রাত এগারটা চুয়ান্না,
চারিদিকে নিকষ কালো আঁধার। জন মানবহীন রাস্তায় হেঁটেই চলেছি,একা।
যেতে হবে দুর গন্তব্যে।
মোবাইল ফোনে চার্জ কম, জোরে পা ফেলে চলেছি।
পরিবেশটা ভুতুড়ে।
তবে ভুতে আমার বিশ্বাস নেই। পুরানো একটা গানের কলি
গুন গুন করতে করতে
চলেছি নিশ্চিন্ত মনে।
দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য
ব্রীজ থেকে নেমে যখন একটা মাঠের ভিতর দিয়ে যাচ্ছিলাম,
অতঃপর হাঁটাতে ঘটল বিপত্তি। একটা সদ্য নবজাতকের কান্না কানে এলো বাম পাশ হতে।চিৎকার দিয়ে কাঁদছে নবজাতকটা।
দাড়ালাম, অনুভব করলাম কান্নার উৎপত্তিস্থল।
গেলাম সেদিকে কৌতুহলে বশবর্তি হয়ে।
না এখানে কিছুই নেই আরো সামনে। আরো কিছুদুর এগিয়ে গেলাম। কান্নার শব্দ কাছে এলো। পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে আশে পাশে তাকালাম। না কোথাও কারো সাড়া শব্দ নেই।
ইতিমধ্যে থেমে গেছে
কান্নার শব্দটাও।
চারিদিকে তাকালাম।
কিছুই চেনা গেলনা।
গাটা ছমছম করে শিউরে উঠলো। অবশেষে চেনা গেল, আমার হাঁটা রাস্তা হতে আধা কিলো দুরে একটা পুরানো ঝোপঝাড়ে ভরা চিতার মাঝখানে আমি দাড়িয়ে।
চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পোড়া কাঠ আর ছাই।
তখনি অগ্নি কোনের বড় বট গাছ হতে ডাক শুনতে পেলাম একটা হুতোম পেচার।
তখন রাত বাজে সাড়ে বারটা।
একটুও দাড়ালাম না,
দ্রুত প্রস্থান করলাম।
কিন্তু,পা যেন আর চলছে না,
দূর থেকে একটা টর্চ
লাইটের আলো চোখে এলো।
মনে একটু সাহস সঞ্চয় হলো।
অবশেষে এক প্রতিবেশি
আঙ্কেল পৌঁঁছে দিলেন।
(তিন বছর আগের একটা
তিক্ত অভিজ্ঞতা হতে)
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:৪৫