মেজর জিয়াউর রহমান
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সামনে থেকে যে কয়জন অকুতভয় মহানায়ক সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে মেজর জিয়াউর রহমান উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। তিনি একাধারে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, ১ও ১১ নং সেক্টরের কমান্ডার।
১ এবং ১১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়াউর রহমান জেড ফোর্সেরও প্রধান ছিলেন।
‘চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চল নিয়ে গঠিত ১ নম্বর সেক্টর ও পরবর্তিতে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও রংপুর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ১১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার, জেড ফোর্সেরও প্রধান মেজর জিয়াউর রহমান নিজে রাজনীতিতে আসার পূর্বে আওয়ামীলীগের কাছে খুবই সম্মানীয় ছিলেন। এমনকি বাকশাল নক্সাল! পতনের পর আওয়ামীলীগ যখন দিশা এবং পথ দুটাই হারা তখন এই জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বা পুনঃ প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামীলীগ সহ সকল দলকে দেশের কল্যাণে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল। কিন্তু যেদিন দেখে আওয়ামীলীগ দেখলো একমাত্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) আওয়ামীলীগের প্রধান প্রতিপক্ষ এবং শেখ মুজিব যেখানে ব্যর্থ ঠিক সেখানেই জিয়াউর রহমান সফল ও সার্থক তখন থেকেই জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করতে লাগল। অপপ্রচারের মাত্রা এতই নিকৃষ্ট পর্যায়ে আওয়ামীলীগ নিয়ে যায় যে, মেজর জিয়াউর রহমানকে শুধু রাজাকার নয়, ইয়াহিয়ার প্রেতাত্মা ধারণ করে তিনি যুদ্ধ করেছেন, পাকিস্তানের চর হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ঢুকে পড়েছিলেন, পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়ে মুক্তিযুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন এমনই হাজারো কথা বলা হয়েছে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে।
এ থেকে পরিস্কার আপনি আওয়ামীলীগের সকল দুষ্কর্মের বিরুদ্ধে কথা বললেই আপনি রাজাকার আর আওয়ামীলীগ করলেই আপনি মুক্তিযোদ্ধা।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৩৯