জজকোর্ট এলাকা। হঠাৎ একটা ছেলেকে কোপাতে শুরু করল কয়েকজন। পাশ দিয়ে যাওয়া ব্যাংকের ক্যাশিয়ার রিকশা থেকে নেমে হাত চেপে ধরলেন চাপাতি হাতের ছেলেটির। চায়ের দোকানে উৎসুক লোকগুলো চেপে ধরল অন্য আরেকজনের হাত। ছবি তুলতে থাকা সাংবাদিকেরা হাতের ক্যামেরা ফেলে বিশ্বজিৎকে আড়াল করলেন তিন-চারটা রডের সামনে থেকে। দুজন পুলিশ দৌড়ে এসে কলার চেপে ধরল চাপাতি হাতের ছেলেগুলোর, লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করল রড ধরা হাতের ওপর। ফুটপাতের চা-ওয়ালা তাঁর ছেলেকে নিয়ে বিশ্বজিৎ নামের ছেলেটির দিকে এগোলেন, কোপানোর ক্ষতগুলো হাত দিয়ে চেপে ধরলেন। জগন্নাথের সমাজবিজ্ঞানে পড়া ছেলেটি শক্ত করে ধরে রাখলেন বিশ্বজিতের হাত, ছেলেটাকে বাঁচাতে হবে। পুলিশ গ্রেপ্তার করল চাপাতি হাতের ছেলেগুলোকে।
রিকশাওয়ালা প্রচণ্ড গতিতে ছুটলেন মেডিকেলের দিকে। ফেসবুকের স্ট্যাটাস না, সবাই গেল বিশ্বজিৎকে দেখতে। বেঁচে গেলেন বিশ্বজিৎ। বহিষ্কার করা হলো ছাত্র নামের ওই পশুগুলোকে। কল্পনা করতে ভালো লাগে, কেউ দূর থেকে বিশ্বজিতের কোপানো দেখল না। সবাই ছেলেটিকে বাঁচাতে রুখে দাঁড়াল। কিন্তু কল্পনা তো কল্পনাই। টিকে থাকাই এখন সার্থকতা, তাই তেলাপোকার মতো টিকে থাকি।
শপথ গুহ, প্রথম আলো অনলাইনের পাঠক
এমন যদি হতো
এমন হবে কবে ?