তবে তাদের সাথে ইসলামধারী দলগুলো জোট বাধল কেন? (আওয়ামী লীগের সাথেও কওমী-দেওবন্দীরা একবার জোট বেধেছিল)
----দল হবে দুইটি। এক ইসলাম, অন্য কাফির। কিন্তু বর্তমানে জামাত-দেওবন্দী মিলিয়ে ১৩ দল হলো কেন?
---------------------------------------------
ভিডিও ক্লিপই প্রমাণ করে এরা কারা। এরা কখনই সাধারণ মুসল্লী নয়, এরা হচ্ছে ধর্ম বিক্রি করে যারা রাজনীতি করে অর্থাৎ জামাতি ও দেওবন্দী কওমী গোষ্ঠী। তারাই উদ্দেশ্যমূলকভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে হেয় করতে এই বিশৃঙ্খলতা হট্টগোল ঘটিয়েছে। পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত সম্মেলনে জুতা ছুড়ে এরা নিজেদের ধর্মব্যবসার পরিচয় প্রকাশ করেছে।
প্রকৃতপক্ষে এই অপকর্মের মাধ্যমে সমগ্র পৃথিবীর সামনে ধর্মব্যবসায়ীরা শুধু বাঙালী জাতিরই মাথা হেট করেনি, বরং সমগ্র বিশ্বের সামনে মুসলমান জাতিকে চরমভাবে হেও প্রতিপন্ন ও অসহিঞ্চু হিসেবে উপস্থাপন করেছে। যা ইসলাম অবমাননারই নামান্তর।
আমি এই সকল মানুষরূপি কিটগুলোর ঘৃণ্য অপকর্মের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এদের প্রকাশ্যে উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:০৫