গতকাল বায়তুল মুকাররম মসজিদে আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত সম্মেলনে নৌমন্ত্রীকে জুতা নিক্ষেপ করে জামাতি দেওবন্দী ধর্মব্যবসায়ীরা খুব লম্ফ জম্ফ করছে। কিন্তু ছবিতেই দেখুন, কারো সামনে যদি পবিত্র কুরআন শরীফের এ ধরনের খোলা ছবি থাকে, তবে সে মুসলমান হলে কি জুতা নিক্ষেপ করতে পারে? কখনই না।
ভিডিও ক্লিপে দেখুন: স্টেজের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে জুতার বহর। অর্থাৎ দূর থেকে নিক্ষেপ করা জুতার অনেকগুলো অবশ্যই পেছনে স্টেজের দেয়ালের আঘাত করেছে (নাউযুবিল্লাহ)।
* প্রকৃতপক্ষে জামাতি দেওবন্দীদের কাছে পবিত্র কুরআন শরীফ খুবই সস্তা জিনিস। পবিত্র ধর্মকে এরা খুব সহজেই বিক্রি করে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ, ব্যক্তিগত আক্রোশ এবং ফায়দা হাসিল করে থাক।
জামাতি দেওবন্দীদের আরো কিছু কুরআন শরীফ ও ইসলাম অবমাননার ছবি দেখুন:
১) ২০১১ সালের ৪ঠা এপ্রিল মুফতি ফজলুল হক আমিনী তার কওমী দেওবন্দী ছাত্রদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে পবিত্র কুরআন শরীফ হাতে নিয়ে হরতাল করতে বলে। যেখানে কুরআন শরীফ অবমাননা হওয়ার সম্ভবনা থাকে সেখানে পবিত্র কুরআন শরীফ নিয়ে যাওয়া কি কুরআন শরীফের অবমাননা নয়?
২) পবিত্র কুরআন শরীফ সংশোধন করতে চায় শিবির!!!!!
লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানার পারুলিয়া জামে মসজিদে গত ৭ ই ফেব্রুয়ারী ইসলামী ছাত্র শিবিরের উদ্যোগে এক ইফতার পার্টিতে সংগঠনের হাতিবান্ধা থানার সভাপতি বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন, কোরাণ শরীফের কিছু কিছু যায়গায় (মডিফাই) সংশোধন করা উচিত। উপস্থিত মুসল্লিগন এই বক্তব্যের তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ করেন এবং শিবিরের নেতাদের উপর চড়াও হলে তারা পালিয়ে যায়।
- সাপ্তাহিক একতা, ৯ই ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৫ ।
৩) ধর্মব্যবসায়ী শিবিরদের পত্রিকা কিশোরকণ্ঠে ১৯৯৮ সালের নভেম্বর সংখ্যায় মুসলমানদের প্রাণপ্রিয় নবীজির নাম মুবারকে চরম অবমাননা করে কৌতুক প্রকাশ করা হয় (নাউযুবিল্লাহ)
৪) বিদ্যা বা জ্ঞান শ্রদ্ধার জিনিস। এর উপরে না দাড়িয়ে নিজের জ্যাকেট চাদরের উপরে দাড়ানোটাই উত্তম ছিল। কিন্তু এদের ধর্মজ্ঞানের কত অভাব। সর্বডানে শিবিরটা তাদের লোগোর আল্লাহু আকবার লেখার উপর দাড়িয়ে আছে। (নাউযুবিল্লাহ)
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:২৫