মানুষগুলো আজ প্রতিনিয়ত আত্মঘাতী হয়ে উঠছে ফলসরূপ আত্মহত্যা নামক বিস্ফোরণে স্ব জীবনটা উৎসর্গ করছে । প্রতিটি আত্মঘাতী মানব স্বত্তার আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পিছনে থাকে, সুক্ষ্ম কোন এক অধ্যায়! পরিবারের অশান্তি, অপ্রাপ্তি ,ব্যক্তিজীবনে ব্যর্থতা, ঘৃণা আত্মঘাতী হয়ে উঠার প্রধান অন্তরায়! আত্মঘাতী হয়ে উঠা মানুষগুলোর চাঁপা কষ্ট লুকিয়ে রাখে অন্তরে, যাহা কখনো সে প্রকাশ করতেই চায় না। কষ্টের সাগরে ভাসতে ভাসতে হয়তো কোন এক সময় সে মাঝধরিয়ায় আটকে পড়া নাবিকের মত চিৎকার করতে থাকে। হয়তো কাউকে পাশে না পেয়ে তখন সেনিজেকে একা, শুধু একা ভাবতে শুরু করে। তবুও সে তার শির উঁচু করে বাচঁতে চায়। হয়তো কোন এক সময় সেনিজেকে জীবন যুদ্ধে পরাজিত সৈনিক ভাবতে শুরু করে। সে হয়তো ভাবে, পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট, ঘৃণিত মানুটি সে। তখন তার কাছে বাঁচা মরা একই কথা। আত্মঘাতী মানুষটি বিস্ফোরণের আগেই সে সমাজকে বৃদ্ধা আঙুলি দেখিয়ে, সে নিজের উপর লেগে থাকা কালিটুকু মোচন করতে সবার চক্ষু দৃষ্টির বাইরে চলে যায়, না ফেরারদেশে।
-যে মেয়েটি পশুত্বের স্বীকার হয়ে ধর্ষিত হয় সেও চায় স্ব সতীত্বটুকু আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়। স্ব সতীত্বটুকু যখন হারায় হয়তো তখন সমাজ ধর্ষিতার ট্যাগ দিয়ে দেয়। তখন হয়তো এ অপমান, তার প্রতি অবিচারে সেও আত্মঘাতী হয়ে উঠে। অবশেষে নির্লজ্জ ঘূণে ধরা সমাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজের জীবনটায় যেন উৎসর্গ করে দেয়।
-যে ছেলেটি পরিবারের জন্য কিছু করতে চেয়েও কিছুই করতে পারে নাা, ফলশ্রতিতে পায় শুধু লাঞ্ছনা। প্রতি পদক্ষেপে যে ঘৃণিত হয়। তখন সেও পৃথিবী নামক বৃত্তের বাহিরে চলে যায়। ধুঁকে ধুঁকে বাঁচে থাকার চেয়ে আত্মহত্যাকে শ্রেয় মনে করে।
-যদি তারা বুঝতো তাদের শূণ্যতায় কেউ একজনকে হলেও কাঁদায়, কেউ একজন তাদের জন্য অপেক্ষাকরে! তখনি হয়তো আত্মঘাতী হয়ে উঠা মানুষগুলোর আত্মহত্যার মিছিলটা কমানো যেত