একটা ছেলে তার এক মেয়ে বন্ধুকে খুব ভালবাসতো, ৮ বছর ধরে ভালবেসেই গেলো। সুখে দুখে সব সময় সে মেয়েটির পাশেই থেকেছে ছায়ার মতো। ৮ বছর পর যখন মেয়েটিকে সে অফার করল তখন মেয়েটি তাকে ফিরিয়ে দিলো (শুধু ফিরিয়েই দিলোনা, অপমান ও করলো)। ছেলেটি বার বার মেয়েটিকে অনুরোধ করলো (বুঝেন ই তো, ৮ বছর এর জমানো ভালবাসা এত সহজেই কি ভুলে যাওয়া যায়?), কিন্তু কোনো কাজ হলনা। সমস্ত রকম যোগাযোগ বন্ধ, মোবাইল এ কল দিলে ওই পাশ থেকে নো রেসপন্স, এস এম এস দিলে নো রিপ্লাই।
ওই মুহুর্তে মেয়েটিকে যদি কেউ প্রশ্ন করত, আপনার কাছে পৃথিবীতে সবচেয়ে বিরক্তিকর পারসন কে? তাহলে উত্তরে ছেলেটির নাম চলে আসতো।
যাই হোক একটা এসএমএস রিপ্লাই এসেছিল, আর তা হচ্ছে ........
“তোর কি লজ্জা সরম কিচ্ছু নেই, আর কোনোদিন যদি বলিস তুই আমাকে ভালবাসিস তাহলে আমার মরা মুখ দেখবি!!! Bye.”
এবার আপনারাই বলেন ছেলেটি আর কি করবে! ভালবাসাতো পেলোই না, ভালবাসি বলার যে স্বাধীনতা ছিলো তাও কেড়ে নিলো!!! ছেলেটি আর কখনো বলতেই পারলোনা............ভালবাসি।
ছেলেটি যখন বিরক্তিকর পারসন এর খাতা থেকে নাম উঠিয়ে ফেলতে শুরু করলো তখন আবার একদিন এস এম এস এলো,
“তুই আগের মতো হয়ে যা, প্লীজ। ‘আমার খুব ভালো একটা বন্ধু’ যে কিনা হাসিমুখে সব সহ্য করে নিতে পারে। দেখিস তোর লাইফ এ তোর মতই একজন কে পাবি যে কিনা তোকে অনেক ভালো রাখবে। তোকে মাঝে মাঝে খুব মিস করি সেই আগের ........( ছেলেটির নাম).......... কে। প্লীজ ফিরে আয়।”
শান্তনা বাক্য নয় কি? বন্ধুরা আপনারাই বলেন।
ইতিমধ্যে মেয়েটি অন্য একটি ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। কে বা কাহারা ওই ছেলেটিকে ধরে রাম ধোলাই দিয়েছে!!! কিন্তু দোষ পড়েছে নিরীহ প্রেমিক মেয়েটির সেই বন্ধুটির ঘাড়ে!!!
আবার এস এম এস এলো ................
“............... (ছেলেটির নাম).................. তুই কাজটা ঠিক করলিনা, এর জন্য তোর অবশ্যই মাশুল দিতে হবে। তোকে একটা মানুষ ভাবতেও আমার ঘৃণা হচ্ছে, একটা পশুও তোর থেকে অনেক ভালো। তুই আসলেই একটা জানোয়ার। জানোয়ার না হলে কি এভাবে একটা মানুষ মানুষ কে মারতে পারে !!! ছি...ছি.........(ছেলেটির নাম) I hate u, I hate u.”
বন্ধুরা গল্পটির কাহিনী বাস্তবতার সাথে কতটা সাদৃশ্যপূর্ণ, প্রশ্ন আপনাদের কাছেই?
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৫